বাংলাদেশের ১৪ জন যুবক বাণিজ্যিকভাবে থাই পেয়ারার চাষ করছেন। বাগান করার ৯ মাসের মাথায় ভালো ফলন পাচ্ছেন তারা। ইতিমধ্যে ৫ লাখ টাকার পেয়ারা বিক্রি করেছেন। আশা করছেন বাগানের পেয়ারা বিক্রি করে প্রতিবছর ২০ থেকে ২৫ লাখ টাকা লাভ করবেন তাঁরা।
ওই যুবকদের দেখে এলাকার অনেকেই এখন পেয়ারা চাষে আগ্রহী হচ্ছেন। থাই পেয়ারা চাষ শুরু করে তাঁদের বেকারত্ব দূর হওয়ার পাশাপাশি বাগানে প্রায় ৪০ জন শ্রমিকের কাজের সুযোগ হয়েছে।
আরও পড়ুনঃ শীর্ষ কৃষি ব্যবসার ধারণা 2022: স্বল্প বাজেটে এই কৃষি ব্যবসা শুরু করে ভাল মুনাফা অর্জন করুন
মিডিয়া রির্পোট অনুযায়ী, উপজেলা সদর থেকে পাঁচ কিলোমিটার দূরে ফুলবাড়ী-শিমুলবাড়ি সড়কের পাশে চার একর জমি লিজ নিয়ে গত বছরের জুনে তাঁরা পেয়ারা চাষ শুরু করেন। উর্বর মাটি ও অনুকূল আবহাওয়ার পাশাপাশি সবল চারা, জৈব সার, সেচ ও নিয়মিত পরিচর্যা করায় অল্প দিনেই প্রতিটি গাছ থেকে আশানুরূপ ফলন পাচ্ছেন।
বাংলাদেশের এক সংবাদপত্রে প্রকাশিত খবর অনুযায়ী, ২০২০ সালের প্রথম দিকে তিনি রাজশাহীতে ঘুরতে গিয়ে ওখানকার এক পেয়ারাচাষির সঙ্গে পরিচিত হন। কৌতূহলী হয়ে তাঁর বাগান দেখেন ও বাগান থেকে লাভের হিসাব শুনে নিজেও থাই পেয়ারার বাগান করার সিদ্ধান্ত নেন। চার একর জমি ১২ বছরের জন্য ইজারা নিয়েছেন ।
আরও পড়ুনঃ সেচ দেওয়ার জন্য় গুনতে হচ্ছে বাড়তি টাকা, বৃষ্টি না হওয়ায় চিন্তায় দিন কাটচ্ছেন পাট চাষীরা
মিডিয়া রিপোর্ট অনুযায়ী, এ পর্যন্ত ওই যুবকদের ৮ লাখ টাকা খরচ হয়েছে। গত বছর চারা রোপণের ৯ মাস পর থেকেই ফল সংগ্রহ করেন তারা । বাগানে ৩ হাজার ৭০০ গাছের সবগুলোতে মোটামুটি ভালো ফল ধরেছে। এবার তারা আশা করছেন, প্রতিবছর খরচ বাদে বাগানের পেয়ারা বিক্রি করে ২০ থেকে ২৫ লাখ টাকা লাভ করতে পারবেন।
Share your comments