উত্তরপ্রদেশের বুলন্দশহর জেলার বাসিন্দা গোবর্ধন যাদব এবং তাঁর স্ত্রী চাকরির সন্ধানে দিল্লিতে এসেছিলেন। বিশেষ কোনো কাজ না পেয়ে দিল্লির নজবগড় এলাকায় কিছু জমি ভাগাভাগি করে সবজি চাষের কাজ শুরু করেন। কৃষ্ণ যাদবের ক্ষেতে উত্থিত সবজি সংরক্ষণের কোনও কৌশল সম্পর্কে জ্ঞান ছিল না, যার কারণে অবশিষ্ট সবজি নষ্ট হয়ে যায়।
এ কারণে সবজি বিক্রি করে পেট চালানো তার পক্ষে কঠিন হয়ে পড়ে। এরই মধ্যে এক বন্ধুর মাধ্যমে জানতে পারেন আচার তৈরির প্রশিক্ষণ নেওয়ার কথা। তিনি প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে আচার তৈরির দক্ষতা শিখে সবজির পাশাপাশি আচার বিক্রি শুরু করেন।
আরও পড়ুনঃ দীর্ঘ প্রতীক্ষার পর অবশেষে পুনরায় চালু হচ্ছে এই দুই জোড়া প্যাসেঞ্জার ট্রেন
প্রথমে কেউ কৃষ্ণ যাদবের আচারের প্রশংসা করেনি বিশেষভাবে । কিন্তু কঠোর পরিশ্রম ও নিষ্ঠার সাথে যখন তার ব্যবসা শুরু হয় তখন মানুষ তার প্রশংসা করতে থাকে। কৃষ্ণ যাদব আগে জানতেন কীভাবে আম, লেবু এবং গুজবেরির আচার তৈরি করতে হয়। কিন্তু প্রশিক্ষণের পর তিনি সব ধরনের আচার তৈরি করতে শিখেছেন।
সবজি থেকে আচার তৈরির সুবিধা হলো ক্ষেতে উৎপাদিত সবজি সঠিক দামে বিক্রি না হলে সেগুলো শুকিয়ে আচার তৈরি করা যায়। এভাবে সবজির চেয়ে আচার তৈরিতে বহুগুণ বেশি উপকারিতা দেখে তিনি সবজি বিক্রি বন্ধ করে শুধু আচার তৈরিতে মনোনিবেশ করেন।
ব্যবসা কিছুটা এগোলে কৃষ্ণ যাদব প্রতিবেশী মহিলাদের সঙ্গে নিয়ে প্রচুর পরিমাণে আচার তৈরি করতে শুরু করেন।তিনি তার ক্ষেতে উত্থিত ফসলের আচার, গাজর, টমেটো, বাঁধাকপি এবং আমলা খুব সহজভাবে তৈরি করেন। যাতে কোনও ক্ষতিকারক উপাদান তিনি দেন না ।
তিনি আরও খামার ভাড়া নেন এবং কৃষ্ণার মতো মহিলারা সাথে যোগ দিতে শুরু করেন। নিজের ক্ষেতের তাজা ফসল থেকে তিনি নতুন জাতের আচার উদ্ভাবন করেন । পরে আশেপাশের বাজারে বিক্রির কাজ শুরু করেন যা খুবই সফল।
আরও পড়ুনঃ এখন থেকে কৃষি কাজে রাসায়নিক সার ব্যবহার করবেন না ঝাড়খণ্ডের কৃষকরা
বর্তমানে কৃষ্ণ যাদব চারটি কোম্পানীর মালিক এবং এই কোম্পানীর লেনদেন কোটি কোটি টাকা । ডিডি কিষানের সঙ্গে আলাপকালে কৃষ্ণ জানান, আজ হাজার হাজার মহিলা তাঁর কোম্পানিতে কাজ করছেন। কৃষ্ণ যাদবের কঠোর পরিশ্রম ও অক্লান্ত
পরিশ্রম দেখে সরকারও তার কাজের প্রশংসা করেছে। এর পাশাপাশি তিনি বহু পুরস্কারে ভূষিত হয়েছেন।
Share your comments