ঘূর্ণিঝড় আবারও বঙ্গোপসাগরে আঘাত হানতে শুরু করেছে, যার প্রভাব পড়তে পারে পশ্চিমবঙ্গেও । আলিপুর আবহাওয়া দফতরের মতে, ঘূর্ণিঝড়ের ফলে তৈরি নিম্নচাপ শক্তিশালী হলে রাজ্যে তাপমাত্রার পরিবর্তন হতে পারে। যদিও আবহাওয়া দফতর বলছে যে আপাতত বাংলায় বৃষ্টির কোনও সম্ভাবনা নেই, তবে আবহাওয়া দফতর বলছে যে এটি অবশ্যই রাজ্যের আবহাওয়ার পরিবর্তন করবে।
প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী, দক্ষিণ-পূর্ব বঙ্গোপসাগরে একটি ঘূর্ণিঝড় তৈরি হচ্ছে, যার প্রভাবে তা ধীরে ধীরে ঘনীভূত হয়ে নিম্নচাপে পরিণত হবে। এটি শ্রীলঙ্কার উপকূলের কাছাকাছি আসার সাথে সাথে এই নিম্নচাপ আরও ঘনীভূত হবে। এর ফলে দক্ষিণ ভারতের রাজ্যগুলিতে বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে।
আবহাওয়া দফতর জানিয়েছে যে এই চাপটি তামিলনাড়ু এবং পুদুচেরি উপকূলে অভ্যন্তরীণ থাকবে। তবে এই নিম্নচাপ থেকে ঘূর্ণিঝড়ের কোনো সম্ভাবনা নেই। পশ্চিমবঙ্গে এর প্রভাবে বৃষ্টির সম্ভাবনা দেখছেন না আবহাওয়াবিদরা। "যদি এই নিম্নচাপটি দক্ষিণে শক্তিশালী হয়, তবে বাংলায় তাপমাত্রায় কিছুটা পরিবর্তন হতে পারে।
আরও পড়ুনঃ রাজ্য জুড়ে হালকা শীতের আমেজ মাটি করতে পারে বঙ্গোপসাগরে তৈরি ঘুর্ণাবর্ত
আলিপুর আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে, আগামী কয়েকদিন কলকাতা সহ দক্ষিণবঙ্গের আবহাওয়া শুষ্ক থাকবে। যদিও সোমবার পাহাড়ি দার্জিলিংয়ে বিক্ষিপ্ত বৃষ্টি হতে পারে। দক্ষিণ বঙ্গোপসাগরে ঘূর্ণিঝড় পরিস্থিতির ওপর নজর রাখছে আলিপুর আবহাওয়া দফতর। বাংলায় প্রভাব না ফেললেও নিম্নচাপ জোরদার হচ্ছে কি না, তা দেখছেন এ রাজ্যের আবহাওয়াবিদরা।
সোমবার কলকাতায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা 21 ডিগ্রি সেলসিয়াস হতে পারে। রবিবার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৩১ দশমিক ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস। শীত না থাকলেও কলকাতা ও তার আশেপাশের এলাকায় শীতের আমেজ বিরাজ করছে। সকালের দিকে ঠান্ডা বাতাস ও কিছুটা কুয়াশাও দেখা যায়। তবে বেলা বাড়ার সাথে সাথে প্রখর রোদের সাথে ঠান্ডার অনুভূতিও ম্লান হয়ে যায়। ঘূর্ণিঝড়ের কারণে এই তাপমাত্রার পরিবর্তন হতে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদফতর। প্রসঙ্গত, আবহাওয়া দফতর বলছে, নভেম্বরের মাঝামাঝি থেকে বাংলায় শীতের অনুভূতি আরও বাড়তে পারে।
Share your comments