প্রখর গ্রীষ্মের দাবদাহে উত্তপ্ত হচ্ছে গোটা বাংলা। এদিকে বৃষ্টির নাম মাত্র নেই শহরের বুকে। সাধারণত এই সময় আবহাওয়ার সঙ্গে যুক্ত হয় কালবৈশাখী নামের ঝড়ের নাম। সারাদিন গরমে অস্বস্তি হলেও বিকেলে শুরু হয় কালো মেঘের খেলা। সঙ্গে ঝড়। মার্চ মাস থেকেই বাংলায় শুরু হয় কালবৈশাখীর দাপট। কিন্তু এই বছর মার্চ পেরিয়ে এপ্রিল মাস পড়ে গেলেও এখনও পর্যন্ত কালবৈশাখীর দেখা নেই। সময়ে কালবৈশাখীর না আসাকে এক অশনি সংকেতের আশঙ্কা দেখছে হাওয়া অফিস।
হাওয়া অফিসের বিশেষজ্ঞদের মতে এমন আবহাওয়া দীর্ঘ ১২২ বছরেও দেখা যায়নি বাংলার বুকে। সাধারণত মার্চ মাসে অন্য বছর গুলিতে ১০ থেকে ১১ টি কালবৈশাখী হয়ে যায়। কিন্তু এই বছর মার্চ পেরিয়ে এপ্রিল চলে এলেও এখনও দেখা মিলছে না কালবৈশাখীর। আগামী ১০ই এপ্রিল পর্যন্ত কোনও ঝড় বা বৃষ্টির পূর্বাভাস নেই বাংলায়। বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন ১২২ বছর পর এবারই প্রথম এই নজিরবিহীন দৃষ্টান্ত যে কোনও কালবৈশাখীর দেখা মেলেনি।
আরও পড়ুনঃ Summer Tips- এই রঙের ছাতা সূর্যের ক্ষতিকারক রশ্মি থেকে দেবে সুরক্ষা
তবে আবহাওয়ার এই বিপুল পরিবর্তন আশঙ্কার ঘণ্টা বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অফিস। তাঁদের মতে দরজায় কড়া নাড়ছে গ্লোবাল ওয়ার্মিং। এতদিন গ্লোবাল ওয়ার্মিং বা উষ্ণায়ন বিশ্ব স্তরে দেখা যেত এবার তা দেখা যাচ্ছে আঞ্চলিক স্তরেও। বাংলার বুকেও প্রভাব ফেলছে গ্লোবাল ওয়ার্মিং বা উষ্ণায়ন। এমনটাই মনে করছে হাওয়া অফিস। তাঁদের মতে এই ধরনের জলবায়ুর পরিবর্তন দীর্ঘ ১২২ বছরে দেখা যায়নি।
এদিকে আগামী দিনে বৃষ্টির পূর্বাভাস নিয়ে আবহাওয়া অফিসের তরফে জানান হয়েছে আপাতত দক্ষিনবঙ্গে বৃষ্টির কোনও সম্ভাবনা নেই। তবে উত্তরবঙ্গে আগামী ২৪ ঘণ্টায় রয়েছে বৃষ্টির সম্ভাবনা। আলিপুরদুয়ার, কালিম্পং, জলপাইগুড়ি, কোচবিহারে হালকা থেকে ভারী বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে।
আরও পড়ুনঃ Monsoon 2022: জলদি আসবে বর্ষা, কৃষকরা শীঘ্রই প্রচণ্ড তাপ থেকে স্বস্তি পাবেন, চাষে খুব ভাল লাভ হবে
Share your comments