খারিফ মরসুমে (Kharif Season) অর্থাৎ আষাঢ়-শ্রাবণ মাস থেকে শুরু করে আশ্বিন মাস পর্যন্ত মাঠে বিভিন্ন ধরণের ফসল দেখা যায়। আবার কৃষকবন্ধুরা মরসুমি ফসলের সাথে সাথে বাজারের চাহিদা দেখে এবং আবহাওয়ার প্রতিকূলতার সাথে প্রযুক্তির অবলম্বন করে অনেক বৈচিত্র্যপূর্ণ চাষ করে থাকেন। খারিফ মরসুমের প্রধান ফসল ধান, খারিফ ভুট্টা, এছাড়া বাড়ছে এখন বর্ষাতি পেঁয়াজ চাষের এলাকাও।
আইএমডি (IMD)-র পূর্বাভাস অনুযায়ী, আগামী ৪-৫ দিন ধরে কলকাতা সহ দক্ষিণবঙ্গের জেলাগুলিতে চলবে বৃষ্টিপাত। তবে শুধু কলকাতা এবং দক্ষিণবঙ্গই নয়, উত্তরবঙ্গেও বৃষ্টিপাতের পূর্বাভাস রয়েছে।
আবহাওয়াবিদদের মতে, গাঙ্গেয় পশ্চিমবঙ্গের উপর নিম্নচাপ সৃষ্টি হওয়ায় পশ্চিমবঙ্গে প্রচুর পরিমানে জলীয় বাস্প ঢুকছে, ফলে বজ্রগর্ভ মেঘ তৈরী হয়েছে, সেই জন্যই ভারী বৃষ্টি শুরু হয়েছে।
এদিকে কাল মধ্যরাতের পর আজ পুনরায় সকাল থেকেই দক্ষিণবঙ্গের বেশ কিছু জেলাতে বৃষ্টি শুরু হয়েছে। রাজ্যে সকাল থেকে সারাদিন আকাশ ছিল আংশিক মেঘলা, সর্বোচ্চ তাপমাত্রা – ৩০-৩৫ ডিগ্রী সেন্টিগ্রেড, সর্বনিম্ন তাপমাত্রা – ২৫-২৮ ডিগ্রী সেন্টিগ্রেড। বাতাসে আর্দ্রতার পরিমাণ ৮৫-৯২ শতাংশ।
সূত্র অনুযায়ী, হাওড়া, দুর্গাপুর, বর্ধমান, কালনাতে বজ্রবিদ্যুৎ সহ বৃষ্টিপাত হয়েছে। আগামী 8 দিন ধরে চলতে পারে এই ঝড়-বৃষ্টি, বলে জানিয়েছে আলিপুর আবহাওয়া দফতর।
এখন খরিফ মরসুম, আমন ধান বপনের সময়। তাই এই সময় বৃষ্টিপাতে কৃষকের বড় ক্ষতির সম্ভবনা নেই, বরং তা তাদের ক্ষেতের জন্য ভালো। সুতরাং, এই বৃষ্টিপাতে যেন স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলছে রাজ্যের মানুষ।
আঞ্চলিক আবহাওয়া কেন্দ্র, মুম্বাইয়ের এক টুইট বার্তায় বলা হয়েছে, দক্ষিণ-পূর্ব ও সংলগ্ন পূর্ব মধ্য আরবীয় সমুদ্র এবং লাক্ষাদ্বীপ অঞ্চল জুড়ে একটি নিম্নচাপ তৈরী হয়েছে। আবহাওয়া অধিদফতরের তথ্য অনুযায়ী, এই নিম্নচাপ থেকে তৈরী হওয়া ঘূর্ণিঝড়ের সঞ্চালন মধ্য ট্রপোস্ফিয়ারিক স্তর পর্যন্ত বিস্তৃত রয়েছে এবং এই ঘূর্ণিঝড়টি সম্ভবত উত্তর দিকে অগ্রসর হতে চলেছে। ৩ রা জুনের মধ্যে এটি উত্তর মহারাষ্ট্র এবং গুজরাট উপকূলে আছড়ে পড়তে পারে। এর জেরেই মুম্বই সহ বিভিন্ন জায়গায়, মহারাষ্ট্রে, গুজরাটে শুরু হয়েছে ভারী বৃষ্টিপাত। আইএমডি থেকে মহারাষ্ট্র এবং গুজরাটে সতর্কতা জারি করা হয়েছে।
আরও পড়ুন - Monsoon Update: নিম্নচাপের দাপটে নাগাড়ে বৃষ্টি, রাজ্যজুড়ে দুর্যোগের আশঙ্কা
বছরের এই সময়টিতে বৃষ্টিপাত সবসময় কম বেশী হয়ে থাকায় ফসলে সেচের জলের খুব একটা সমস্যা থাকে না ঠিকই, কিন্তু বায়ুমন্ডলের তাপমাত্রা এবং আপেক্ষিক আর্দ্রতা বেশী থাকার ফলে ফসলে বিভিন্ন ধরণের রোগ এবং কীটশত্রু এই সময়কার ফসলকে মারাত্মকভাবে আক্রমণ করে। খারিফ ঋতুতে একদিকে প্রতিকূল পরিবেশ এবং অন্যদিকে মাটির স্বাস্থ্য ও পরিবেশবান্ধব চাষের জন্য সঠিক সময়ে সঠিক প্রযুক্তি ও উপকরণ ব্যবহার করতে হবে কৃষকদের এবং এর মাধ্যমে একক এলাকা থেকে তাদের ফসলে বেশী ফলন পাওয়া সম্ভব।
আরও পড়ুন - Duare Sarkar: ১৬ আগস্ট থেকে রাজ্যে ফের চালু দুয়ারে সরকার, জেনে নিন বিস্তারিত তথ্য
Share your comments