বুধবার মৌসম বিভাগের তরফে অরেঞ্জ অ্যালার্ট জারি করা হয়েছে ৷ বৃষ্টির পাশাপাশি ৫০-৬০ কিলোমিটার বেগে হাওয়া বইবে ৷ আরব সাগরের উপরে তৈরি হওয়া ঘূর্ণিঝড় টাউকটে মঙ্গলবার রাতেই অনেকটাই শক্তি হারিয়েছে ৷ তবে আগামী দু’দিন দিল্লি-এনসিআর-সহ (Delhi-NCR) উত্তর ভারতের একাধিক শহরে হাল্কা থেকে মাঝারি বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে ৷ ভারতীয় মৌসম বিভাগ (IMD) মঙ্গলবার জানিয়েছে, টাউকটে উত্তর ভারতের দিকে এগোতে থাকায় দক্ষিণ রাজস্থানে বৃষ্টি হয়েছে ৷
Cyclone Tauktae-র প্রভাব:
আইএমডি-এর তরফে জানানো হয়েছে, বুধবার রাজস্থান ও হরিয়ানায় পৌঁছে যাবে ঘূর্ণিঝড় ৷ এর জেরে পূর্ব ও পশ্চিমী উত্তরপ্রদেশ, পূর্ব রাজস্থান ও দিল্লি-এনসিআর এ মাঝারি বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে ৷ দিল্লির বেশ কিছু জায়গায় ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে ৷ আইএমডি-র তরফে জানানো হয়েছে, দিল্লি-এনসিআর (বাহাদুরগড়, গুরুগ্রাম, ফরিদাবাদ, বল্লভগড়,নয়ডা), পানিপত, সোনিপত, গোহানা, সহসবান, নরৌরা, অনুপশহর-সহ একাধিক জায়গায় বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে ৷
ঘূর্ণিঝড় 'যশ-র প্রভাব:
অন্যদিকে, কয়েকদিনের প্যাচপ্যাচে গরমে নাজেহাল বঙ্গবাসী। ঘরে থেকেও গরমে অতিষ্ঠ হয়ে উঠছেন সকলে। এসবের মাঝেই ঘূর্ণিঝড়ের পূর্বাভাস দিয়েছে আলিপুর আবহাওয়া দপ্তর। ২৩মে রবিবার আছড়ে পড়তে পারে ঘূর্ণিঝড়। যার নাম ‘যশ” । মৌসম ভবনের খবর অনুযায়ি ঘূর্ণিঝড় 'যশ’ চোখ রাঙাতে শুরু করেছে, ঠিক তখনই রবিবার বঙ্গোপসাগরের ওপরে তৈরি নিম্নচাপ ওড়িশা ও বাংলা লক্ষ্য করে ঝাঁপিয়ে পড়ার জন্য তৈরি৷ মারাত্মক Cyclone Yasa |
বঙ্গোপসাগরে তৈরি হয়েছে এই ঘূর্ণাবর্ত৷ নতুন ঝড়ের নাম 'যশ'। গত বছর এই সময় নাগাদই আমফান ধ্বংসলীলা চালিয়েছিল, এখনও সেই দগগদে ক্ষত নিয়ে বাংলা আতঙ্ককে দেখতে পায়৷ ফলে যশের নাম শুনেই কাপঁন শুরু হয়ে গেছে৷ এই ঝড় ২৭ তারিখ নাগাদ ঝাঁপাতে পারে৷ ২৩ তারিখ নাগাদ নিম্নচাপ ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হবে৷ ওড়িশা ও বাংলা লক্ষ্য করে এগোতে পারে এই নিম্নচাপ যা ততক্ষণে গভীর নিম্নচাপ থেকে অতিগভীর নিম্নচাপ থেকে সাইক্লোনে পরিণত হতে শুরু করবে৷ তবে সঠিকভাবে কতটা মারাত্মক হবে তা আগামী ২-১ দিনে জানা যাবে৷ এমনটাই জানিয়েছেন আবহাওয়া দফতরের মাধবন রাজীবণ এই খবর জানিয়েছেন৷ তাঁর প্রাথমিক ধারণা সাইক্লোন Tauktae-র থেকে কম ভয়ঙ্কর হতে চলেছে৷ সাইক্লোন Tauktae দিউতে ল্যান্ডফলের পর মহারাষ্ট্র ও গুজরাতেও ধ্বংসলীলা চালিয়েছে৷ এবার যশের ধ্বংস লীলার জন্য প্রহর গোনা শুরু করেছে ওড়িশা ও পশ্চিমবঙ্গ৷
আরও পড়ুন - কিছুক্ষণের মধ্যেই আবারও রাজ্য জুড়ে বৃষ্টিপাত, আবহাওয়া দফতর জারি করল সতর্কতা
এর জেরে চলতি মাসের শেষে প্রবল ঝড়, বৃষ্টির আশঙ্কা করা হচ্ছে। এর তীব্রতা আমফানের থেকেও বেশি হতে পারে। আলিপুর আবহাওয়া দপ্তরের তরফে জানানো হয়েছে, অন্যবারের তুলনায় খানিকটা আগেই এবার বর্ষা প্রবেশ করবে দেশে। কেরলে বর্ষা প্রবেশ করার কথা চলতি মাসের শেষে। ১ লা জুন বর্ষা প্রবেশ করবে দেশে। বাংলায় বর্ষা ঢুকতে পারে ৮ জুন।
নিবন্ধ: রায়না ঘোষ
আরও পড়ুন - Tauktae Update - অবিচ্ছিন্ন বৃষ্টিপাত, লাল সতর্কতা জারি করল আইএমডি