কৃষিজাগরন ডেস্কঃ বাংলাদেশ, ভারত, শ্রীলংকা, মিয়ানমার, মালয়েশিয়া ও চীনে আমলকির বড় বাজার রয়েছে ।পশ্চিমবঙ্গের গ্রাম-গঞ্জের প্রায় সব এলাকাতেই আমলকীর গাছ দেখা যায়। অঞ্চলভেদে এটিকে আমলা বলা হয়। এর বৈজ্ঞানিক নামঃ Emblica officinalis Gaertn। আমরা কৃষিজাগরনে নিয়মিত কৃষকদের সাথে নানা বিষয় নিয়ে আলোচনা করে থাকি। এর ফলে কৃষকরা কৃষি জমি, শিক্ষা, অর্থনীতি এসব বিষয়ে নানা রকম জ্ঞান লাভ করে থাকেন।আজ আমরা কথা বলব আমলকি চাষের পদ্ধতি নিয়ে।আসুন জেনে নেই আমলকি চাষ পদ্ধতি।
বীজ সংগ্রহ ও চারা উত্তোলন
আমলকী গাছে মার্চ-মে মাসে ছোট ছোট হলুদাভ ফুল দেখা গেলেও ফল পাকে নভেম্বর-ফেব্রুয়ারী মাসে। সুদৃশ্য ফল হিসেবে আমলকী আমাদের সকলের কাছেই পরিচিত। আমলকী খেতে কশ স্বাদের হলেও খাওয়ার পর পানি খেলে মুখ মিষ্টি লাগে। এই রহস্যময় ব্যাপারটির জন্যই আমলকীর ব্যাপক পরিচিতি। ফল ড্রুপ আকৃতির। এক কেজিতে সাধারণত ২০০-২২০টি আমলকী পাওয়া যায়। প্রতিটি ফলে ৫-৬টি প্রকোষ্ঠ থাকে এবং প্রতি প্রকোষ্ঠে একটি করে বীজ থাকে। ফলের মাংসল অংশ খেয়ে শক্ত আবরণসহ বীজ রোদে শুকালে ফেটে বীজ বের হয়। আমলকির বীজ নভেম্বর-ফেব্রুয়ারী মাসে সংগ্রহ করতে হবে। প্রতি কেজিতে ৪০০০-৪৫০০০টি পাওয়া যাবে।
আরও পড়ুনঃ বরবটি কি ১২মাস চাষ করা যায় ? জেনে নিন বরবটি চাষের সঠিক পদ্ধতি এবং সার প্রয়োগের প্রক্রিয়া
রোপনের সময়
বর্ষাকালের শুরুতে অর্থাৎ বৈশাখ মাস থেকে জ্যৈষ্ঠ্ মাসের দিকে চারা রোপন করার উপযুক্ত সময়।তবে বর্ষাকালের শেষের দিকে অর্থাৎ ভাদ্র বা আশ্বিন মাসে ও চারা রোপন করা যায়। বর্ষার মাঝামাঝি সময়ে রোপন না করা ভালো।
গর্ত তৈরি
চারা রোপন করার ১৫-২০ দিন আগে ৭×৭ মিটার দূরে ১×১×১ মিটার আকারের গর্ত তৈরি করতে হবে। গর্তের মাটির সাথে ভালো করে সার মিশিয়ে দিতে হবে। গোবর সার বা জৈব সার ১০-১৫ কেজি, টিএসপি সার ৫০০ গ্রাম, এমওপি সার ২৫০ গ্রাম ও জিপসাম সার ২০০ গ্রাম ভালোভাবে মাটির সাথে মিশিয়ে গর্ত ভরাট করে দিতে হবে। প্রয়োজনে জল সেচ দিতে হবে।
আরও পড়ুনঃ কিন্নু এবং মৌসুমি চাষ আর হিমাচলে সীমাবদ্ধ নেই,এখন আগ্রাতেও কিন্নু চাষ হচ্ছে
আমলকি গাছে সার প্রয়োগের পদ্ধতি
১-২ বছর বয়সী গাছের জন্য জৈব সার দিতে হবে ৫-১০ কেজি, ইউরিয়া দিতে হবে ২০০ গ্রাম, টিএসপি দিতে হবে ১০০ গ্রাম, এমওপি দিতে হবে ১০০ গ্রাম, জিপসাম দিতে হবে ৫০ গ্রাম। ৩-৫ বছর বয়সী গাছের জন্য জৈব সার দিতে হবে ১০-১৫ কেজি,ইউরিয়া দিতে হবে ৩০০-৫০০ গ্রাম, টিএসপি দিতে হবে ২০০-৩০০ গ্রাম, এমওপি দিতে হবে ২০০-৩০০ গ্রাম, জিপসাম দিতে হবে ১০০ গ্রাম।
Share your comments