
সমস্ত কৃষিজাতীয় প্রয়োজনীয়তা মেটাতে, কেন্দ্রীয় ও রাজ্য সরকার কর্তৃক প্রবর্তিত কিষাণ ক্রেডিট কার্ড প্রকল্পের আওতায় দেশজুড়ে কৃষকদের লোণ দেওয়া হচ্ছে স্বল্পতম সুদের হারে। এই ধারাবাহিকতায় ‘উজ্জীবন স্মল ফিনান্স ব্যাংক’ কৃষকদের তাদের চাহিদা মেটাতে এবং সমস্ত আর্থিক প্রয়োজনীয়তা সমাধানে সহায়তা করতে সম্প্রতি ‘কিষাণ প্রগতি কার্ড’ চালু করেছে। অধিকন্তু, ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক কৃষকদের ফসল উত্পাদন, প্রাক ও ফসল কাটার প্রয়োজনীয়তা, কার্যকরী মূলধন এবং খামারের সম্পদ রক্ষণাবেক্ষণের জন্য অন্যান্য ব্যয় ইত্যাদির কথা মনে রেখে 'কিষাণ প্রগতি কার্ড' চালু করা হয়েছে। ব্যাংকের এক কর্মকর্তা জানিয়েছেন, ব্যক্তিগত দুর্ঘটনা বীমা প্রকল্পও (পিএআইএস) কিষাণ প্রগতি কার্ড প্রকল্পের আওতায় পাওয়া যাবে।
উজ্জ্বীবন স্মল ফিনান্স ব্যাংক:
উজ্জ্বীবন স্মল ফিনান্স ব্যাংক লিমিটেড ভারতে ক্ষুদ্র আর্থিক ব্যাংক ব্যবসা পরিচালনার জন্য ব্যাংকিং নিয়ন্ত্রণ আইন, ১৯৪৯ এর ২২ ধারায় লাইসেন্স প্রাপ্ত একটি ব্যাংক, এর হোল্ডিং সংস্থাটি উজ্জ্বান ফিনান্সিয়াল সার্ভিসেস লিমিটেড এবং ১ ই ফেব্রুয়ারী, ২০১৭ থেকে ব্যাংকটি কাজ শুরু করে।

কিষাণ প্রগতি কার্ডের সুবিধা -
- ‘কিষাণ প্রগতি কার্ড’ বার্ষিক নবায়ন বিকল্পের সাথে ৫ বছরের জন্য ১০ লক্ষ টাকা পর্যন্ত লোণের সীমা সরবরাহ করে।
- এটি ১-৫ বছরের মধ্যে ১০ লক্ষ টাকা পর্যন্ত লোণ দেয়।
- তিন লাখ টাকা পর্যন্ত লোণের জন্য সুদের হার শূন্য থাকবে।
- লোণের বিকল্পের অধীনে, উজ্জ্বীবন স্মল ফিনান্স ব্যাংক কৃষকদের বিভিন্ন আর্থিক চাহিদা মেটাতে কৃষকদের উন্নতির লক্ষ্যে জরুরি প্রস্তাব দেয়।
কিষাণ প্রগতি কার্ড কী?
উজ্জীবন স্মল ফিনান্স ব্যাংকের চিফ বিজনেস অফিসার সঞ্জয় কাও বলেন, “যেখানে আজও বেশিরভাগ জনগোষ্ঠীর আয় বা জীবিকা কৃষির উপর নির্ভরশীল সেখানে কৃষিতে লোণ প্রাপ্তি কৃষকের কাছে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয়। তা সত্ত্বেও, কৃষকরা, বিশেষত ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক কৃষকেরা প্রাতিষ্ঠানিক লোণ থেকে বঞ্চিত হন এবং এর ফলে তারা স্থানীয় মহাজনের কাছে যেতে এবং উচ্চ-সুদের হারে লোণ নিতে বাধ্য হন। কিষাণ প্রগতি কার্ডের মাধ্যমে, উজ্জ্বীবন স্মল ফিনান্স ব্যাংক কৃষকদের লোণের প্রয়োজনীয়তা পূরণের জন্য কৃষিকাজ সম্পর্কিত কার্যক্রমের জন্য ত্রাণ সরবরাহ করে, কৃষকদের উন্নত জীবন অর্জনে উপকৃত করেছে।
স্বপ্নম সেন (swapnam@krishijagran.com)