উৎপল রায়, জলপাইগুড়ি, কৃষি জাগরণ: দিন কয়েক আগেই ঝড়বৃষ্টি ফলে ব্যাপক ক্ষতির মুখে লঙ্কা চাষিরা। অন্যান্য কৃষিকাজের মতোই কিছুটা লাভের আশায় লঙ্কা চাষ করেছেন জলপাইগুড়ির কৃষকরা। ময়নাগুড়ির হলহলিয়া এলাকার কৃষক সজনীকান্ত রায়, এবছর দেড় বিঘা জমিতে লঙ্কা গাছ রোপন করতে তার ৩৫ হাজার টাকা খরচ হয়।
গতবছর লঙ্কার বাজারদর না থাকায় ব্যাপক ভাবে ক্ষতির সম্মুখীন হতে হয়। এবছর রাসায়নিক সার ও কীটনাশকের অতিরিক্ত দাম হওয়ায় সঠিক সময় জমিতে সার ও কীটনাশক স্প্রে করতে না পারায় মাথায় হাত লঙ্কা চাষীদের। লঙ্কা চাষীর একাংশ জানান, "যেভাবে প্রতিবছর বছর রাসায়নিক সারের দাম বাড়ছে সেই তুলনায় কৃষিকাজ না করাই লাভ হবে। লঙ্কা চাষ করতে প্রচুর পরিমাণে রাসায়নিক সার আর অর্থ ব্যয় করতে হয়। এবার পাইকারি বাজারে ২৫-২৮ টাকা প্রতি কেজি ধরে বিক্রি হচ্ছে।" এদিকে সঠিক সময় রাসায়নিক সার দিতে না পারায় হলহলিয়া এলাকার বেশ কয়েকজন কৃষকের জমিতে নষ্ট হয়ে যাচ্ছে লঙ্কা গাছ।
আরও পড়ুনঃ বাংলা শস্য বিমাঃ মিটবে চিন্তা, বরাদ্দ হল ৩৪৫ কোটি টাকা
একজন লঙ্কা চাষী সজনীকান্ত রায় বলেন, "লঙ্কা চাষ করে সেরকম লাভ হয় না বরং ক্ষতি হয়। সারের দাম, পোকা মারা ঔষধের দাম সে অনুযায়ী লঙ্কা বিক্রি করে কৃষকদের কিছু থাকে না। সব ক্ষেত্রে লস। দেড় বিঘা লঙ্কা চাষ করে ৩৫ হাজার টাকা খরচ হয়েছে। বিক্রি এখনও পর্যন্ত হয়নি। মাইকো লঙ্কার দাম তো খুব কর্মই থাকে। আর বুলেট লঙ্কার বাজার ভালো থাকলে দাম ভালো পাওয়ায় যেতে পারে। প্রতি বছরেই লসের মুখে পড়তে হয়। গতবছরের প্রথমদিকে দাম ছিল না শেষ দিকে কিছু টা দাম বাড়ায় কিছু টা এসেছে। বুলেট লঙ্কার দাম কেমন হয় সেটার উপর নির্ভর করছে লাভ লস।
আরও পড়ুনঃ সহায়ক মুল্যে আলু কেনা হবে? মিটবে কৃষকদের দাবি? কি বলছে কৃষি দফতর
Share your comments