
ফুলকপি একটি পুষ্টিকর, সুস্বাদু ও আমাদের দেশে জনপ্রিয় সবজি। পশ্চিমবঙ্গে ১৯৯৬-৯৭ সালে মোট ১০ হাজার হেক্টর জমিতে ফুলকপি চাষাবাদ হয় এবং উৎপাদন হয় প্রায় ৭৬ হাজার টন। আমাদের দেশে চাষকৃত ফুলকপি অধিকাংশই সংকর জাতের এবং বিদেশ থেকে আমদানিকৃত। ঠাণ্ডা ও আর্দ্রতা জলবায়ুতে ফুলকপির ভাল ফলন পাওয়া যায়। সেচ ও জল নিষ্কাশনের সুবিধা আছে এমন ধরনের সব মাটিতে ফুলকপির চাষ ভাল হয়।
এ দেশে এখন ফুলকপির পঞ্চাশটিরও বেশি জাত পাওয়া যাচ্ছে। শীতকালেই আগাম, মধ্যম ও নাবি মরসুমে বিভিন্ন জাতের ফুলকপি আবাদ করা যায়।
আগাম চাষ করা যায় ফুলকপির এমন জাতগুলি হলো –
১) অগ্রহায়ণী,
২) আর্লি পাটনা,
৩) আর্লি স্নোবল,
৪) সুপার স্নোবল,
৫) ট্রপিক্যাল স্নো,
৬) সামার ডায়মন্ড এফ১,
৭) ম্যাজিক স্নো ৫০ দিন এফ১,
৮) হোয়াইট বিউটি,
৯) কেএস ৬০,
১০) আর্লি বোনাস,
১১) হিট মাস্টার,
১২) ক্যামেলিয়া,
১৩) আর্লি মার্কেট এফ১,
১৪) স্পেশাল ৪৫ এফ১,
১৫) স্নো কুইন এফ১ ইত্যাদি।
এসব জাতের বীজ শ্রাবণ-ভাদ্র মাসে বপন করা যায়।
মাঝ মওসুমের উপযুক্ত অনেক জাত আছে। এগুলো হলো-
১) বারি ফুলকপি ১ (রূপা),
২) চম্পাবতী ৬০ দিন,
৩) চন্দ্রমুখী,
৪) পৌষালী,
৫) রুসী,
৬) স্নোবল এক্স,
৭) স্নোবল ওয়াই,
৮) হোয়াইট টপ,
৯) স্নো ওয়েভ,
১০) মোনালিসা এফ১,
১১) ম্যাজিক ৭০ এফ১,
১২)বিগটপ, চন্দ্রিমা ৬০ এফ১,
১৩) হোয়াইট ফ্যাশ, বিগশট,
১৪) হোয়াইট কনটেসা ইত্যাদি।
এসব জাতের বীজ ভাদ্র-আশ্বিন মাসে বপন করতে হয়।
নাবি করে ফুলকপি চাষ করতে চাইলে মাঘী বেনারসি, ইউনিক স্নোবল, হোয়াইট মাউন্টেন, এরফার্ট ইত্যাদি জাত লাগানো যেতে পারে। এই জাতের বীজ কৃষক আশ্বিন-কার্তিক মাসে বপন করে আবাদ করতে পারেন।
Share your comments