কৃষিজাগরন ডেস্কঃ চন্দন কাঠের চাষ বেশ লাভজনক, কারন চন্দন কাঠ আমাদের দেশের পাশাপাশি বিদেশেও প্রচুর চাহিদা রয়েছে। চন্দন গাছের চাহিদা দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। চন্দন কাঠের চাষে আপনাকে যে পরিমাণ অর্থ ব্যয় করবেন, তার থেকে বহুগুণ বেশি অর্থ আপনি উপার্জন করতে পারবেন।
তবে, এর জন্য আপনাকে কমপক্ষে ১৫-২০ বছর দীর্ঘ অপেক্ষা করতে হবে। এতে ব্যয় হয় প্রায় এক লাখ টাকা এবং এতে মুনাফা হয় ৬০ লাখ থেকে ১ কোটি টাকা পর্যন্ত। শ্বেত চন্দন গাছগুলিকে চিরসবুজ হিসাবে বিবেচনা করা হয়, এর থেকে উত্পাদিত তেল এবং কাঠ ঔষধ তৈরি করতেও ব্যবহৃত হয়। শ্বেত চন্দন কাঠের তেল সাবান, প্রসাধনী এবং আতর সুগন্ধ হিসাবে ব্যবহৃত হয়।
চন্দন সাধারণত তিন প্রকারের (types of sandalwood), শ্বেতচন্দন, রক্ত চন্দন (red sandalwood) বা লাল চন্দন,পিত চন্দন। তবে পিত চন্দনের কথা শোনা গেলেও এর কোন অস্তিত্ব পাওয়া যায় না। শ্বেত এবং রক্ত চন্দন দুটিই ঔষধ ও প্রসাধনী শিল্পে ব্যবহার হয়। এর মধ্যে শ্বেতচন্দন এর মূল্য বেশী। একটি চন্দন গাছ নামমাত্র পরিচর্যায় ১০-১৫ বছরের ব্যবধানে পেনশনের মত আর্থিক সুবিধা দিতে পারে।
আরও পড়ুনঃ মিউচুয়াল ফান্ডের থেকে ভালো,১০০ টাকা বিনিয়োগে হতে পারেন কোটিপতি ,কিভাবে?
একটি চন্দন গাছ বিক্রির উপযুক্ত হতে ১২ বছর সময় লাগে আর প্রথম চার বছর এই গাছটিতে কোন সুগন্ধ থাকে না। চন্দন গাছ যথোপযুক্ত হতে ১২ বছর সময় লাগে।এই ১২ বছর পর ১৫০-২০০ কেজি চন্দন কাঠ তৈরি হয় যার আর্থিক মূল্য ১০ লক্ষেরও বেশি। চন্দন গাছ ভীষণ দামি হওয়ার কারণে এই গাছটিকে চুরির হাত থেকে বাঁচাতে হয়।
আরও পড়ুনঃ তাপমাত্রা বাড়ছে,ধান রক্ষায় আজই করুন এই কাজগুলো
গাছের বয়স ২০ হলে এই গাছ থেকে প্রায় ৩০০ থেকে ৩৫০ কেজি কাঠ পাওয়া যাবে । মাটির উপরের ভাগের কাঠের দাম বর্তমান বাজারে যা ১৫ হাজার টাকা প্রতি কেজি৷ তবে ২০ বছর পর আরও দাম বাড়ার সম্ভাবনা রয়েছে । এমনকি মাটির ভিতর শিকড় ইত্যাদি কাঠও পাওয়া যেতে পারে নয় নয় করেও প্রায় ১৫ লক্ষ টাকার। অর্থাৎ বর্তমানে কোনও গাছ রোপণ করলে ২০ বছর পর অনায়াসেই আপনি গাছের সংখ্যা অনুযায়ী ৬০ লক্ষ থেকে কোটি টাকার মালিক হয়ে যেতে পারেন।
Share your comments