SCO সামিট 2022 : বাজরা একটি 'সুপার ফুড': প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি

সাংহাই সহযোগিতা সংস্থার বৈঠকে যোগ দিতে উজবেকিস্তানে রয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। শুক্রবার এসসিও সম্মেলনে, প্রধানমন্ত্রী মোদি খাদ্য সংকট কাটিয়ে উঠতে

KJ Staff
KJ Staff
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বাজরা চাষকে উৎসাহিত করেছেন (ছবি ক্রেডিট: পিক্সবে)

কৃষিজাগরন ডেস্কঃ সাংহাই সহযোগিতা সংস্থার বৈঠকে যোগ দিতে উজবেকিস্তানে রয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। শুক্রবার এসসিও সম্মেলনে, প্রধানমন্ত্রী মোদি খাদ্য সংকট কাটিয়ে উঠতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থার পরামর্শ দেন। প্রধানমন্ত্রী বলেন, বিশ্ব আজ খাদ্য সংকটের আকারে একটি বড় চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি। মোদির মতে, বাজরা চাষ এবং ব্যবহার প্রচার করা নাগরিকদের খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য একটি দুর্দান্ত সমাধান হতে পারে।

প্রধানমন্ত্রী মোদী বলেছিলেন, যে বাজরা এমন একটি সুপারফুড, যা হাজার হাজার বছর ধরে শুধু এসসিও দেশগুলিতেই নয়, বিশ্বের বড় অংশে চাষ করা হচ্ছে। প্রধানমন্ত্রীর মতে, খাদ্য সংকট মোকাবেলায় এটি একটি ঐতিহ্যবাহী, পুষ্টিকর এবং কম দামের খাবারের বিকল্প। মোদি বলেছিলেন যে ২০২৩ সালটি জাতিসংঘের মিলটের আন্তর্জাতিক বছর হিসাবে পালিত হবে। এমতাবস্থায় এসসিওর অধীনে একটি মিলেটস ফুডস ফেস্টিভ্যাল আয়োজন করা উচিত।

আরও পড়ুনঃ শণের বীজ উৎপাদন পদ্ধতি

পিআইবি-র একটি রিপোর্ট অনুসারে, ভারত প্রতি বছর ১৭০  লক্ষ টনের বেশি বজরা উৎপাদন করে। এটি ১৩১ টি দেশে চাষ করা হয়। এশিয়া ও আফ্রিকার প্রায় ৬০০ মিলিয়ন মানুষ এটিকে তাদের ঐতিহ্যবাহী খাবার হিসেবে বিবেচনা করে। এশিয়ায় উৎপাদিত বাজরের প্রায় ৮০ শতাংশই ভারতে চাষ হয় ।

গবেষণা অনুসারে, বাজরা ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে এবং কোলেস্টেরলের মাত্রা উন্নত করে। এটি ক্যালসিয়াম, জিঙ্ক এবং আয়রনের ঘাটতি দূর করে এবং সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণভাবে এটি গ্লুটেন-মুক্ত। এটি হৃদরোগের বিরুদ্ধেও উপকারী। এছাড়াও, বাজরা শক্তির একটি ভাল উত্স। এটি গ্রহণ করলে আপনার ভিতরে শক্তি থেকে যায়। এই কারণেই একে সুপারফুডও বলা হয়।

আরও পড়ুনঃ গমের জাত 2022: এই 3টি জাতের গমের সবচেয়ে নতুন, 120 দিনে 82.1 কুইন্টাল ফলন দেবে

বাজরা চাষের জন্য কী ধরনের মাটির প্রয়োজন হয়? বাজরা চাষে বেশি জলের প্রয়োজন হয় না।উচ্চ তাপমাত্রায় সহজেই বৃদ্ধি পায়। এদের উৎপাদন অন্যান্য ফসলের তুলনায় সহজ এবং একই সাথে পোকামাকড় ও মাইট দ্বারা সৃষ্ট রোগ থেকেও রক্ষা পায়। ভাল নিষ্কাশন সহ মাঝারি থেকে ভারী মাটির জন্য এর চাষ উপযোগী। মাটির pH মান ৬.৫ থেকে ৭.৫ এর মধ্যে হওয়া উচিত। বেলে দোআঁশ মাটিতেও বাজরা চাষ করা যায়।

কখন চাষ করতে হবে

বর্ষা শুরু হলেই বাজরা চাষ করা হয়। তবে অনেক রাজ্যে মার্চ-এপ্রিল মাসেও এর চাষ হয়।বাজরা চাষ করার আগে অবশ্যই ক্ষেতের গভীর লাঙ্গল করতে হবে। তারপর মাটিতে ভালোভাবে কম্পোস্ট মেশাতে হবে ।

বজরা বপনের পদ্ধতি কি

বাজরা দুইভাবে বপন করা হয়। প্রথম পদ্ধতিতে কৃষকরা জমিতে বাজরার বীজ ছিটিয়ে হালকা চাষের পর মাটিতে মিশিয়ে দেয়। অন্যভাবে, কৃষকরা জমিতে বীজ স্প্রে করে এমনভাবে গভীর লাঙ্গল করেন যাতে বীজ ২ থেকে ৩ সেন্টিমিটার গভীরে যায়। বীজ বপনের পর কৃষকদের সময়ে সময়ে ফসলে সেচ দিতে হবে। তবে এ সময় খেয়াল রাখতে হবে যেন ক্ষেতে জল নিষ্কাশনের সঠিক ব্যবস্থা থাকে।

বাজরা কাটতে ৭০ থেকে ৮০ দিন সময় লাগে। বাজরার দানা শক্ত হয়ে বাদামী দেখালে ফসল কাটতে হবে । এক হেক্টর জমিতে বাজরা চাষ করে ২৫  থেকে ৩০ কুইন্টাল শস্যের ফলন পেয়ে ভাল লাভ করা যায়।

Published On: 16 September 2022, 05:20 PM English Summary: SCO Summit 2022 : Millets a 'super food': PM Narendra Modi

Like this article?

Hey! I am KJ Staff . Did you liked this article and have suggestions to improve this article? Mail me your suggestions and feedback.

Share your comments

আমাদের নিউজলেটার অপশনটি সাবস্ক্রাইব করুন আর আপনার আগ্রহের বিষয়গুলি বেছে নিন। আমরা আপনার পছন্দ অনুসারে খবর এবং সর্বশেষ আপডেটগুলি প্রেরণ করব।

Subscribe Newsletters