সর্বভারতীয় স্তরে এবং দেশের বিভিন্ন অংশে সবেদা নামক ফলটি ভীষণই জনপ্রিয়। হিন্দি ভাষা-ভাষীরা এই ফলকে চিকু নামে জানেন। সবেদার ফলন যেমন খোলা জমিতে করা যায়, তেমনই খুব সহজে এই গাছ বাড়ির বাগানের টবেও করা যেতে পারে। আর এই গাছে খুব একটা বেশি যত্ন করার প্রয়োজন হয় না। আর, এই ফল আপনার শরীরের শ্বেতসার, খনিজ, লবন ও ক্যালসিয়ামের ঘাটতি পূরণ করবে।
জাত ও মাটি তৈরি পদ্ধতি
সবেদা মুলত দুই ধরনের হয় ।গোলাকার এবং ডিম্বাকৃতি ।সব ধরনের মাটি সবেদা চাষ করার জন্য উপযোগী । তবে, বেলে দোআঁশ মাটিতে ভাল হবে। ঘন বৃষ্টিপাত হওয়া অঞ্চলে সফেদা ভালো হয়।
রোপণ
সবেদার জাত বিভিন্ন ধরনের হয় । তাই জাত এবং মাটির প্রকারভেদে সবেদা গাছ রোপণ করা উচিৎ।
আরও পড়ুনঃ Safeda Farming- সবেদার জাত পরিচিতি এবং চাষ পদ্ধতি
সার প্রয়োগ
গাছ লাগানোর ১ বছর পর প্রতি বর্ষার আগে গাছপ্রতি ২৫ থেকে ৩০ কেজি পচা গোবর সার, ১০০ গ্রাম ইউরিয়া, ১৫০ গ্রাম টিএসপি, ১৫০ গ্রাম এমওপি, ৪০ গ্রাম বোরাঙ্, ৫০ গ্রাম জিঙ্ক সালফেট সার প্রয়োগ করতে হবে। চারা লাগানোর ৪-৫ মাস পর থেকে নিয়মিত সরিষার খৈল পচা জল প্রয়োগ করতে হবে । সরিষার খৈল কমপক্ষে ৭ দিন জলে ভিজিয়ে রাখতে হবে । তারপর সেটা গাছের গোরায় দিতে হবে।
পোকামাকড় ও রোগবালাই
খোসা পোকা গাছের পাতা, পাতার বোঁটা, কচি ডগা ও ফলের রস চুষে খেয়ে গাছের ক্ষতি করে। এরা দুভাবে ক্ষতি করে থাকে। প্রথমত, রস চুষে খাওয়ার ফলে গাছের জীবনীশক্তি হ্রাস পায়। দ্বিতীয়ত, রস চুষে খাওয়ার সময় এরা গাছে একপ্রকার বিষাক্ত পদার্থ মিশিয়ে দেয়। ফলে আক্রান্ত পাতা, ডগা ও ফলের ওপর হলুদ দাগ দেখা যায়। এজন্য মারাত্মকভাবে আক্রান্ত হয় গাছ। এতে সব পাতা ফ্যাকাশে হয়ে যেতে পারে। পরে গাছ ধীরে ধীরে শুকিয়ে মারা যায়।
Share your comments