বাংলাদেশে দিন দিন বাড়ছে কলার চাষ। উৎপাদন খরচ কম ও লাভজনক হওয়ায় কলা চাষে আগ্রহ বাড়ছে কৃষকের। বাংলাদেশের নওগাঁর মান্দায় কলা চাষ বেড়েছে ব্য়পক হারে। চাষ বাড়তে থাকায় হাটে আমদানিও বাড়ছে। বর্তমানে কলা বেচাকেনার পাইকারি মোকামে পরিণত হয়েছে উপজেলার সতিহাট। সপ্তাহে এ হাটে এখন অন্তত কোটি টাকার কলা বেচাকেনা হচ্ছে।
মিডিয়া রিপোর্ট অনুযায়ী, প্রতি রোববার বিকেল থেকে শুরু হয় বেচাকেনা, চলে মঙ্গলবার সকাল পর্যন্ত। তবে সোমবার দিনভর জমজমাট বেচাকেনা চলে। এখানকার কলা চলে যায় রাজধানী ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে। হাটবারে ক্রেতা ও বিক্রেতাদের হাঁক-ডাকে জমজমাট হয়ে উঠে হাটের আশপাশ।
আরও পড়ুনঃ আশানুরূপ মুকুল এসেছে গাছে, আশার আলো দেখছেন আম চাষিরা
কৃষকদের কথা অনুযায়ী , কলা চাষে উৎপাদন খরচ ও পরিশ্রম দুটোই কম। একই সঙ্গে কীটনাশক কম প্রয়োগ করতে হয়। ঝুঁকি নেই বললেই চলে। জমিতে একবার চাষ করলে ফল পাওয়া যায় ৪ থেকে ৫ বছর। এক বিঘা জমিতে খরচ বাদে লাভ হয় ৬০ থেকে ৭০ হাজার টাকা। লাভজনক হওয়ায় ক্রমেই এ চাষে আগ্রহ বাড়ছে তাঁদের।
মিডিয়া রিপোর্ট অনুযায়ী, চলতি মৌসুমে উপজেলায় ৩০০ হেক্টর জমিতে কলা চাষ করেছেন কৃষকেরা। এর মধ্যে গণেশপুর, মৈনম, প্রসাদপুর ও কুসুম্বা ইউনিয়নে কলার চাষ বেশি হচ্ছে। পাশাপাশি অন্য ইউনিয়নগুলোতেও বাড়ছে কলার চাষ।
আরও পড়ুনঃ সখের বসে কালো টমেটো চাষে করে লাখপতি বাংলাদেশের যুবক
প্রতি হাটবারে অন্তত ৩৫ থেকে ৪০ ট্রাক কলার আমদানি হয়ে থাকে সতিহাটে। এ হাটের কলা যায় রাজধানী ঢাকার কারওয়ান বাজার, মীরপুর, তেজগাঁওসহ বাংলা দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে। যার বাজার মূল্য অন্তত কোটি টাকা। একই সঙ্গে স্থানীয় খুচরা ব্যবসায়ীরাও কয়েক লাখ টাকার কলা বেচাকেনা করেন।
রোগ-বালাই ও প্রাকৃতিক দুর্যোগের পরও ভালো মানের অন্তত ৩০০ কাঁদি কলা বিক্রি করা সম্ভব। যার বাজার মূল্য প্রায় লাখ টাকা। জমিতে একবার চারা রোপণ করলে চার থেকে পাঁচ বছর ফল পাওয়া যায়।
Share your comments