এখন টার্কি পালনের কারণে কৃষকদের আয় বাড়ছে- আমাদের দেশে টার্কি পালন দ্রুত বাড়ছে। উদয়পুরের মহারানা প্রতাপ ইউনিভার্সিটি অফ এগ্রিকালচার অ্যান্ড টেকনোলজির অধীনে লাইভস্টক প্রোডাকশন বিভাগ কেরি বিরাট জাতের টার্কির প্রজনন করছে।
টার্কি খামারগুলি মূলত মাংস, ডিম এবং সার তৈরি করা হয়। এর প্রায় 25 শতাংশ মাংস এবং 13 শতাংশ ডিম প্রোটিনে পাওয়া যায়। নাইট্রোজেন থাকে ৫ থেকে ৬ শতাংশ এবং পটাশ ২ থেকে ৩ শতাংশ।
টার্কি খামার কর্মসংস্থান
টার্কি পাখির দৈহিক বৃদ্ধি দ্রুত হয়, যার ফলে 7 থেকে 8 মাসে এর ওজন 10 থেকে 12 কেজি হতে পারে। এর ডিমের ওজন মুরগির ডিমের চেয়ে বেশি। টার্কি বছরে 100 থেকে 120 ডিম উৎপাদন করে।
মাংস এবং ডিমের পুষ্টি
টার্কির মাংসের গ্লাইসেমিক ইনডেক্স কম থাকায় এটি ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য উপকারী। এর মাংস ভিটামিন-এ অ্যামাইনো অ্যাসিড, নিয়াসিন, ভিটামিন-বি-তে পরিপূর্ণ। এটি অসম্পৃক্ত ফ্যাটি অ্যাসিড এবং অন্যান্য প্রয়োজনীয় চর্বি সমৃদ্ধ।
আরও পড়ুনঃ এক লিটার দুধের দাম ১০ হাজার টাকা!
২০১৬ সালে রামকৃষ্ণ মিশনের অধীনে শস্য শ্যামলা কৃষি বিজ্ঞান কেন্দ্রের সহায়তায় প্রথম বাণিজ্যিক উদ্দেশ্যে টার্কি পাখি চাষের জন্য পরীক্ষা নিরীক্ষা শুরু। তারপর থেকেই রাজ্য জুড়ে টার্কি পাখি চাষের জনপ্রিয়তা উত্তরোত্তর বৃদ্ধি পেয়েছে।
চাহিদা বৃদ্ধিই ব্যবসায় এনেছে মুনাফা -
পশ্চিমবঙ্গে টার্কির চাহিদা ক্রমবর্ধমান। বিশেষ করে উৎসবের মরসুমে রেস্তোরাঁ মালিকরা চাইছেন স্পেশাল ডিস হিসেবে টার্কি রাখতে। এছাড়াও টার্কি বর্তমানে স্বাস্থ্যসচেতন মানুষেরও বেশ প্রিয়। রেড মিটের থেকে টার্কির মাংসে চর্বির পরিমাণ অনেক কম। এক সূত্র অনুযায়ী জানা গেছে, ২০১৯ সালে কেবল সরকারের ঘর থেকেই টার্কির মাংস বিক্রি হয়েছিল ১০ টন। ২০২০ সালে তা দ্বিগুণ হওয়ার লক্ষ্যে।
এসএইচজি, আতমা প্রকল্প, ব্লক প্রকল্প ইত্যাদি বিভিন্ন গোষ্ঠীর উদ্যোগে গ্রামীণ অঞ্চলে টার্কির বাচ্চা বিতরণ করা হয়। কম খরচে/বিনা খরচে এই সকল গোষ্ঠীর থেকে টার্কি নিয়ে বিশেষজ্ঞের পরামর্শে পালন করলে সহজেই প্রচুর পরিমাণ অর্থ উপার্জন করা যায়।
Share your comments