দেশের কৃষক জন্য রয়েছে সুখবর । আসলে, সরকারী সংস্থা ইফকো (IFFCO)-র বিশেষজ্ঞরা দীর্ঘদিন ধরে একটি গবেষণা করছিলেন। সম্প্রতি, এই গবেষণার ফলস্বরূপ এখন বাজারে এসেছে তাদের ন্যানো সার। আর এই ন্যানো সারে রয়েছে জৈব নাইট্রোজেন। কৃষি ক্ষেতগুলিতে রাসায়নিক নাইট্রোজেনের পরিবর্তে জৈব নাইট্রোজেন ব্যবহার করলে শস্য, ফল এবং শাকসব্জীর আরও উচ্চ গুণমান এবং উচ্চ ফলন হবে। ইফকো-র বিশেষজ্ঞরা ফসলের বৃদ্ধির জন্য ইউরিয়ার পরিবর্তে জৈব সার ন্যানো প্রস্তুত করেছেন। যে ক্ষেত্রগুলিতে নাইট্রোজেনের ঘাটতি থাকবে সেখানে ন্যানো সারের স্প্রে করা যেতে পারে।
ন্যানো সারের ব্যবহার ব্যয় হ্রাস করবে -
কৃষকদের ফসলে ন্যানো সার ব্যবহার করতে ইউরিয়ার চেয়ে কম ব্যয় হবে। এ ছাড়া ফসলের ফলনও জৈব পদ্ধতিতে হবে। সাফল্যের জন্য ৩ বছর ধরে ন্যানো সার ফসলে ব্যবহারের উপর সারাদেশে ট্রায়াল পরিচালনা করা হয়েছে। এখন ন্যানো সার সমস্ত পরীক্ষায় সম্পূর্ণ সফল হয়েছে। সাফল্যের পর ন্যানো সার উৎপাদনের প্রস্তুতি শুরু হয়েছে ব্যাপক পরিমাণে। এর জন্য, গুজরাতে প্রতিদিন ১০০০ টিরও বেশি প্যাকিং উত্পাদন ক্ষমতার একটি প্ল্যান্ট নির্মিত হচ্ছে।
জলে মিশিয়ে ন্যানো সার স্প্রে করুন -
ন্যানো সার ইউরিয়ার চেয়ে ফসলে অনেক বেশি কার্যকর প্রমাণিত হয়েছে। ন্যানো সারের মূল্যও কৃষকদের আয়ত্তের মধ্যে। জলে মিশিয়ে উদ্ভিদে এই সার স্প্রে করলে ২ থেকে ৩ দিনের মধ্যে ফসল বৃদ্ধি পেতে শুরু করে।
সার মন্ত্রণালয়ে ন্যানো সার নিবন্ধন -
সার মন্ত্রণালয়ে ন্যানো সার নিবন্ধনের প্রক্রিয়া চলছে। সরকারের অনুমোদন পেলে সারাদেশে কৃষকদের জন্য বড় আকারে ন্যানো সার উৎপাদন শুরু করা হবে। ২০২১ সালের মধ্যে ইউরিয়ার জায়গায় জৈব সার ন্যানো কৃষকদের কাছে থাকবে বলে অনুমান করা হচ্ছে। সরকারের পক্ষে স্বস্তির বিষয় যে বাজারে ন্যানো জৈব সার প্রবর্তনের পর বিদেশ থেকেও ইউরিয়া আমদানির সমস্যাটি শেষ হয়ে যাবে।
8 টি জায়গায় ন্যানো সারের ট্রায়াল চলেছে -
ইফক-র বিশেষজ্ঞরা বলেছেন যে জৈব সার ন্যানোর সফল পরীক্ষা-নিরীক্ষা করা হয়েছে সমগ্র দেশের বেশ কয়েকটি জায়গায়। সমস্ত ফসলের উপর পরীক্ষা করা হয়েছে এই সার ব্যবহার করে। রাজস্থানের সিকার, ঝুনঝুনু সহ অনেক জেলায় ন্যানো সার প্রয়োগ করা হয়েছে রবি ও খরিফ ফসলে। বর্তমানে জোয়ার, বাজরা, শাকসবজি এবং অন্যান্য খরিফ ফসলের উপর এর প্রয়োগ চলছে।
কৃষকরা ন্যানো সার নিয়ে সন্তুষ্ট -
কৃষকরা ইউরিয়ার পরিবর্তে ন্যানো সার ব্যবহার করে যথেষ্ট সন্তুষ্ট। তারা জানিয়েছেনযে, যে তাদের জমিতে জোয়ার ও বাজরা ফসলের উপর ন্যানো সারের একটি পরীক্ষা চলছে। ফসল ভালভাবে বৃদ্ধি পাচ্ছে। এ ছাড়া বাঁধাকপি এবং অন্যান্য উদ্ভিজ্জ ফসলের উপর ন্যানো সার সফলভাবে পরীক্ষা করা হয়েছে। ফলাফলটিও সফল প্রমাণিত হয়েছে।
Image source - Google
Related link - (Mahindra & Mahindra) লকডাউনের মধ্যেও ট্র্যাক্টর বিক্রয় শীর্ষে মাহিন্দ্রা অ্যান্ড মাহিন্দ্রা সংস্থার
Share your comments