কৃষিজাগরন ডেস্কঃ খড় থেকে উৎপন্ন ধোঁয়া পরিবেশের জন্য একটি বড় সমস্যা। খরিফ ফসল কাটার পর ধান ও অন্যান্য ফসলের খড় জমিতে পড়ে থাকে। কৃষকরা ওষুধ ছিটিয়ে বা মেশিনের মাধ্যমে ফসলের অবশিষ্টাংশ নিষ্পত্তি করেন না। তড়িঘড়ি করে তারা মাঠে পড়ে থাকা খড়কুটোতে আগুন ধরিয়ে দেয়। এর অসুবিধা হল পরিবেশে AQI মাত্রা বাড়ছে। কার্বন কণা বৃদ্ধির কারণে দিল্লি সহ পার্শ্ববর্তী রাজ্যগুলিতে শ্বাসকষ্টের রোগীর সংখ্যা বেড়েছে। খড় নিয়ে কেন্দ্র ও রাজ্য সরকারের কাছে অভিযোগ পৌঁছেছে। এখন খড় পোড়ানো কৃষকদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিচ্ছে সরকার। সরকারী স্কিম, যার সুফল কৃষকরা দিচ্ছে, এখন যারা খড় পোড়ায় তাদের কাছ থেকে কেড়ে নেওয়া হচ্ছে।
আরও পড়ুনঃ Bihar rajya Fasal sahayata Yojana: আবহাওয়ার কারণে ফসলের ক্ষতি হয়েছে? ক্ষতিপুরন পাবেন কৃষকরা
মিডিয়া রিপোর্ট অনুযায়ী, বিহারে খড় পোড়ানোর ঘটনাও সামনে আসছে। বিহারের চন্ডি ও নাগারনৌসার ৩৫ জন কৃষকের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। স্কিমগুলির সুবিধা ৩ বছরের জন্য পাওয়া যাবে না। কর্মকর্তারা বলছেন, স্যাটেলাইটের মাধ্যমে নালন্দার প্রতিটি ক্ষেত্র পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে। খড় পোড়ানোর জন্য সদর দফতর যে অবস্থান পাচ্ছে। তার ভিত্তিতে চণ্ডী ও নাগরনৌসার বিভিন্ন গ্রামে গিয়ে সেখানে ফসলের ধ্বংসাবশেষ পাওয়া যায়। পরে খড় পোড়ানো কৃষকদের চিহ্নিত করা হয়। সকলেই সরকারি প্রকল্পের সুবিধা থেকে বঞ্চিত হয়েছেন।
উত্তরপ্রদেশের গোরখপুরে খড় পোড়ানো কৃষকদের বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। মিডিয়া রিপোর্ট অনুযায়ী, কর্মকর্তারা বলছেন যে কোনো কৃষক খড় পোড়াতে ধরা পড়লে তাকে জরিমানা করা হবে। এক একর চাষিদের ২৫০০ টাকা পর্যন্ত জরিমানা এবং এক একরের বেশি চাষিদের ৫০০০ টাকা পর্যন্ত জরিমানা করা যেতে পারে। এখানেও খড় পোড়ানো কৃষকরা সরকারি প্রকল্প থেকে বঞ্চিত হবেন।
আরও পড়ুনঃ সরকার গাছ লাগানোর জন্য ভর্তুকি দিচ্ছে, এখানে আবেদন করুন
যারা খড় পোড়ায় তাদের বিরুদ্ধে উত্তরপ্রদেশের বিভিন্ন জেলায় অভিযান চলছে। উত্তরপ্রদেশের ফতেহপুরে, ধান কাটার জন্য ১৬টি হারভেস্টার মেশিন বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। রাজস্ব দল এবং কৃষি বিভাগের যৌথ দল প্রতিটি গ্রামসভায় চৌপালের মাধ্যমে খড় না পোড়াতে কৃষকদের সচেতন করা শুরু করেছে। খড় পোড়ানো কৃষকদের বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।
Share your comments