প্রধানমন্ত্রী কিষাণ সম্মান নিধি যোজনা হল কেন্দ্রীয় সরকারের একটি প্রকল্প। এই প্রকল্পের মাধ্যমে কৃষকরা প্রতি বছর ৬০০০ টাকা পায় কৃষি কাজের জন্য। কেন্দ্রীয় সরকার ২০০০ টাকার তিনটি সমান কিস্তিতে এই অর্থ সরাসরি কৃষকদের অ্যাকাউন্টে স্থানান্তর করে। এখন পর্যন্ত কৃষকরা এই প্রকল্পের আওতায় ১৫টি কিস্তি পেয়েছে। এখন ১৬তম কিস্তির অপেক্ষায় আছে কৃষকরা।তবে মিডিয়া রিপোর্ট অনুযায়ী,ফেব্রুয়ারির শেষ সপ্তাহে বা মার্চ মাসে প্রথম দিকে ১৬ তম কিস্তি কৃষকদের দেওয়া হতে পারে। তবে এখনো আনুষ্ঠানিকভাবে কোনও ঘোষণা করা হয়নি।
সাম্প্রতিক কালে প্রধানমন্ত্রী কিষাণ সম্মান নিধি যোজনার টাকা বাড়ানো হতে পারে বলে খবর ছড়িয়েছিল।অনেকেই মনে করছিলেন লোকসভা নির্বাচনের আগে হয়ত কৃষকদের খুশি করতে এই প্রকল্পের টাকা বাড়ানো হতে পারে।অনুমান করা হচ্ছিল যে এই প্রকল্পে বরাদ্দ অর্থ ৬০০০ থেকে বাড়িয়ে ৮হাজার করা হতে পারে।কিন্তু সংসদে এই সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তরে কেন্দ্রীয় কৃষিমন্ত্রী অর্জুন মুন্ডা সাফ জানিয়ে দিলেন,এইরকম কোনও রকম পরিকল্পনা সরকারের নেই।মঙ্গলবার সংসদে তিনি বলেন যে পিএম-কিসান প্রকল্পের অধীনে কৃষকদের আর্থিক সুবিধা প্রতি বছর ৮০০০ বা ১২০০ টাকা কোনও প্রস্তাব নেই। কৃষিমন্ত্রী অর্জুন মুন্ডা লোকসভায় লিখিত উত্তরে বলেছেন যে প্রকল্পের অধীনে মহিলা কৃষকদের জন্য পরিমাণ বাড়ানোর কোনও প্রস্তাব বিবেচনাধীন নেই।
আরও পড়ুনঃ কৃষকবন্ধু প্রকল্পে কি টাকা বাড়তে চলেছে? বছরে কত টাকা দেওয়া হবে?
কী বললেন অর্জুন মুন্ডা?
প্রধানমন্ত্রী কিষান সম্মান নিধির টাকা বাড়ানো নিয়ে সংসদ ভবনে সরকারকে প্রশ্ন করা হয়েছিল। প্রশ্ন করা হয়েছিল যে সরকার পিএম কিষানের পরিমাণ প্রতি বছর ৮০০০ টাকা বা ১২০০০ করার পরিকল্পনা করছে কিনা। এর জবাবে কৃষিমন্ত্রী বলেন, এ ধরনের কোনো প্রস্তাব বিবেচনাধীন নয়। এছাড়াও, কেন্দ্রীয় মন্ত্রী অর্জুন মুন্ডা বলেছেন যে এখন পর্যন্ত সরকার ১১ কোটিরও বেশি কৃষককে ১৫ টি কিস্তিতে ২.৮১ লক্ষ কোটি টাকারও বেশি অর্থ প্রদান করেছে।
আরও পড়ুনঃ PM kisan:৬হাজার থেকে বাড়িয়ে ১২ হাজার করা হতে পারে কিষান সম্মান নিধির টাকা,নেপথ্যে কোন অঙ্ক?
অনেক কৃষক এই প্রকল্পের সুবিধা পেয়েছেন
মুন্ডা আরও বলেছিলেন যে পিএম কিষাণ বিশ্বের বৃহত্তম ডাইরেক্ট বেনিফিট ট্রান্সফার (ডিবিটি) প্রকল্পগুলির মধ্যে একটি। কৃষক-কেন্দ্রিক ডিজিটাল পরিকাঠামো নিশ্চিত করেছে যে এই প্রকল্পের সুবিধাগুলি মধ্যস্বত্বভোগীদের সম্পৃক্ততা ছাড়াই সারা দেশের সমস্ত কৃষকদের কাছে পৌঁছেছে। মন্ত্রী বলেছিলেন যে উত্তরপ্রদেশে, প্রকল্প চালু হওয়ার পর থেকে ১১ কোটিরও বেশি কৃষক প্রধানমন্ত্রী-কিষানের সুবিধা পেয়েছেন। স্কিমটির অপারেশনাল নির্দেশিকা অনুসারে, এই স্কিমের অধীনে যোগ্য সুবিধাভোগীদের সনাক্ত করা এবং যাচাই করা রাজ্য / কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলগুলির দায়িত্ব৷
Share your comments