যদিও ফলের রস সবথেকে বেশি প্রচলিত ও ব্যবহৃত হয় তবে এই গাছের সমস্ত অংশই আলাদা আলাদা ভাবে গুরুত্ব বহন করে। মূল ও গাছের ছাল রঞ্জক ও ঔষধ তৈরিতে কাজে লাগে। কাণ্ড জ্বালানী ও ছোট আসবাব পত্র তৈরিতে ব্যবহার করা হয়। পাতা ও ফল খাদ্য ও নানা প্রকার ঔষধ তৈরিতে লাগে।
-
বিজ্ঞানীদের মতে এই আশ্চর্য ফলটি ক্যান্সার সহ বিভিন্ন প্রকার সংক্রমণ জনিত রোগ, আর্থ্রাইটিস, মধুমেহ, হাঁপানি, উচ্চ রক্তচাপ ও শারীরিক ব্যাথা উপশমে ব্যবহৃত ঔষধের গুরুত্বপূর্ণ উপাদান সমৃদ্ধ। বর্তমানে বিভিন্ন গবেষণায় দেখা গেছে যে এই ফলে ক্যান্সার ফাইটিং নিউট্রিয়েন্ট এবং টিউমার ফাইটিং উপাদান রয়েছে। বিশেষত এটি ব্রেস্ট ক্যান্সারের ক্ষেত্রে খুবই আশা জনক ফল দেখাচ্ছে।
-
এই ফলের রস রক্ত পরিষ্কার ও নানা রকম দূষিত পদার্থকে শরীর থেকে বের করতে সহায়তা করে।
-
হারের সমস্যার ক্ষেত্রেও ননী খুব উপকারী। যাদের হাটুর ব্যাথা, গাটে গাটে ব্যাথা বা অন্য কোনো আর্থ্রাইটিস জনিত রোগে ভুগছেন তাদের জন্যে এই ফলের রস আশির্বাদ স্বরূপ।
-
যাদের অতিরিক্ত ইউরিক অ্যাসিড জনিত সমস্যা রয়েছ তারাও মুক্তির জন্যে এই রসের উপর ভরসা করতে পারেন।
-
বিভিন্ন রোগের উপশমের পাশাপাশি শরীরে টি কোষের উৎপাদন বাড়িয়ে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে। যেহেতু এই ফলের রসে প্রচুর পরিমাণ বিভিন্ন প্রকার ভিটামিন রয়েছ তাই শারীরিক ও মানসিক ক্লান্তি দূর করতে ননীর জুড়ি মেলা ভার। এটি এনার্জি লেভেল বাড়ায় ও বিভিন্ন শারীরবৃত্তিও ক্রিয়া উন্নত করে।
-
এই রস পেটের সমস্যা, চর্মরোগ ও চুলের সমস্যার জন্যও বিশেষ উপকারী। এই রসে অ্যান্টি ফাঙ্গল ও অ্যান্টি ব্যাকটেরিয়াল গুণ থাকায় এটি স্ক্যাল্পের বিভিন্ন অসস্তি যেমন চুলকানি, ফুসকু়ড়ি ও খুশকির মত সমস্যা কমাতে সক্ষম। পাশাপাশি এটি ভিটামিন সি ও অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট যুক্ত হওয়ায় ত্বককে টানটান রেখে ত্বকের বয়স ধরে রাখতে সাহায্য করে। বিশেষত যাদের শুষ্ক ত্বক তাদের খেতে এটি খুবই ভালো ফল দেয়।
-
দক্ষিণ পূর্ব এশিয়ার দেশ গুলিতে এটি সর্দি কাশি, লিভারের সমস্যা ও ম্যালেরিয়া প্রতিরোধে ব্যবহৃত হয়। মূলত এর অ্যান্টি ভাইরাল গুণ সর্দি কাশি ও জ্বরের থেকে আমাদেরকে অনেক টাই দূরে রাখতে সক্ষম।
আরও পড়ুন - কিউয়ি ডায়াবেটিসের রোগীদের জন্য আদৌ কি উপকারী?
তবে এত গুণ থাকা সত্তেও এর বাণিজ্যিক ভিত্তিতে চাষের যথেষ্ট অভাব রয়েছে। তাই সরকারী, বেসরকারী সংস্থা, কৃষক ও কৃষি বিশেষজ্ঞ নির্বিশেষে সকলের উচিত এই অমূল্য সম্পদকে বাণিজ্যিক করণের ব্যাবস্থা করা, পাশাপাশি এটিকে বিশেষ গবেষণা মূলক দৃষ্টিতে দেখা উচিত।
আরও পড়ুন - প্রোস্টেট ও ব্রেস্ট ক্যান্সারের মতো ঝুঁকি কমাবে রসুন, জানুন এর উপকারিতা
Share your comments