শরীরের সুস্বাস্থ্য বজায় রাখতে সব অঙ্গ-প্রত্যঙ্গের সুস্থ থাকা জরুরি বলে মনে করা হয়। স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের মতে, এই ধারাবাহিকতায় আমাদের সবাইকে কিডনির বিশেষ যত্ন নিতে হবে। কিডনি আমাদের শরীর থেকে বর্জ্য এবং অতিরিক্ত তরল দূর করতে কাজ করে। এছাড়া রক্তে জল,সোডিয়াম, ক্যালসিয়াম, ফসফরাস এবং পটাসিয়ামের মতো খনিজ পদার্থের ভারসাম্য বজায় রাখার পাশাপাশি শরীরের কোষ থেকে উৎপন্ন অ্যাসিড দূর করতেও কিডনির গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে।
পরিসংখ্যানের দিকে তাকালে দেখা যায়, গত কয়েক বছরে কিডনি সংক্রান্ত অনেক মারাত্মক রোগের ঝুঁকি উল্লেখযোগ্যভাবে বেড়েছে। অনেকের ক্ষেত্রে কিডনি ফেইলিউরের মতো গুরুতর সমস্যাও মৃত্যুর কারণ হতে পারে। কিডনি স্বাস্থ্য বজায় রাখার গুরুত্ব সম্পর্কে সচেতনতা বাড়াতে প্রতি বছর ১০ মার্চ বিশ্ব কিডনি দিবস পালিত হয়।এবারের থিম 'সকলের জন্য কিডনি স্বাস্থ্য' । আপনার সামান্য অসাবধানতা কিডনিতে পাথর থেকে কিডনি ফেইলিওর পর্যন্ত গুরুতর স্বাস্থ্য সমস্যার ঝুঁকি বাড়িয়ে দিতে পারে। চলুন নিচের স্লাইডে জেনে নেওয়া যাক শরীরের এই গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গটিকে সুস্থ রাখতে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলো কী কী মনে রাখতে হবে?
ডায়াবেটিস ও উচ্চ রক্তচাপ
কিডনি সুস্থ রাখতে ডায়াবেটিস ও উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ করা সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করা হয়। ডায়াবেটিস কিডনি বিকল হওয়ার ঝুঁকি বাড়ায়। উচ্চ রক্তে শর্করার মাত্রা কিডনিতে কিটোনের মাত্রা বাড়াতে পারে, কিডনি ক্ষতির ঝুঁকি বাড়ায়।এ ছাড়া উচ্চ রক্তচাপ কিডনির পাশাপাশি হৃদরোগেও নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে। এই দুটি রোগ নিয়ন্ত্রণ করা প্রয়োজন।
খাবারের প্রতি বিশেষ যত্ন নিন
কিডনি সুস্থ রাখতে খাদ্যাভ্যাসকে পুষ্টিকর ও স্বাস্থ্যকর হওয়া খুবই জরুরি বলে মনে করা হয়। গোটা শস্য, ফলমূল এবং শাকসবজি সমৃদ্ধ খাবার খান। কিডনি বিশেষজ্ঞদের মতে, এই অঙ্গে অনেক মারাত্মক রোগ হওয়ার ঝুঁকি এড়াতে খাবারে লবণের পরিমাণ কম রাখা জরুরি বলে মনে করা হয়। কিডনি সঠিকভাবে কাজ করার জন্য, দিনে পর্যাপ্ত পরিমানে জল পান করা প্রয়োজন ।
অ্যালকোহল থেকে দূরে
অ্যালকোহল সেবনে লিভারের পাশাপাশি কিডনির মারাত্মক ক্ষতি হতে পারে। রক্ত দিয়ে অ্যালকোহল ফিল্টার করা কিডনির পক্ষে কঠিন হয়ে পড়ে, যা কিডনির স্বাস্থ্যকে প্রভাবিত করতে পারে। অত্যধিক অ্যালকোহল পান আপনার রক্তচাপ বাড়ায়, যা কিডনির স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকারক বলে পরিচিত। কিডনি সুস্থ রাখতে অ্যালকোহল থেকে দূরে থাকতে হবে।
আরও পড়ুনঃ ধূমপান ত্যাগ করে শুধু ফুসফুসের রোগই নয়, এই মারাত্মক রোগ থেকেও নিরাপদ থাকতে পারেন
অত্য়াধিক ওষুধ সেবন এড়িয়ে চলুন
অতিরিক্ত ওষুধ সেবনও কিডনির স্বাস্থ্যকে প্রভাবিত করতে পারে। ননস্টেরয়েডাল অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি ড্রাগস (NSAIDs) ওষুধগুলি কিডনিতে রক্ত প্রবাহের পরিমাণ কমিয়ে দেয়, যা তাদের ক্ষতি করতে পারে। অতিরিক্ত ওষুধ খাওয়া থেকে বিরত থাকুন। সব সময় ডাক্তারের পরামর্শেই ওষুধ খেতে হবে।
Share your comments