Tomato Farming: আধুনিক পদ্ধতিতে টমেটো চাষ করে অধিক উপার্জন করুন

টমেটো একটি অতি প্রয়োজনীয়, জনপ্রিয় এবং পুষ্টিকর সবজি। এটি ভিটামিন এ এবং সি-এর অন্যতম উৎস। কাঁচা ও রান্না করে-এ দুইভাবেই টমেটো খাওয়া যায়। সারাবছর বাজারে এই সবজির ব্যাপক চাহিদা থাকায়, এই সবজি বিক্রি করে আর্থিকদিক থেকে লাভবান হয়ে থাকেন কৃষকবন্ধুগণ |

রায়না ঘোষ
রায়না ঘোষ
Tomato Farming
Tomato tree (image credit- Google)

টমেটো একটি অতি প্রয়োজনীয়, জনপ্রিয় এবং পুষ্টিকর সবজি। এটি ভিটামিন এ এবং সি-এর অন্যতম উৎস। কাঁচা ও রান্না করে-এ দুইভাবেই টমেটো খাওয়া যায়। সারাবছর বাজারে এই সবজির ব্যাপক চাহিদা থাকায়, এই সবজি বিক্রি করে আর্থিকদিক থেকে লাভবান হয়ে থাকেন কৃষকবন্ধুগণ |

মাটি(Soil):

আলো-বাতাসযুক্ত উর্বর দো-আঁশ মাটি টমেটো চাষের জন্য সবচেয়ে ভালো। তবে উপযুক্ত পরিচর্যা বেলে দো-আঁশ থেকে এঁটেল দো-আঁশ সব মাটিতেই টমেটোর ভালো জন্মে। মাটির অম্লতা ৬-৭ হলে ভালো হয়। মাটির অম্লতা বেশি হলে জমিতে চুন প্রয়োগ করা দরকার।

চাষের সময়:

টমেটো দীর্ঘমেয়াদী একটি ফসল। বীজ বোনা থেকে শুরু করে গাছের প্রথম ফল পাকা পর্যন্ত কমপক্ষে ১০০ দিন লাগে এবং ফলধারণ জাতভেদে ৩০-৬০ দিন স্থায়ী হয়। বর্ষাকালের চাষের জন্য এপ্রিল থেকে জুন মাস পর্যন্ত এবং আগাম জাতের ক্ষেত্রে জুলাই থেকে আগস্ট মাস এবং শীতকালীন চাষের জন্য সেপ্টেম্বর থেকে অক্টোবর মাস পর্যন্ত চারা উৎপাদনের জন্য বীজতলায় বীজ বপন করা যায়।

আরও পড়ুন -Mushroom Varieties: উন্নতমানের মাশরুমের চাষযোগ্য জাতের পরিচয় ও চাষ পদ্ধতি

বীজতলা তৈরী(Seedbed):

বীজ বোনার আগে  প্রোভক্স/ব্যাভিস্টিন বা ভিটাভ্যাক্স বা সিনকার দ্বারা বীজ শোধন করে নিতে হবে। সুস্থ সবল চারা উৎপাদনের জন্য প্রথমে ১০ গ্রাম মানসম্মত ভাল বীজ ঘন করে প্রতিটি বীজতলায় (বীজ তলার আয়তন হবে দৈর্ঘ্য ১ মিটার ও প্রস্থ ৩ মিটার) বুনতে হয়।এই হিসেবে প্রতি হেক্টরে (প্রায় ২৫০ শতক)) ২০০ গ্রাম (১ গ্রাম/শতাংশ) বীজ বুনতে (গজানোর হার ৮০%) ২০টি বীজতলার প্রয়োজন।

বীজের পরিমাণ:

বীজতলায় বীজ বপনের ক্ষেত্রে শতাংশ জমি প্রতি ১ গ্রাম (২০০ গ্রাম/হেক্টর) বীজ লাগে। তবে জাত ভেদে বীজের পরিমাণ ভিন্ন হতে পারে।

সার প্রয়োগ(Fertilizer):

টমেটো গাছ মাটি থেকে প্রচুর পরিমাণ খাদ্য উৎপাদন গ্রহণ করে। বৃদ্ধির প্রাথমিক পর্যায়ে খাদ্যের অভাব হলে গাছ দ্রুত বাড়ে না এবং পরবর্তী পর্যায়ে খাদ্যের ঘাটতি ফলণ অনেক কমিয়ে দেয়। মাটি পরীক্ষা করে জমির চাহিদা অনুযায়ী সার প্রয়োগ করাই সবচেয়ে ভাল। ইউরিয়া ও এমওপি সার ব্যতীত বাকি সব সার মূলজমি তৈরির সময় প্রয়োগ করতে হবে এবং মাটির সাথে ভালোভাবে মিশিয়ে ফেলতে হবে। তবে দস্তা ও টিএসপি এক সাথে প্রয়োগ করা উচিত নয়। ইউরিয়া ও এমওপি সার সমান তিন ভাগে ভাগ করে তিনবারে উপরি প্রয়োগ করতে হবে। প্রথম ভাগ চারা রোপণের ১০-১৫ দিন পর, দ্বিতীয় ভাগ চারা রোপণের ২৫-৩০ দিন পর, তৃতীয় ভাগ চারা রোপণের ৪০-৪৫ দিন পর উপরি প্রয়োগ করতে হবে।

চারা রোপন:

প্রথমে ১ মিটার চওড়া বেড তৈরি করে নিতে হবে। প্রতি বেডে দুই লাইন করে চারা রোপণ করতে হবে। লাইন থেকে লাইনের দূরত্ব হবে ৬০ সেমি. এবং প্রতি লাইনে চারা থেকে চারা ৬০ সেমি. দূরত্বে লাগাতে হবে। বিকেলের পড়ন্ত রোদে চারা রোপণ করাই উত্তম এবং লাগানোর পর গোড়ায় হালকা সেচ প্রদান করতে হবে।

সেচ:

বর্ষা মৌসুমে তেমন একটা সেচের প্রয়োজন হয় না। টমেটো গাছ জলাবদ্ধতা সহ্য করতে পারে না।সেচ অথবা বৃষ্টির অতিরিক্ত জল দ্রুত নিষ্কাশনের জন্য নালা রাখতে হবে |

মালচিং:

প্রতিটি সেচের পরে মাটির উপরি ভাগের চটা বা চাকামাটি ভেঙে দিতে হবে যাতে মাটিতে পর্যাপ্ত বাতাস চলাচল করতে পারে।

ফসল সংগ্রহ:

ফলের নিচে ফুল ঝরে যাওয়ার পর যে দাগ থাকে ঐ স্থান থেকে লালচে ভাব শুরু হলেই বাজারজাতকরণের জন্য ফল সংগ্রহ করতে হবে। এতে ফল অনেকদিন পর্যন্ত সংরক্ষণ করা যায়। জাত ভেদে ফলন ১৫-৫০ টন/একর হয়। মৌসুম, জাত, আবহাওয়া এবং পরিচর্যা অনুযায়ী প্রতি একর জমিতে ৫০ টনের বেশি টমেটো পাওয়া সম্ভব।

আরও পড়ুন - Flower Farming: ফুল চাষে এই বিষয়গুলি না মানলে, লাভের বদলে হবে ক্ষতি

Published On: 14 August 2021, 03:12 PM English Summary: Tomato Farming: Earn more by cultivating tomatoes in a modern way

Like this article?

Hey! I am রায়না ঘোষ . Did you liked this article and have suggestions to improve this article? Mail me your suggestions and feedback.

Share your comments

আমাদের নিউজলেটার অপশনটি সাবস্ক্রাইব করুন আর আপনার আগ্রহের বিষয়গুলি বেছে নিন। আমরা আপনার পছন্দ অনুসারে খবর এবং সর্বশেষ আপডেটগুলি প্রেরণ করব।

Subscribe Newsletters