Okra Framing - ঢ্যাঁড়শ চাষ থেকে দ্বিগুণ উপার্জন করতে চান? জানুন লাভজনক ঢ্যাঁড়শ চাষের পদ্ধতি

ঢ্যাঁড়শ প্রচুর পরিমাসে ভিটামিন সি, সহ পর্যাপ্ত পরিমানে আয়োডিন ও বিভিন্ন খনিজ পদার্থ রয়েছে। ঢেঁড়শ নিয়মিত খেলে গলাফোলা রোগ হবার সম্ভাবনা থাকে না এবং এটা হজম শক্তি বৃদ্ধিতেও সহায়তা করে।

KJ Staff
KJ Staff
Okra farming
Okra (Image Credit - Google)

ঢ্যাঁড়শ প্রচুর পরিমাসে ভিটামিন সি, সহ  পর্যাপ্ত পরিমানে আয়োডিন ও বিভিন্ন খনিজ পদার্থ রয়েছে। ঢেঁড়শ নিয়মিত খেলে গলাফোলা রোগ হবার সম্ভাবনা থাকে না এবং এটা হজম শক্তি বৃদ্ধিতেও সহায়তা করে।

আসুন জেনে নেওয়া যাক, ঢেঁড় চাষের কৌশল।

মাটি (Soil) :

দোআঁশ ও বেলে দোআঁশ ঢেঁড়শ চাষের জন্য সবচেয়ে উপযোগী। পানি নিষ্কাশনের সুবিধা থাকলে এটেল মাটিতেও চাষ করা যায়।

জাত (Variety) :

শাউনি, পারবনি কানি-, বারী ঢেঁড়শ, পুশা সাওয়ানী, পেন্টা গ্রীন, কাবুলী ডোয়ার্ফ, জাপানী প্যাসিফিক গ্রীন এসব ঢ্যাঁড়শর চাষ উপযোগী জাত। শেষের দুটো জাত সারা বৎসর ব্যাপী চাষ করা চলে।

সময় (Time) :

সারা বছরই চাষ করা যায়। তবে সাধারণতঃ গ্রীষ্মকালে এর চাষ করা হয়। ফাল্গুন চৈত্র ও আশ্বিন-কার্তিক মাস বীজ বোনার উপযুক্ত সময়।

পোকা- মাকড় ও রোগ-বালাই দমন (Disease Management) -

সাদা মাছি দমন ব্যবস্থা:

এ পোকা ঢেঁড়সের চারা গাছ থেকে শেষ পর্যন্ত পাতার রস চুষে খায়।  আক্রান্ত পাতা বিবর্ণ ও কুঁকড়ে যায়। টাফগর / সানগর ২ মিলি,/ এডমায়ার ০.৫ মিলি/ একতারা ০.২৫ গ্রাম / লিটার  লিটার পানি স্প্রে করতে হবে।

১। ৫০ গ্রাম সাবান/সাবানের গুড়া ১০ লিঃ পানিতে মিশিয়ে পাতার নীচে সপ্তাহে ২-৩ বার ভাল করে স্প্রে করতে হবে।

২। ফসলের অবশিষ্টাংশ ধ্বংস করা।

৩। ম্যালথিয়ন ৫৭ ইসি জাতীয় কীটনাশক (প্রতি লিটার পানিতে ২মি.লি. পারিমাণ) অথবা এডমায়ার ২০০ এমএল (প্রতি লিটার পানিতে ০.৫মি.লি. পরিমাণ) মিশিয়ে স্প্রে করা।

পাতা মোড়ানো পোকা:

এই পোকা ঢেঁড়সের কচি পাতা মোড়ায় এবং ভিতরে থেকে পাতার সবুজ অংশ খায়।  আক্রমনের মাত্রা বেশি হলে সুমিথিয়ন/ফলিথিয়ন /নিক্সইয়ন ৫০ ইসি ২ মিলি/ লিটার পানিতে (হেক্টর প্রতি)  মিশিয়ে স্প্রে করতে হবে।

ডগা, কান্ড ও ফল ছিদ্রকারী পোকা:

এ পোকার কীড়া গাছের কচি  ফল ও কান্ড ছিদ্র করে ও ভিতরে কুড়ে কুড়ে খায়। রিপকর্ড ১ মিলি/ সবিক্রন ২ মিলি /সুমিথিয়ন ২ মিলি /ডায়াজিনন ২ মিলি /লিটার পানিতে (হেক্টর প্রতি ) মিশিয়ে স্প্রে করতে হবে।

ঢ়েঁড়সের মোজাইক ভাইরাস রোগঃ

এ রোগে পাতাগুলোতে হলুদ ও সবুজ রংয়ের মোজাইক দেখা যায়। পাতা কুঁকড়ে যেতে পারে এবং গাছের বৃদ্ধি ও ফলন খুব কমে যায়। এ রোগের কোন ঔষধ নেই। আক্রান্ত গাছ তুলে নষ্ট করে দিতে হবে। জমিতে পানি নিষ্কাশন করতে হবে। রোগাক্রান্ত গাছ থেকে বীজ ব্যবহার করা উচিত নয়। এ রোগ সাধারণত সাদা মাছি দ্বারা বিস্তার লাভ করে। সাদা মাছি দমনের জন্য টাফগর / সানগর ২ মিলি,/ এডমায়ার ০.৫ মিলি/ একতারা ০.২৫ গ্রাম/ রগর বা রক্সিয়ন ২ মিলি / লিটার পানিতে  স্প্রে করতে হবে। এছাড়া ভাইরাস প্রতিরোধক জাত ব্যবহার করা ভালো।

ঢ়েঁড়সের পাতার শিরা স্বচ্ছতা রোগঃ

সব পাতাই হলুদ ও সবুজ ছোপ ছোপ দাগ দেখা যায়। পাতার শিরাগুলো স্বচ্ছ ও হলুদ হয়ে যায়। গাছের পাতা ছোট ও খর্বাকৃতি হয়। ভাইরাসের বাহক পোকা সাদা মাছি এ রোগ ছড়ায়। সাদা মাছি দমনের জন্য টাফগর / সানগর ২ মিলি,/ এডমায়ার ০.৫ মিলি/ একতারা ০.২৫ গ্রাম/ রগর বা রক্সিয়ন ২ মিলি / লিটার পানিতে  স্প্রে করতে হবে।

আরও পড়ুন - জানুন টিউলিপ ফুলের বৈশিষ্ট্য ও টিউলিপ ফুলের চাষাবাদের পদ্ধতি

ঢ়েঁড়সের পাতার দাগ রোগঃ

অল্টারনারিয়া ছত্রাক দ্বারা আক্রমনের ফলে পাতার উপরে বিভিন্ন আকৃতির গোলাকার বাদামি রং পড়ে। রোগের মাত্রা বেশি হলে পাতা মুচড়িয়ে যায় এবং পরে ঝলসে ঝরে পরে। ব্যাভিস্টিন ১ গ্রাম/ রোভরাল ২ গ্রাম/ডাইথেন এম-৪৫ ২ গ্রাম/লিটার পানিতে পাতায় ২/১ টি দাগ দেখা দিলে স্প্রে করতে হবে।

আরও পড়ুন - খারিফ মরসুমে তিলের চাষ করে কৃষক সহজেই উপার্জন করতে পারেন অতিরিক্ত অর্থ

ঢেঁড়সের শিকড়ের গিঁট রোগঃ

আক্রান্ত গাছের শিকড়ে প্রচুর গিঁট দেখা যায়। গাছের পাতা ছোট ও খর্বাকৃতি হয় এবং ফল কম হয়। ফুরাডান/মিরাল ব্যবহার করতে হবে।

আরও পড়ুন - বাড়িতে শিম চাষ করতে চান? রইলো পদ্ধতি

Published On: 31 May 2021, 08:44 PM English Summary: Want to earn twice as much from paddy cultivation? Learn the method of cultivating lucrative paddy

Like this article?

Hey! I am KJ Staff. Did you liked this article and have suggestions to improve this article? Mail me your suggestions and feedback.

Share your comments

আমাদের নিউজলেটার অপশনটি সাবস্ক্রাইব করুন আর আপনার আগ্রহের বিষয়গুলি বেছে নিন। আমরা আপনার পছন্দ অনুসারে খবর এবং সর্বশেষ আপডেটগুলি প্রেরণ করব।

Subscribe Newsletters