প্রযুক্তি যত উন্নত হচ্ছে মানবজাতি তত উন্নততর হয়ে উঠছে। সম্প্রতি আরও একটি বিস্ময়কর কাণ্ডের সাক্ষী থাকল গোটা মানবজাতি। চাঁদের মাটিতে হল প্রাণের সঞ্চার। চাঁদ থেকে আনা মাটিতে বেড়ে উঠল গাছ। ১৯৬৯ সালে এই মাটিই আনা হয়েছিল চাঁদ থেকে। যখন অ্যাপোলো ১১ চাঁদের মাটি ছুঁয়েছিল তখনই আনা হয়েছিল এই মাটি।
চাঁদের এই কর্কশ মাটিতে উদ্ভিদের সঞ্চার হবে সেটি কেউ ভাবতে পারেনি। কিন্তু অসম্ভব কে সম্ভব কীভাবে করে তোলা যায় তার প্রমাণ বার বার দিয়েছেন এই মানবজাতি। তখনকার মাটি এতদিন ধরে সংরক্ষণ করে রাখা হয়েছিল পৃথিবীর বুকে। ১৯৬৯ সালে চাঁদ থেকে যে মাটি আনা হয়েছিল সেই মাটি এতদিন ধরে সংরক্ষণ করে রাখা হয়। ওই মাটিতেই পরীক্ষামূলক ভাবে গাছ লাগান হয় এবং মাথা উঠিয়ে বেড়ে ওঠে গাছটি।
আরও পড়ুনঃ বুদ্ধদেবের জন্মভিটে ঘুরে দেখবেন মোদী! বুদ্ধ পূর্ণিমায় নেপাল সফরে প্রধানমন্ত্রী
ফ্লোরিডা বিশ্ববিদ্যালয়ের কৃষি বিভাগের অধ্যাপক রবার্ট ফারল এই দৃশ্য দেখে বিস্মিত হয়েছেন। তবে স্বাভাবিক ভাবে গাছের বৃদ্ধি যেভাবে হয় এই মাটিতে গাছের বৃদ্ধির হার অনেক কম। এই অধ্যাপক এবং তাঁর টিম থালে ক্রেস নামের একটি উদ্ভিদ চাঁদের এই মাটিতে রোপণ করেছিলেন। উল্লেখ্য এই মাটি এনেছিলেন নীল আমস্ট্রং।
আরও পড়ুনঃ ২৫ বছর আয়! মে-জুন মাসে রোপণ করুন, একর প্রতি বছরে 10 লাখ টাকা আয়
প্রায় ২০০ বছর আগে অ্যাপোলো যুগের মহাকাশচারীরা চাঁদে নিয়ে আসা রেগালিথ (চন্দ্রের মাটিতে) এক ধরনের উদ্ভিদ রোপণ করেছেন বিজ্ঞানীরা, এবং এই প্রচেষ্টা এখন সফল হয়েছে। কিন্তু আশ্চর্যজনকভাবে গন্ধহীন চাঁদের মাটিতে উদ্ভিদটি চমৎকারভাবে বেড়ে উঠেছে। বিজ্ঞানীরা অবশ্যই এতে খুশি। যুক্তি দেওয়া হয়েছে যে চন্দ্র গ্রহে কৃষি-কাজ করা যেতে পারে।
Share your comments