পটুয়াখালীর বাউফল উপজেলায় মুগ ডালের খেতে লেদা পোকার আক্রমণ দেখা দিয়েছে। পোকার আক্রমণে নষ্ট হয়ে যাচ্ছে ফসল। এ থেকে খেত রক্ষা করতে বিভিন্ন ওষুধ প্রয়োগ করেও সুফল না পাওয়ায় কৃষকেরা হতাশ হয়ে পড়েছেন।
মিডিয়া রিপোর্ট অনুযায়ী, চলতি বছর উপজেলায় ১৬ হাজার ১৪১ হেক্টর জমিতে মুগ ডাল চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। এর মধ্যে ৯ হাজার ৯৮১ হেক্টর জমিতে উচ্চফলনশীল বারি-৬, ১ হাজার ১০০ হেক্টরে বারি-৮ এবং ২ হাজার ১০ হেক্টরে বিনা-৮ ও দেশি প্রজাতির সোনাই মুগ ৩ হাজার ৫০ হেক্টর জমিতে চাষ করা হয়েছে। তবে গতবারের তুলনায় চলতি মৌসুমে ২ হাজার ৬২১ হেক্টর কম জমিতে মুগ ডাল চাষ হয়েছে।
আরও পড়ুনঃ বেল ফুল চাষ করুন,খরচের থেকে আয় হবে দ্বিগুন,জেনে নিন সঠিক পদ্ধতি
বাংলাদেশের সংবাদ পত্রে প্রকাশিত খবর অনুযায়ী, মুগ ডালে লেদা পোকার আক্রমণে গাছের ডালে ছড়া ঝরে পড়ছে। খেতজুড়ে লেদা পোকার আক্রমণ। একরের পর একর জমিতে পোকার আক্রমণে দিশেহারা হয়ে পড়েছেন কৃষকেরা।
বাংলাদেশের সংবাদপত্রকে কৃষক বাদশা হাওলাদার জানিয়েছেন , চলতি মৌসুমে তিনি ৭ একর জমিতে উচ্চফলনশীল বারি-৬ প্রজাতির মুগ ডাল চাষ করেছেন। সাকল্যে তাঁর ব্যয় হয়েছে প্রায় ৫২ হাজার ৫০০ টাকা। গাছে যেভাবে ফল এসেছিল, তাতে ৭ একরে ডাল পাওয়া যেত কমপক্ষে ৫৬ মণ; যার বাজারমূল্য ২ হাজার ৮০০ টাকা দরে প্রায় ১ লাখ ৫৭ হাজার টাকা। অথচ লেদা পোকার আক্রমণে খেতের ডাল নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। বিভিন্ন প্রকার ওষুধ প্রয়োগ করেও কোনো কাজ হচ্ছে না।
আরও পড়ুনঃ এই পদ্ধতিতে শসা চাষ করুন,আয় হবে দ্বিগুন
অধিকাংশ খেত লম্বা-গোলাকৃতির একধরনের পোকার উপদ্রবে নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। কৃষি বিশেষজ্ঞদের মতে রাতে ঠান্ডা ও দিনে গরম আবহাওয়ার কারণে পোকার আক্রমণ দেখা দিয়েছে । কৃষকদের পরিমিত ডোজ কীটনাশক ওষুধ দেওয়ার জন্য বলা হয়েছে কৃষি দপ্তর থেকে। কৃষি বিজ্ঞানিদের মতে বৃষ্টি হলেই এ ধরনের পোকার উপদ্রপ আর থাকবে না।’
Share your comments