আজ দুপুর ১২.৩০ টায় ঘূর্ণিঝড় আমফান দিঘা থেকে ৯৫ কিলোমিটার দূরে দক্ষিণ-পূর্বে উত্তর-পশ্চিম বঙ্গোপসাগরে অবস্থান করছিল। সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, এনডিআরএফ প্রধান বলেছেন ‘পরিস্থিতি দ্রুত বদলে যাচ্ছে, ক্রমশই শক্তিশালী হচ্ছে আমফান। পশ্চিমবঙ্গ এবং ওড়িশার ব্যাটেলিয়ন হেডকোয়ার্টার সহ, উভয় রাজ্যেই জনগণের সুরক্ষার জন্য ২০ টি দল মোতায়েন করা হয়েছে। এনডিআরএফ-এর দলগুলি কাজ করছে এবং স্যাটালাইট যোগাযোগের মাধ্যমে সমন্বয় সাধন করছে’। পশ্চিমবঙ্গের দিঘা ও ওড়িশার লক্ষ লক্ষ মানুষকে অরক্ষিত অঞ্চল থেকে সরিয়ে নিরাপদ স্থানে স্থানান্তরিত করা হয়েছে।
আমফানের প্রভাবে উড়িষ্যার উত্তর উপকূলীয় জেলাগুলিতে এবং পশ্চিম মেদিনীপুর, উত্তর ও দক্ষিণ ২৪ পরগনা, হাওড়া, হুগলি এবং কলকাতার জেলাগুলিতে অতি ভারী বৃষ্টিপাত চলছে। আবহাওয়া আধিকারিকরা জানিয়েছেন, আমফান, যা মারাত্মক ঘূর্ণিঝড়ের রূপ নিয়েছে, তার গতিবেগ এখন ঘন্টায় ১৫০/কিমি.। 'আমফান' ঘূর্ণিঝড়ের কারণে হিমাচল প্রদেশ থেকে পশ্চিমবঙ্গগামী বিশেষ ট্রেন বাতিল করা হয়েছে। মঙ্গলবার এনডিআরএফ প্রধান এসএন প্রধান বলেন যে সুপার সাইক্লোন আমফানের কারণে উদ্ভূত যে কোন জরুরি পরিস্থিতি মোকাবিলার জন্য জাতীয় দুর্যোগ প্রতিক্রিয়া বাহিনীর (এনডিআরএফ) মোট ৪১ টি দল পশ্চিমবঙ্গ ও ওড়িশায় মোতায়েন করা হয়েছে।
অত্যন্ত তীব্র ঘূর্ণিঝড় আমফান এই মুহূর্তে পশ্চিমবঙ্গের দিঘা এবং সাগর দ্বীপপুঞ্জের খুব কাছাকাছি অবস্থান করছে এবং আজ বিকেল চারটা থেকে যেকোন সময় তা স্থলভাগে আছড়ে পড়বে বলে জানিয়েছিল আবহাওয়া দফতর। ইতিমধ্যেই এখন তা আছড়ে পড়েছে এবং এর প্রভাব ৪ ঘন্টা ব্যাপী স্থায়ী হবে, বৃষ্টিপাতের তীব্রতা বেড়েছে। চাঁদিপুরে প্রবল বেগে বাতাস ও অতি ভারী বর্ষণ চলছে। পশ্চিমবঙ্গ ও ওড়িশায় এর প্রভাব সব থেকে বেশী। এই মারাত্মক ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হতে চলেছে পশ্চিমবঙ্গের গাঙ্গেয় এবং উপকূলবর্তী অঞ্চলগুলিতে। ভারত আবহাওয়া অধিদফতরের (আইএমডি) তথ্য অনুযায়ী, দিঘায় সর্বশেষ পাঁচ ঘণ্টার মধ্যে ৪৪.১ মিলিমিটার পরিমাণ বৃষ্টিপাত হয়েছে।
স্বপ্নম সেন
Share your comments