বাঙালির প্রিয় মাছ বলা হলেও, যখনই ইলিশের প্রসঙ্গ আসে তখন যেন তার জনপ্রিয়তা কোথাও আটকে থাকে না৷ বিশেষ করে বর্ষায় (Monsoon 2020) পশ্চিমবঙ্গে ইলিশের ভক্তসংখ্যা টের পাওয়া যায়৷ বাড়ির হেঁসেল থেকে রেস্তোরাঁ, সর্বত্রই ইলিশের চাহিদা থাকে তুঙ্গে৷ ইলিশের বিভিন্ন পদ মোহাচ্ছন্ন হয়ে যান খাদ্যরসিকেরা, বলা ভালো মৎস্যপ্রেমীরা৷
অন্যান্য মাছের থেকে দামে তাই এর কদরও অনেকটাই বেশি৷ স্বাদে-মূল্যে এই সময় মাছের বাজারে আধিপত্য থাকে ইলিশেরই৷ কলকাতা সহ রাজ্যের সর্বত্র ইলিশ (Hilsa Fish) হাসি ফোটায় মৎস্যবিক্রেতাদের মুখে৷
গত মাসে ঘূর্ণিঝড়ের (Umpun Cyclone) তাণ্ডবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে রাজ্যের বহু মানুষ৷ ঘরছাড়া, কাজ হারা হয়েছেন অনেকে৷ কিন্তু বর্ষার আগমন অনেকক্ষেত্রেই তাদের জন্য আশীর্বাদস্বরূপ হয়ে দেখা দিতে পারে৷ চাষের ক্ষেত্রে হোক বা ব্যবসার ক্ষেত্রে৷ বিশেষ করে উপকূলবর্তী এলাকায় মানুষ আশায় বুক বাঁধছে ইলিশের (Hilsa Fish) জন্য৷ বর্ষায় এই রুপোলি ফসল কতটা ঘুরে দাঁড়াতে সাহায্য করবে তাদের তা তো সময়ই বলবে৷
বর্ষায় বৃষ্টি শুরু হতেই ইলিশের আগমন হতে শুরু করে৷ চলতি বছরে ইলিশ যে মুখ ফেরাবে না এমনটাই আশা করছেন অনেকে৷ রাজ্যে মৎস্যজীবীরা ইতিমধ্যেই তাদের প্রস্তুতি শুরু করে দিয়েছেন৷ জানা যাচ্ছে, ১৫ জুন থেকে মৎস্যজীবীরা ইলিশ (Hilsa Fish) ধরার উদ্দেশ্যে বেরিয়ে পড়বেন৷ বর্ষায় বৃষ্টির ঘাটতি ইলিশের জন্য ভালো নয় বলে মনে করা হয়৷ তবে এবার বর্ষা তার ছন্দে রয়েছে৷ অন্যদিকে লকডাউনের কারণে দূষণের মাত্রাও কম রয়েছে৷ তাই সব মিলিয়ে রাজ্যে বাজারে ইলিশের প্রাচুর্য চোখে পড়বে বলে আশা করা হচ্ছে৷
জানা যাচ্ছে, উত্তর ২৪ পরগণা, দক্ষিণ ২৪ পরগণা, পূর্ব মেদিনীপুর, হাওড়া, হুগলি, মুর্শিদাবাদ, নদিয়া, দক্ষিণ বঙ্গের প্রায় ২ লক্ষ মাছ ব্যবসায়ীরা এই ইলিশের দিকে তাকিয়ে রয়েছেন৷
গত বছর ইলিশের উযপাদন ৫ হাজার মেট্রিক টন ছিল বলে জানা গিয়েছে যা বর্ষায় (Monsoon 2020) ১৫ হাজার মেট্রিক টনে পৌঁছে গিয়েছিল৷ আর চলতি বছরে বৃষ্টি ভালো শুরু হওয়ায় ইলিশের এই উৎপাদন ১৯-২০ হাজার মেট্রিক টনে পৌঁছে যেতে পারে বলে আশা করা হচ্ছে৷
উপকূলবর্তী জেলার মৎস্যজীবীরা ইতিমধ্যেই সক্রিয় হয়ে উঠেছেন৷ নামখানা, কাকদ্বীপ, রায়দীঘি, ডায়মন্ড হারবার, ফ্রেজারগঞ্জ, দীঘা, শঙ্করপুর, খেজুরিতে মাছ ব্যবসায়ীরাও সক্রিয় হয়ে উঠেছেন৷ লকডাউন, প্রাকৃতিক বিপর্যয় পরবর্তী এই সময়ে ইলিশের (Hilsa Fish) দিকে তাকিয়েই আশায় বুক বাঁছেন তাই সকলে৷
বর্ষা চ্যাটার্জি
আরও পড়ুন- #বর্ষা ২০২০, দক্ষিণ-পশ্চিম বর্ষার প্রবেশ কৃষকদের জন্য এক আশার (monsoon is glimpse of hope) কিরণ
Share your comments