অর্থনৈতিক কর্মসূচী 2019 : কৃষির উন্নতি

আসন্ন সাধারণ নির্বাচনের কথা মাথায় রেখে রাজনৈতিক দলগুলো তাদের অগ্রাধিকার তালিকায় কৃষকদের সমস্যাগুলিকে উপরের দিকে রাখবে

KJ Staff
KJ Staff

ভারতের কর্মসূচির শীর্ষে আছে গ্রামীণ এলাকার বিষয়। কৃষকরা, তাদের বাজে অর্থনৈতিক অবস্থার সাথে লড়ার জন্য সরকারের সাহায্য চায়, কিন্তু এই সময়, রাজনৈতিক নেতারা ভোটের জন্য তাদের কাছে দরবার করছে। শস্য ও সবজির কম দাম, ইনপুট খরচ বৃদ্ধি, বাজে সেচ ব্যবস্থা, খরা ও বন্যার জন্য অনেক কৃষক দরিদ্র হয়েছে, যদিও কিছু কৃষক উন্নত ফলন এবং উচ্চ আহরণ মূল্যের জন্য উপকৃত হয়েছে।

সাম্প্রতিক বিধানসভা নির্বাচনে বিজেপি সরকারের হারের জন্য জন্য গ্রামীণ সমস্যাগুলোকে  দায়ী করা হয়েছে এবং আসন্ন সাধারণ নির্বাচনের কথা মাথায় রেখে রাজনৈতিক দলগুলো তাদের অগ্রাধিকার তালিকায় কৃষকদের সমস্যাগুলিকে উপরের দিকে রাখবে। বিশেষজ্ঞদের মতে, তারা ঋণ মকুবের থেকেও আরো বেশি কিছু আশা করে।

গড়ে, বেতনভোগী শ্রেণী এবং অন্যান্যদের আয় বছরে ৫-১০% হারে বৃদ্ধি পাচ্ছে। অন্যদিকে, কৃষকদের আয় হ্রাস পাচ্ছে। গুজরাট সেন্ট্রাল ইউনিভার্সিটির গ্রামীণ অর্থনীতি বিশেষজ্ঞ ও চ্যান্সেলর YK Alagh বলেন, সরকার কৃষকদের নগদ ফসল চাষ করার জন্য উৎসাহিত করুক এবং তাদের জন্য প্রতিযোগিতামূলক বাজার সৃষ্টি করুক।

কৃষকদের প্রতিযোগিতামূলক দামে তাদের পণ্য বিক্রি করতে সক্ষম করার জন্য খামারগুলির কাছাকাছি প্রসেসিং ইউনিট এবং বাজার তৈরি করা উচিত। তিনি আরো বলেন, যদি কৃষকদের তাদের পণ্য বিক্রি করার জন্য দীর্ঘ দূরত্ব অতিক্রম করতে হয়, তাহলে তাদের অসুবিধা হবে। তার মতে, সরকারের উচিত কৃষি শুল্ক নীতি সঠিকভাবে পরিচালনা করা, পাশাপাশি ক্ষুদ্র শহরগুলিতে পণ্যের বাজারকে শক্তিশালী করা এবং খামারগুলির নিকট প্রসেসিং ইউনিট তৈরি করা।

আরও পড়ুন মাছ চাষের জন্য পুকুর প্রস্তুতির নিয়ম ও পদ্ধতিঃ

সম্প্রতি ভাইস প্রেসিডেন্ট এম ভেঙ্কাইয়া নাইডু বলেন, এই সেক্টরের কাঠামোগত পরিবর্তন প্রয়োজন। তিনি বলেন, "কৃষিকে লাভজনক, টেকসই এবং স্থিতিশীল করে তুলতে হবে এবং নিশ্চিন্ত জীবিকার জন্য কৃষকদের হাঁস-মুরগি পালন, উদ্যানপালন এবং মাছ ধরার মতো আরও অন্যান্য কাজের জন্য উৎসাহিত করতে হবে, যা সকলের জন্য বাড়ির খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে পারে।"

কৃষক নেতা আমরা রাম বলেন, “সরকার ন্যূনতম সমর্থন মূল্য (এমএসপি) এ খাদ্যশস্য ক্রয়ের উপর মনোযোগ কেন্দ্রীভূত করুক। সরকার এমএসপি সংশোধন করেছে কিন্তু ক্রয় করছে  না। কৃষকদের ঋণের অঙ্ক বেড়ে যাচ্ছে এবং তারা ইনপুট খরচ পুনরুদ্ধার করতে পারছে না। যার ফলে তারা প্রবল চাপের মুখে পড়ে যাচ্ছে যার দরুন দেশের বিভিন্ন অংশে কৃষকরা আত্মহত্যা করছে। তার মতে সরকারের ক্রয় সংক্রান্ত একটি পরিষ্কার নীতি থাকা উচিত "।

তিনি আরো বলেন যে, সরকারের উচিত ঘোষিত ৯৯ টি সেচ প্রকল্পগুলি সম্পূর্ণ করা।

- দেবাশীষ চক্রবর্তী

Published On: 22 January 2019, 12:56 PM English Summary: Economical schedule of 2019 Agricultural development

Like this article?

Hey! I am KJ Staff. Did you liked this article and have suggestions to improve this article? Mail me your suggestions and feedback.

Share your comments

আমাদের নিউজলেটার অপশনটি সাবস্ক্রাইব করুন আর আপনার আগ্রহের বিষয়গুলি বেছে নিন। আমরা আপনার পছন্দ অনুসারে খবর এবং সর্বশেষ আপডেটগুলি প্রেরণ করব।

Subscribe Newsletters