আর মাত্র কয়েকদিন পরেই পুজো, কিন্তু মহামারী করোনার কারণে পরিস্থিতি সকলেরই প্রায় সমান। তবে সাধারণ মানুষের পাশে দাঁড়াতে তাদের সহায়তার উদ্দেশ্যে কেন্দ্র ও রাজ্য সরকার একত্রিতভাবে চেষ্টা করে চলেছে। এই মর্মে কেন্দ্র সমস্ত বকেয়া টাকা (৪১৭ কোটি) পরিশোধ করেছে। আর এর পরিপ্রেক্ষিতে পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জী এক বড় সিদ্ধান্ত ঘোষণা করেছেন।
রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর বক্তব্য অনুযায়ী, প্রথমে সুপার সাইক্লোন আমফান, সাথে করোনার ভয়াবহ প্রাদুর্ভাব- যেন থমকে গিয়েছে মানুষের জীবনযাত্রা। কম বেশী প্রত্যেকের উপর মন্দার প্রভাব পড়লেও সব দিক থেকে বেশী ক্ষতি হয়েছে শ্রমিক শ্রেণীর, নিম্ন মধ্যবিত্ত শ্রেণীর মানুষের। আমফানের বিধ্বংসী তাণ্ডবলীলায় কৃষকদের সাথে ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছেন মৎস্যজীবীরা-ও, তাই এবার কৃষকদের সাথে মৎস্যজীবীদের আর্থিক সাহায্যের কথা জানালেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জী। তাঁর এই পদক্ষেপ অর্থাৎ সমসাময়িক পরিস্থিতির মধ্যে এই আর্থিক সাহায্য অনেকাংশেই কৃষকদের জন্য উপকারি হতে চলেছে।
কৃষক ও মৎস্যজীবীদের জন্য ভাতা -
এবছর রাজ্যের কৃষক ও মৎস্যজীবীরা সবাই আগাম্ ভাতা পেতে চলেছে পূজোর আগে। পূজো উপলক্ষ্যেই যে এই ভাতা আগেভাগে দেওয়া হচ্ছে সেটা মনে করছে অনেকে। অর্থাৎ, এবার রাজ্যের কৃষকেরা অক্টোবর মাসে ২০০০ টাকা ভাতা পেতে চলেছে, যা কিনা আরও পরে দেওয়ার কথা ছিল। এর জন্য মোট খরচের অঙ্কও জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী, ২২ কোটি টাকা। দূর্গাপূজার আগে সমস্ত রাজ্যের কৃষকদের দেওয়া হবে আগাম ২ মাসের পেনসন, এই সুযোগ থেকে বাদ পরবে না মৎসজীবীরাও।
বিরোধী দলের মত -
বিরোধী দলের মতে, দূর্গাপূজা নয়, আসল কারণ ভোট। সামনেই রয়েছে একুশের ভোট, আর তার জন্য দুর্গাপূজাকে শিখণ্ডী বানিয়ে নিজেদের প্রচার চালানোর চেষ্টা করছে তৃণমুল। উদ্দেশ্য যাই হোক না কেন, এই সময়ে কৃষক এবং মৎস্যজীবীদের পাশে দাঁড়িয়ে তাদের সহায়তা করে চলেছেন রাজ্য সরকার।
Image source - Google
Related Link - (WB news) রাজ্যে দরিদ্র সনাতন ব্রাহ্মণ/পুরোহিতদের মাসিক এক হাজার টাকা ভাতা দেবে পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য সরকার
(PMAY) স্বপ্নের বাড়ি বানাতে চান কিন্তু অর্থের অভাব? সহায়তা পাবেন সরকারের এই প্রকল্পে
Share your comments