সোনালী ধানের মাঝে উঁকি মারছে কৃষকের রঙিন স্বপ্ন

এখন কৃষকরা ধান কাটার সকল প্রস্তুতি নিচ্ছেন । কৃষক ধান কেটে ঘরে তোলার আগে যদি বড় ধরনের কোন ঝড়বৃষ্টি বা শিলা বৃষ্টির মত কোন দুর্যোগ না হয় এবং ধানের মূল্যে ....

Saikat Majumder
Saikat Majumder

বাংলাদেশের গোপলগঞ্জ  জেলার  কাশিয়ানীর  মাঠে  প্রান্তরে  কৃষকের  সোনালী রঙের ধান যেন  উকি  মারছে।  সাত রঙের রঙিন স্বপ্ন দেখছে কৃষক । ধানের  সোনালী  রঙে যেন  গোটা মাঠ সোনালী রঙ ধারন করেছে  ।  কৃষকের  সোনালী  হাঁসি  উকি  মেরে  চলছে  মাঠে ।

এখন   মাঠে  ধানের  শীষে  সোনালী  রঙ  ধরছে  ।  ধানের  ক্ষেতের  সোনালী  রং যেন কৃষকদের মনকে   রঙ্গিন  করে  তোলে । ভাল  ফলনে  কৃষক  দেখছে  রঙিন  স্বপ্ন্ন ।  বুক  বেধেঁ  আগামী  দিনের  স্বপ্ন  দেখছে  উপজেলার  কৃষকরা । 

মিডিয়া রিপোর্ট অনুযায়ী, মাত্র  কয়েক  দিন  পরেই  পুরাদমে  ধান  কাটা  শুরু  হবে  উপজেলার  সর্ব্বত্রই । কৃষকরা  ইতি মধ্যেই  ধান  কাটা  ও  মারাই  করা  জন্য  প্রস্তুতি  নিয়েছে। উপজেলা  পারুলিয়া  ইউনিয়নের  পারুলিয়া  গ্রামের  কৃষক মোঃ বিল্লাল হোসেন ও আশিকুল ইসলাম হোসেন বাংলাদেশের এক সংবাদপত্রে সাক্ষাতকারে  জানিয়েছে , এ বছরে আগের বছরের  চেয়ে অনেক  বেশী ফলন  হয়েছে ।  শিলা  বৃষ্টি  ঝড়  না  হলে  অনেক  বেশী  ফলন  হবে  ধানের। তারা আরো জানায় , এ বছরে  উপসহকারি  কৃষি অফিসাররা  অনেক বেশী  তদারকী করেছেন। নিয়মিত  খোজঁখবর নিয়েছে।

আরও পড়ুনঃ ধানের ফলন হয়েছে আশানুরূপ, লাভের আশা কৃষকদের

অন্যান্য বছরের তুলনায় এ বছরে ধানের ফলন বেশী হয়েছে।আমরা অনেক বেশী চাষীদের সাথে যোগাযোগ করতে চেষ্টা করেছি । উপজেলার নিম্মাঞ্চালে ধানের বেশী চাষ হয়েছে ওই এলাকায় ফলন অনেক ভাল হয়েছে।

আরও পড়ুনঃ লাগামছাড়া বাজারদর, কারন জানতে নবান্ন থেকে পাঠানো হল বিশেষ প্রতিনিধি দল

উপজেলা কৃষি সম্প্রসারন কর্মকর্তা কাজী এজাজুল করিম বাংলাদেশের এক পত্রিকাকে জানিয়েছেন ,কাশিয়ানী  উপজেলা খাদ্য  উদ্বৃত্ত্ব  একটি  উপজেলা । দীর্ঘ দিন  যাবত এই  উপজেলা  এলাকা  চাহিদার  তুলনায়  খাদ্য  উদ্বৃত্ত্ব  উপজেলা হিসাবে স্বীকৃত । তিনি আরো  জানান, কাশিয়ানী  উপজেলার  নিম্নাঞ্চল হিসাবে  সিংগা, হাতিয়াড়া,  পুইসুর, নিজামকান্দি, ওড়াকান্দি,  মাহমুদপুর, পারুলিয়া,বেথুড়ী শতভাগ চাষযোগ্য জমিতেই রোর ধানের চাষ করা  হয়েছে।সেই হিসাবে এ বছরে ধানের আবাদ ও উৎপাদনের বেশী হবে বলে আমরা মনে করছি।

মিডিয়া রিপোর্ট অনুযায়ী,  এ বছরে  উপজেলায়  মোট  ১২  হাজার  ২  শত  ৯৬  হেক্টর  জমিতে  বোর  ধানের  চাষ  করা হয়েছে ।  উৎপাদনের  লক্ষ্যমাত্র  ধরা  হয়েছে  এক  লক্ষ  মেট্রিক  টন।  যা  গত  বছরের  তুলনায়  ০১  হাজার  ১২  হেক্টর  বেশী  ।  গত  বছরে  ছিলো – ১১  হাজার  ০২  শত  ৭৪  হেক্টর ।  গত  বছরের  এ  উপজেলায়  ৮৪  হাজার  ৫ শত  ৫৫  মেট্রিক  টন  ধানের  উৎপাদন  হয়েছিলো ।উৎপাদনের লক্ষ্যেমাত্রা অনুসরে এ বছরে উপজেলা এলাকায় খাদ্য উদ্বৃত্ত হবে ২০ হাজার ২ শত ৮৭ মেট্রিক টন ।

এখন  কৃষকরা  ধান  কাটার  সকল  প্রস্তুতি  নিচ্ছেন ।  কৃষক  ধান  কেটে  ঘরে  তোলার  আগে  যদি বড় ধরনের কোন ঝড়বৃষ্টি  বা শিলা বৃষ্টির মত কোন  দুর্যোগ  না হয়  এবং  ধানের মূল্যে  ঠিকঠাক  থাকে  তাহলে আমাদের কৃষকরা  এ বছরে বেশী লাভবান হবে বলে মনে করা হচ্ছে ।

Published On: 06 May 2022, 11:10 AM English Summary: Golden paddy is a colorful dream of a farmer

Like this article?

Hey! I am Saikat Majumder. Did you liked this article and have suggestions to improve this article? Mail me your suggestions and feedback.

Share your comments

আমাদের নিউজলেটার অপশনটি সাবস্ক্রাইব করুন আর আপনার আগ্রহের বিষয়গুলি বেছে নিন। আমরা আপনার পছন্দ অনুসারে খবর এবং সর্বশেষ আপডেটগুলি প্রেরণ করব।

Subscribe Newsletters