লক্ষ্মীর ভাণ্ডার (Lakshmi Bhandar) নিয়ে নথি সংক্রান্ত নিয়মের সরলীকরণ করল রাজ্য। মূলত স্বাস্থ্য সাথী কার্ড, আধার কার্ড, জাতিগত শংসাপত্র পাওয়ার যোগ্য বলে বিবেচিত হলেই লক্ষ্মীর ভাণ্ডার-এর জন্য নাম অনুমোদন করতে হবে। জেলা গুলিকে এমনটাই নির্দেশিকা পাঠানো হয়েছে নারী ও শিশু কল্যাণ দপ্তরের তরফে। শুক্রবারে এই নির্দেশিকা পাঠানো হয়েছে বলেই নবান্ন সূত্রে খবর। এর ফলে অসম্পূর্ণ আবেদন পত্র নিয়ে জটিলতা অনেকটাই কাটবে বলেই মনে করছে অনেকেই |
নির্দেশিকায় বলা হয়েছে আবেদনকারীদের মধ্যে যাদের স্বাস্থ্যসাথী কার্ড, আধার কার্ড, জাতিগত শংসাপত্র পাওয়ার যোগ্য নাকি, তা খতিয়ে দেখবে সংশ্লিষ্ট জেলা প্রশাসন। সমস্ত তথ্য যাচাই করে এই নথিগুলি পাওয়ার যোগ্য বলে বিবেচিত হলে তবেই তাদের আবেদন অনুমোদন করবে সংশ্লিষ্ট জেলা প্রশাসন। প্রসঙ্গত লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের সুবিধা দেওয়ার জন্য নারী ও শিশু কল্যাণ দপ্তরের তরফে নির্দেশিকা জারি করা হয়েছিল। সেই নির্দেশিকায় বলা হয়েছিল লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের জন্য আধার কার্ড, স্বাস্থ্যসাথী কার্ড, জাতিগত শংসাপত্র নথিগুলি থাকলে তবেই আবেদনকারীদের আবেদন অনুমোদন হবে। কিন্তু তাঁদের যদি এই নথিগুলি না থাকে, তবুও তারা আবেদন করতে পারবেন।
শুক্রবার সেই নির্দেশিকার সরলীকরণ করল রাজ্য। ইতিমধ্যেই প্রত্যেকটি জেলাকে সেই নির্দেশিকা পাঠানো হয়েছে। প্রসঙ্গত প্রায় ৩৫ লক্ষ আবেদন অসম্পূর্ণ থেকে ছিল লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের জন্য। যার মধ্যে আট লক্ষের বেশি আবেদনকারীদের ব্যাংক অ্যাকাউন্টের ভ্যালিডেশন না থাকায় রাজ্যের আর্থিক সুবিধা পাঠানোর পরেও তাদের সুবিধা দেওয়া যাচ্ছিল না। পাশাপাশি ২৬ লক্ষেরও বেশি আবেদনকারীদের আবেদন অসম্পূর্ণ হয়েছিল। যার যে প্রায় ৩৫ লক্ষের কাছাকাছি আবেদনকারীদের কীভাবে আর্থিক সুবিধা দেওয়া সম্ভব তা নিয়ে চিন্তায় ছিল নবান্ন। শুক্রবার এই নির্দেশিকার জেরে অনেকটাই জটিলতা কাটবে বলেই মনে করছে নবান্ন। প্রসঙ্গত লক্ষ্মীর ভাণ্ডার নিয়ে সম্প্রতি একটি ভার্চুয়াল বৈঠক করেন। ৩০ অক্টোবরের মধ্যে সব সমস্যা সমাধানের নির্দেশ দেন।
আরও পড়ুন -উন্নত প্রযুক্তিতে পাট উত্পাদন এবং পাটজাত বিবিধ পণ্য তৈরির বিষয়ে প্রশিক্ষণের গুরুত্ব
লক্ষী ভান্ডার প্রকল্পের সুবিধা(Benefits of lakshmi bhandar scheme):
১লা সেপ্টেম্বর থেকে এই প্রকল্পের সুবিধা পাবেন রাজ্যের মহিলারা | বাংলার গৃহবধূদের আর্থিক ভাবে স্বনির্ভর করে তুলবে এই প্রকল্প | স্থায়ী রোজগার নেই এমন ২৫ বছর থেকে ৬০ বছর বয়স পর্যন্ত সব মহিলারাই এই 'লক্ষ্মীর ভান্ডার' প্রকল্পের মাধ্যমে আর্থিক সহায়তা পাবেন।
লক্ষীর ভান্ডার প্রকল্প প্রকল্পের মাধ্যমে পরিবারের মহিলা প্রধানকে আর্থিক সহায়তা দেওয়া হবে। পশ্চিমবঙ্গের ১.৬ কোটি পরিবার এই প্রকল্প থেকে সুবিধা পাবেন। এই স্কিমের মাধ্যমে সাধারণ ঘরের মহিলারা প্রত্যেকমাসে ৫০০ টাকা করে পাবেন। অর্থাৎ বছরে ৬ হাজার টাকা পাবেন এই প্রকল্পের মাধ্যমে। শুধু তাই নয়, তফশিলি জাতি/ উপজাতির শ্রেণির পরিবারের বধুরা প্রত্যেকমাসে ১০০০ টাকা পাবেন। বছরে যা দাঁড়াচ্ছে ১২ হাজার টাকা।
আবেদন করার পদ্ধতি(Application procedure):
দুয়ারে সরকার ক্যাম্প এর মাধ্যমে এই প্রকল্পে আবেদন করা যাবে। প্রয়োজনীয় ফর্ম এবং কাগজপত্র জমা করতে হবে। দুয়ারে সরকারের পরে এই প্রকল্পে আবেদন করার জন্য ব্লক অফিস এ যেতে হবে |
আবেদন পত্র ডাউনলোড করার লিংক(Application form):
জানা গিয়েছে প্রাথমিক ভাবে এই প্রকল্প শুরু হলেও ধীরে ধীরে রাজ্যের সমস্ত মহিলাকে এই প্রকল্পের আওতায় নিয়ে আসবেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর নির্দেশ, সমস্ত মানুষের কাছে এই প্রকল্পের সুবিধা তুলে ধরতে হবে। পাশাপাশি অন্যান্য প্রকল্পের কথাও তুলে ধরতে হবে।
আরও পড়ুন -Krishak Bandhu Scheme 2021 Apply: দেখে নিন কৃষকবন্ধু প্রকল্পের আবেদন পদ্ধতি
Share your comments