প্রতি বছর ২৪ জানুয়ারি ভারতে জাতীয় কন্যা শিশু দিবস হিসেবে পালিত হয়। আজ দেশের প্রায় সব ক্ষেত্রেই কন্যাদের অংশীদারিত্ব রয়েছে, কিন্তু একটা সময় ছিল যখন মানুষ কন্যা সন্তানকে গর্ভেই হত্যা করত। এমনকি কন্যাসন্তান জন্মালেই তাদের বাল্যবিবাহের আগুনে ঠেলে দেওয়া হত। দেশ স্বাধীন হওয়ার পর থেকে, ভারত কন্যা ও পুত্রের মধ্যে বৈষম্যের বিরুদ্ধে, তাদের উপর অত্যাচারের বিরুদ্ধে সংগ্রাম করে আসছে।
দেশে কন্যাসন্তানকে প্রথম স্থানে আনতে অনেক পরিকল্পনা ও আইন বাস্তবায়ন করা হয়। এ লক্ষ্যে জাতীয় কন্যা শিশু দিবস উদযাপন শুরু হয়। ২৪ জানুয়ারি এই বিশেষ দিনটি উৎযাপনের একটি বিশেষ কারণও রয়েছে।কারণটি ভারতের প্রথম মহিলা প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধীর সাথে সম্পর্কিত।আসুন জেনে নিই জাতীয় কন্যা শিশু দিবস উৎযাপন কবে এবং কেন শুরু হয়? কেন শুধুমাত্র ২৪ জানুয়ারি কন্যা শিশু দিবস পালন করা হয়? ইন্দিরা গান্ধীর সাথে জাতীয় কন্যা শিশু দিবসের সম্পর্ক কী?
জাতীয় কন্যা শিশু দিবস
প্রতি বছর ২৪ জানুয়ারি জাতীয় কন্যা শিশু দিবস পালিত হয়।২০০৯ সাল থেকে জাতীয় কন্য়া দিবস উৎযাপন শুরু হয়।মহিলা ও শিশু উন্নয়ন মন্ত্রক ২৪ জানুয়ারী ২০০৯ এ দেশে প্রথমবারের মতো জাতীয় কন্যা শিশু দিবস উৎযাপন শুরু করে।
আরও পড়ুনঃট্যাবলো বিতর্কের আবহে নেতাজিকে নিয়ে বড় সিদ্ধান্ত নিয়ে টুইট মোদীর
২৪ জানুয়ারি কেন কন্য়া শিশু দিবস পালিত হয়?
প্রতি বছর ২৪ জানুয়ারি কন্য়া শিশু দিবস হিসেবে পালন করার একটি বিশেষ কারণ রয়েছে।১৯৬৬ সালে, ইন্দিরা গান্ধী দেশের প্রথম মহিলা প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শপথ নেন।২৪ জানুয়ারি ভারতের ইতিহাসে এবং নারীর ক্ষমতায়নের একটি গুরুত্বপূর্ণ দিন।
কন্য়া শিশু দিবস পালনের উদ্দেশ্য?
কন্য়া শিশু দিবস পালনের কারণ হলো দেশের কন্যাশিশুদের তাদের অধিকার সম্পর্কে সচেতন করা।সমাজে কন্যা শিশুরা যে বৈষম্যের শিকার হয় সে বিষয়ে সবাইকে সচেতন করা। প্রতি বছর এই দিনে রাজ্য সরকারগুলি তাদের নিজ নিজ রাজ্যে সচেতনতামূলক অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।
২০২২জাতীয় কন্যা শিশু দিবসের থিম
প্রতি বছর জাতীয় কন্যা শিশু দিবসের থিম ভিন্ন হয়। কন্য়া দিবস ২০২১-এর থিম ছিল 'ডিজিটাল জেনারেশন, আওয়ার জেনারেশন'। ২০২০ সালের কন্য়া দিবসের থিম ছিল 'আমার কণ্ঠ, আমাদের অভিন্ন ভবিষ্যত'। ২০২২ সালের মেয়ে দিবসের থিম এখনও ঘোষণা করা হয়নি।
Share your comments