উত্তর প্রদেশে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে চলেছে। বিধানসভা নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা করা হয়েছে।নির্বাচন কমিশন, সরকার থেকে শুরু করে রাজনৈতিক দল ও প্রার্থীরা নির্বাচনের প্রস্তুতিতে ব্যস্ত।তবে যেকোনো গণতান্ত্রিক দেশে সরকার গঠনে ভোটারদের ভূমিকা সবচেয়ে বেশি থাকে।ভোটার তার মূল্যবান ভোট দিয়ে নির্দিষ্ট দলকে পাঁচ বছরের জন্য ক্ষমতায় আনে এবং দেশ ও রাষ্ট্রের উন্নয়নে নাগরিক হিসেবে তার দায়িত্ব পালন করে।কিন্তু ভারতের মতো বৃহত্তম গণতান্ত্রিক দেশে ভোটের প্রতি মানুষের আগ্রহ কম।ভোটারদের ভোটের গুরুত্ব সম্পর্কে সচেতন করতে প্রতি বছর জাতীয় ভোটার দিবস পালিত হয়।এ বছর নির্বাচনের ঠিক আগে ২৫ জানুয়ারি জাতীয় ভোটার দিবস পালিত হচ্ছে।দেশে ১৮ বছর বয়সী তরুণ-তরুণীরা প্রথমবারের মত ভোট দেওয়ার সুযোগ পাবে।আসুন জানে নি কখন এবং কেন ভোটার দিবস উৎযাপন শুরু হয় এবং কীভাবে জাতীয় ভোটার দিবস উৎযাপন করা হয়?
জাতীয় ভোটার দিবস কবে?
প্রতি বছর ২৫ জানুয়ারি জাতীয় ভোটার দিবস পালিত হয়।ভারতের নির্বাচন কমিশন এ বছর সারা দেশে ১১তম জাতীয় ভোটার দিবস উৎযাপন করবে।'জাতীয় ভোটার দিবস' ২৫ জানুয়ারী ২০১১ তারিখে তৎকালীন রাষ্ট্রপতি প্রতিভা দেবী পাটিল চালু করেছিলেন।
২৫ জানুয়ারি কেন ভোটার দিবস?
জাতীয় ভোটার দিবস ২৫ জানুয়ারী একই দিনে পালিত হয় কারণ ১৯৫০ সালের এই দিনে নির্বাচন কমিশন প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল। নির্বাচন কমিশনের ৬১তম প্রতিষ্ঠা দিবসে ভোটার দিবস শুরু হয়েছে।
আরও পড়ুনঃ এই পাঁচটি ভারতের সবচেয়ে সুন্দর গ্রাম, একবার গেলে আপনি আর ফিরে আসতে চাইবেন না
জাতীয় ভোটার দিবসের উদ্দেশ্য
ভোটারদের সচেতন করা যে দেশের অগ্রগতির জন্য প্রতিটি ভোট অপরিহার্য।ভোটার দিবস উদযাপনের উদ্দেশ্য হল যোগ্য ভোটারদের চিহ্নিত করা এবং তাদের ভোট দিতে উৎসাহিত করা।গণতান্ত্রিক দেশের নাগরিকদের তাদের কর্তব্যের কথা স্মরণ করিয়ে দিতে এই দিনটি পালিত হয়।
ভোটার দিবস কীভাবে পালিত হয়?
ভোটার দিবসে সারা দেশে সমস্ত ভোটকেন্দ্র এলাকায় যোগ্য ভোটারদের চিহ্নিত করা হয়।যোগ্য ভোটারদের মধ্যে ১৮ বছর বয়সী যুবকরা অন্তর্ভুক্ত।ভোটার তালিকায় এসব ভোটারদের নাম লেখার পর তাদের হাতে তুলে দেওয়া হয় নির্বাচনী পরিচয়পত্র।প্রতি বছর ভোটার দিবসে ভোটারদের ভোট দেওয়ার শপথও দেওয়া হয় যাতে তারা গণতন্ত্র রক্ষায় সচেতন থাকেন।
আরও পড়ুনঃ ফেব্রুয়ারিতে এই 6 দিন ব্যাঙ্কগুলি বন্ধ থাকবে, সম্পূর্ণ তালিকা দেখুন
Share your comments