স্বনির্ভর গোষ্ঠী আজ উন্নয়নের মূল মঞ্চ হিসেবে স্বীকৃত। গ্রাম বাংলার মহিলারা আজ শুধু গোষ্ঠীর মধ্যে সীমাবদ্ধ নয়, রাজ্য জুড়ে চলছে পঞ্চায়েত ভিত্তিক স্বনির্ভর গোষ্ঠীর সমবায় সমিতি। মহিলারা আজ নিজেরাই নিজেদের সমবায় থেকে ঋণ নিয়ে করছে বিভিন্ন রোজগারী কাজ, পাশাপাশি সামাজিক সুরক্ষা যোজনার সুবিধাগুলিও পৌঁছে দিচ্ছে পরিবারগুলির কাছে।
২৫ অক্টোবর ২০২১ তারিখ থেকে মুর্শিদাবাদ জেলার হরিহরপাড়া ব্লকে শুরু হয়েছে জাতীয় গ্রামীণ জীবিকা মিশনের অন্তর্গত দশটি সমবায় সমিতির বার্ষিক সভা। সভার প্রাক প্রস্তুতি হিসেবে ডকুমেন্টেশনের উপর একটি দু দিনের কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়। এই কর্মশালায় উপস্থিত ছিলেন প্রভা মজুমদার (মহিলা উন্নয়ন আধিকারিক) এবং রাজকুমার লস্কর (রিসোর্স পার্সন, রিলায়েন্স ফাউন্ডেশন)। বার্ষিক সভায় বিগত আর্থিক বছরের সমবায়ের কাজকর্মের চিত্র তুলে ধরার পাশাপাশি আগামী দিনের কর্মপরিকল্পনাও নির্ধারিত হয়। ।
আরও পড়ুন -উন্নত প্রযুক্তিতে পাট উত্পাদন এবং পাটজাত বিবিধ পণ্য তৈরির বিষয়ে প্রশিক্ষণের গুরুত্ব
প্রভা মজুমদার আমাদের প্রতিনিধিকে বলেন "জাতীয় গ্রামীণ জীবিকা মিশন বা " আনন্দধারা" মিশনের অন্তর্গত এই সমবায় সমিতিগুলি আজ শুধু গোষ্ঠী তৈরি, পরিচালনা বা ঋণ দানের কাজেই যুক্ত নয়, হরিহরপাড়া ব্লকের প্রায় ৩৭০০ গোষ্ঠীর ৩৮,০০০ সদস্যাদের জীবন জীবিকা বিকাশের পাশাপাশি ব্যাংকের সাথে যৌথভাবে আর্থিক অন্তর্ভুক্তিকরণের বিষয়গুলিও সমান ভাবে রূপায়ণ করছে। আমাদের লক্ষ অতি সত্বর স্যাচুরেশন স্তরে পৌঁছানো এবং আগামী দিনে মহিলা কিষাণদের নিয়ে ফার্মার্স প্রোডিউসার্স কোম্পানি গঠন "।
বার্ষিক সভাগুলিতে মহিলা উন্নয়ন আধিকারিক ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন বিভিন্ন ব্যাঙ্ক ম্যানেজার, পঞ্চায়েত প্রধান এবং হরিহরপাড়া চন্দ্রদ্বীপ মহাসংঘের প্রতিনিধিরা। সভায় উপস্থিত সদস্যদের উৎসাহ ছিল চোখে পড়ার মতো ।
আরও পড়ুন -Lakshmi Bhandar Scheme: লক্ষী ভান্ডার আবেদন নিয়ে নয়া নির্দেশিকা রাজ্যের
Share your comments