হুগলী জেলার পোলবা গ্রাম পঞ্চায়েতের অধীনস্থ আম্মান গ্রামে এস.আর.সি. ফার্ম প্রাইভেট লিমিটেড পশ্চিমবঙ্গে একটি উন্নত মানের ডেয়ারি ফার্ম তৈরি করেছে। ফার্মটির বয়স চার বৎসর এবং অংশীদারী মালিকানায় পরিচালিত হচ্ছে। অংশীদারগণ হলেন এস.রাঠী ও হর্ষ বিহানি। ওনারা ফার্মের সম্পূর্ণ ব্যবস্থাটিকে স্বয়ংক্রিয়ভাবে চালানোর জন্য অতি সুপরিকল্পিত ব্যবস্থাপনা করেছেন। এই মুহূর্তে এই ডেয়ারি ফার্মে ৩৫০টি উচ্চজাতের দুগ্ধপ্রদায়ী গাভী রয়েছে, এখান থেকে প্রতিদিন ৩০০০ লিটার করে দুগ্ধ উৎপাদন হয় এবং কলকাতা শহরের গড়িয়া থেকে লেকটাউন পর্যন্ত বিভিন্ন বাড়ীতে দুধ পৌঁছে দেওয়ার ব্যবস্থা রয়েছে।
ফার্মে একটি বায়োগ্যাস প্ল্যান্ট রয়েছে যাতে ফার্মের জন্য প্রয়োজনীয় বিদ্যুৎ উৎপাদিত হয়ে থাকে। বায়োগ্যাস প্রক্রিয়াকরণের উপজাত দ্রব্য হিসেবে প্রস্তুত হয় বায়ো স্লারি, এই বায়োস্লারির সাথে রক ফসফেট ও মাইক্রোঅর্গানিজম মিশিয়ে উৎপাদিত হয় প্রম, যা কিনা জৈবিক পদ্ধতিতে ফসল উৎপাদনের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। বর্তমানে এস. আর. সি ফার্ম নদিয়া ও তারকেশ্বরে দুইটি ফার্মার প্রডিউসার অর্গানাইজেশনের সহযোগিতায় ভুট্টা উৎপাদন শুরু করেছে, যা কিনা গ্রীণ ফডারের চাহিদা পূরণ করতে সক্ষম, এই ফার্মের যত সংখ্যক গরু রয়েছে তাদের খাদ্য চাহিদা মেটানোর জন্য প্রাত্যহিকভাবে কমবেশি ১৬০০০কেজি গ্রীণ ফডার দরকার।
আরও পড়ুন গরীবের ডাক্তার শ্যামাপ্রসাদ পেলেন পদ্মশ্রী
এস.আর.সি-এই পরিমাণ ফডার উৎপাদনের জন্য তাঁদের প্রমকেই ব্যবহার করছে। বর্তমানে তাঁরা ঘি, পনীর, মাখন উৎপাদনেও ব্রতী হয়েছে। এখন তাঁদের মূল লক্ষ্য সারা হুগলী জেলায় তাঁদের উৎপাদিত প্রমের প্রচলন ঘটানো। কৃষিজাগরণের সৌজন্যে ও সহযোগিতায় এস.আর.সি আগামি ফেব্রুয়ারি মাসে হুগলী কৃষি বিজ্ঞান কেন্দ্রে একটি কৃষক সভার আয়োজন করতে চলেছে, যার ফলস্বরূপ এই জেলায় জৈব চাষের জন্য একটি নতুন অধ্যায় শুরু হতে চলেছে।
- প্রদীপ পাল (pradip@krishijagran.com)
Share your comments