তৈল বীজের বিকল্প হিসাবে সূর্যমুখী চাষ করে যারা বাড়তি রোজগারের আশা দেখছিলেন তাদের আশায় জল ঢালল বিগত সপ্তাহের ঝড় বৃষ্টি। গত কয়েক দিনের ঝড় বৃষ্টিতে ফুল সমেত সূর্যমুখী লন্ডভন্ড হয়ে গিয়েছে। অধিকাংশ গাছ মাঝখানে মচকে গিয়ে ডগা সহ ফুল মাটিতে নুয়ে পড়েছে। সেই ফুলগুলি থেকে আদৌ পাকা বীজ পাওয়া যাবে কিনা তা নিয়ে আশঙ্কায় তারা।
কৃষিবিদরা বলছেন মচকে যাওয়া সূর্যমুখী থেকে বীজ পাওয়া যাবে কিন্তু তাতে তেলের ভাগ কম পাওয়া যাবে। তাই মচকে যাওয়া সূর্যমুখী গাছগুলি এখনই কেটে ফেলা যাবেনা। ফুলের পিছনে হাত দিয়ে ধরলে যদি তামাটে রঙের ফুল ঝুলে পড়ে এবং ফুলের মাঝখানের বীজ কালো ও শক্ত হয় তবে কাটতে হবে।
বিশেষজ্ঞরা আরও জানান সূর্যমুখী বীজ বোনার সময় লাইন থেকে লাইন ৪৫-৬০ সেন্টিমিটার এবং বীজ থেকে বীজের দূরত্ব ২০-৩০ সেন্টিমিটারের কম যেন না হয়। ৫ সেন্টিমিটার গভীরতায় বীজ বোনা দরকার এর ফলে কান্ড মোটা হয় কিন্তু লম্বা হয়না তাতে কালবৈশাখী ঝড় সহ্য করার ক্ষমতা থাকবে। স্বল্পমেয়াদী উন্নতমানের পিএসি-৩৬, এস এস এফ এইচ-১৭, প্রভৃতি বীজ বুনতে হবে।
- সুস্মিতা কুণ্ডু
Share your comments