বিলাসপুর জেলার ঋষিকেশের বাসিন্দা প্রগতিশীল কৃষক সুনীল কুমার হিমাচল প্রদেশ সরকারের প্রথম ফুলের দূত চাষী নির্বাচিত হয়েছেন। নিজের জমি না থাকলেও অন্যের জমি খাজনায় নিয়ে ফুল চাষ শুরু করে, অন্য কৃষকদের অনুপ্রেরণার উৎস হয়ে উঠেছেন তিনি । কৃষি ও উদ্যানপালন চাষের সঙ্গে জড়িত কৃষকদের জন্য এটা আনন্দের বিষয় যে, সরকার এখন ফুল চাষে চমৎকার কাজ করা কৃষক ও বাগান মালিকদের সম্মাননা দিয়ে বেকার যুবকদের ফুল চাষের দিকে আকৃষ্ট করার ওপর জোর দিচ্ছে।
বিলাসপুর জেলার জন্য এটি গর্বের বিষয় যে, বিলাসপুরের কৃষক রাজ্যের প্রথম ফুলের দূত চাষীর খেতাব পেয়েছেন।হিমাচল প্রদেশ সরকারের প্রথম ফুলের দূত কৃষক সুনীল কুমার জানান, তিনি প্রায় ২০ বছর আগে গ্রাম জমি নিয়ে ১০০০ বর্গ মিটার জমিতে ফুল চাষের ব্যবসা শুরু করেছিলেন।
এরপর তিনি খাজনায় জমি নিয়ে তিন হাজার বর্গমিটারের একটি গ্রিন হাউস বানিয়ে প্রায় দশ বছর ফুলের চাষ করেন। বর্তমানে হিমাচল প্রদেশের পুষ্প ক্রান্তি যোজনার আওতায় তিনি গ্রামে জমি খাজনায় নিয়ে সাত হাজার বর্গমিটার জমিতে গ্রিনহাউস তৈরি করেছেন। তিনি জানান, তাঁর স্ত্রী মীনা কুমারী এই কাজে তাকে সাহায্য করেন, তিনি আরও আটজনকে তার সঙ্গে নিয়েছেন।
আরও পড়ুনঃ ই-শ্রম কার্ডের মাধ্য়মে আপনি কি কি সুবিধা পাবেন জানেন ?এখানে সবকিছু জেনে নিন
এর মধ্যে তিন হাজার বর্গমিটার জমিত ফুলচাষ করা হয়েছে। জমিত প্রধান ফসল কার্নেশন, তবে এর পাশাপাশি লিমোনিয়াম এবং জিপসোফিলাও রোপণ করা হয়েছে। সুনীল কুমার বলেন, তার কঠোর পরিশ্রম দেখে, হিমাচল প্রদেশ সরকার তাকে ২৮শে ডিসেম্বর পালমপুর কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে হিমাচল প্রদেশ পূর্ণ রাজত্ব সুবর্ণ জয়ন্তী উপলক্ষে উন্নত এবং অনুপ্রেরণা স্রোত কৃষিদূত সম্মান পুরস্কারে সম্মানিত করেছে।
আরও পড়ুনঃ ৮ লক্ষ কৃষককে উপকৃত করতে ১০ হাজার কোটি টাকার ধান কিনেছে যোগী সরকার
একই সময়ে, সম্প্রতি, হিমাচল প্রদেশের প্রথম ফুলের বাজার যা পারওয়ানুতে খোলা হয়েছে, সুনীল কুমারকে হিমাচল প্রদেশ সরকার ফুলের ক্ষেত্রে চমৎকার কাজের জন্য রাজ্য স্তরের শ্রেষ্ঠত্ব পুরস্কারে সম্মানিত করেছেন।বর্তমানে সুনীল কুমার গ্রোভার ফ্লাওয়ার কাউন্সিল অফ ইন্ডিয়াতে হিমাচলেরও নেতৃত্ব দিচ্ছেন।
Share your comments