রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় তৈরী হচ্ছে "ফ্লাই অ্যাশ ব্রিক" | তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্র থেকে নির্গত ছাই থেকে তৈরী হচ্ছে ইঁট | ছাই থেকেও সৃষ্টি হচ্ছে প্রয়োজনীয় সম্পদ |
সুপ্রিম কোর্টের পর্যবেক্ষণে তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্র থেকে নির্গত এই ছাই অতি দূষিত পদার্থ হিসাবে পরিচিত | বর্তমানে এই ছাই থেকে ইঁট তৈরী করে দূষণ নিয়ন্ত্রণ অনেকটাই কমিয়ে ফেলা সম্ভব হয়েছে | সুতরাং, পরিবেশ দূষণের হার কমছে সমানতালে |
কোন প্রকল্পের দ্বারা চলছে এই কাজ (Scheme Details):
মহাত্মা গান্ধী জাতীয় গ্রামীণ কর্ম নিশ্চয়তা প্রকল্পের সঙ্গে অন্যান্য প্ৰকল্প ও বিভাগের সমন্বয় ঘটিয়ে এই কাজ চলছে | গড়ে উঠছে ইঁট উৎপাদন কেন্দ্রগুলি | এতে গ্রামীণ অর্থনীতির উন্নতিও ঘটছে ব্যাপকভাবে | ইঁট ভাটা কেন্দ্রগুলিতে কাজ পাচ্ছেন বহু পুরুষ ও মহিলারা | খেতে খাওয়া দিনমজুররা খুবই উপকৃত হয়েছেন | এই লকডাউনে কর্মসংস্থানের জন্য তাদের বিভিন্ন জায়গায় দৌড়াতে হয়েছে | বর্তমানে, পঞ্চায়েত ও পঁচায়েত সমিতির যৌথ উদ্যোগে এই ফ্ল্যাশ ব্রিক কেন্দ্র গড়ে ওঠায় ওয়েনকের কাজের সুযোগ হয়েছে | প্রায় ৩০-৪০ জন দিনমজুর কাজ করার সুযোগ পেয়েছেন | ফলত, অর্থনৈতিক দিক থেকে তারা উন্নত হচ্ছেন |
কোথায় কোথায় চলছে এই কাজ (Places)?
ইতিমধ্যেই বাঁকুড়া, নদীয়া, পুরুলিয়া ও পূর্ব বর্ধমানের অনেক জায়গায় সাফল্যের সাথে চলছে এই ইঁট ভাটা ইউনিটগুলো| দূষণ নিয়ন্ত্রণের সঙ্গে সঙ্গে চলছে কর্মসংস্থানের নয়া প্রসার | এই দুই এর যুগলবন্দী এই প্রকল্পকে সাফল্যময় করে তুলছে| এইসব জেলার সাধারণ মানুষ থেকে গৃহবধূ এমনকি বেকার যুবকদের রোজগারের এক নতুন পথ খুলে গেছে |তাপবিদ্যুতের এই ছাইকে কাজে লাগিয়ে ইঁট নির্মাণের এই প্রকল্প সত্যি অসাধারণ | বহু মানুষ নিজেদের ছোট বাড়ি বানানোর কাজে কম খরচে এই ইঁট কাজে লাগাচ্ছে | এতে, মানুষে স্বল্প ব্যয়ে চাহিদা মিটছে অনায়াসে |
আরও পড়ুন - 7th Pay Commission: কেন্দ্রের সরকারী কর্মচারীরা চাকরি চলাকালীন মৃত্যুতে NPS বা OPS -র সুবিধা পাবেন
কেন এই ইঁটের চাহিদা বেশি?
সর্বোপরি, ফ্লাই অ্যাশ ইঁটের দাম অন্যান্য ইঁটের তুলনায় অনেকটাই কম | দাম কম হওয়ায় এই ইঁটের চাহিদাও খুব বেশি| "মিশন নির্মাণ বাংলা-র অধীনে" শৌচাগার ও অন্যান্য প্রকল্প গড়ে তোলার জন্য এই ইঁট বহুল পরিমানে ব্যবহৃত হচ্ছে | শুধু সরকারি নয়, বিভিন্ন বেসরকারি উদ্যোগেও ব্যবহৃত হচ্ছে এই ইঁট |
নিবন্ধ : রায়না ঘোষ
আরও পড়ুন - Mango Farming: আম উৎপাদনে বিশ্বে শীর্ষ দশে "বাংলাদেশ"
Share your comments