বর্তমান সময়ে প্রত্যেকে নিজের ব্যবসা করতে চান, তবে বেশীরভাগ মানুষ বুঝতে পারেন না যে তাদের কী ব্যবসা করা উচিত, যাতে তারা কম বিনিয়োগে বেশী লাভ করতে পারবেন। তাই আজ আমরা এই নিবন্ধে এমন বিশেষ ৭ টি পেশা সম্পর্কে বলব, যা আপনি শুরু করে খুব অল্প সময়ের মধ্যেই ভাল আয় করতে সক্ষম হবেন। আসুন জেনে নেওয়া যাক এই ব্যবসাগুলি সম্পর্কে।
লাভজনক ব্যবসায়িক ধারণা -
১) পোল্ট্রি ফার্মিং (Poultry Farming) -
হাঁস-মুরগির ব্যবসা এখন একটি দ্রুত বর্ধমান ব্যবসা। আপনি এই ব্যবসা ছোট-আকারে শুরু করতে পারেন। ক্রমবর্ধমান জনসংখ্যার সঙ্গে পাল্লা দিয়ে চাহিদা বাড়ছে পোল্ট্রি ফার্মিং ব্যবসাটির। কারণ নন ভেজিটেরিয়ান মানুষের সংখ্যা নেহাত নগণ্য নয়। স্বাভাবিকভাবেই মাংসের চাহিদা সর্বত্রই বাড়ছে। এক্ষেত্রে পোল্ট্রি পালন করে আপনি ভাল আয় করতে পারবেন। ছোট আকারে শুরু করে বাজারজাত করে ধীরে ধীরে বড় আকারে এই ব্যবসা করুন। বাজারে শুধু মাংসই নয়, এর ডিমের চাহিদাও যথেষ্ট। তাই এই ব্যবসা যে আপনাকে প্রভূত অর্থ এনে দেবে, তা বলাই বাহুল্য।
২) ফলের জ্যাম তৈরীর ব্যবসা -
যদি কৃষকরা ফল চাষ করেন, তবে তারা এগুলি খাদ্য সংস্থাগুলিতে এবং সরাসরি গ্রাহকদের কাছে বিক্রয় করতে পারেন। এই ফলগুলি দিয়ে সহজেই জাম বা জেলি তৈরি করতে পারেন। এছাড়াও, ফলের রস বাজার এবং অন্যান্য জায়গায় বিক্রি করা যেতে পারে।
৩) মশলা উত্পাদনের ব্যবসা -
কৃষকরা চাষের পাশাপাশি মশলা উৎপাদনের ব্যবসাও করতে পারেন। এই মশলা তারা বাজারে বিক্রি করে ভাল লাভ করতে পারেন। এটি প্রান্তিক কৃষকদের জন্য একটি খুব ভাল ব্যবসা।
৪) সয়া উত্পাদনের ব্যবসা -
পুষ্টিগুন সমৃদ্ধ সয়া বিভিন্ন ধরণের পণ্য তৈরিতে ব্যবহৃত হয়। আপনি যদি এই ব্যবসাটি শুরু করেন, তবে এর পণ্যগুলি বিভিন্ন সংস্থার কাছে বিক্রয় করতে পারেন। সয়ার চাহিদা আমাদের বাজারে ক্রমবর্ধমান। এই ব্যবসা থেকে কৃষক ভাল মুনাফা অর্জন করতে পারবেন।
৫) হিমায়িত চিকেনের ব্যবসা –
সমগ্র বিশ্ব জুড়ে মুরগির চাহিদা যথেষ্ট। শহরতলীতে আপনি এই ব্যবসাটি অনায়াসে শুরু করতে পারেন। এটি লাভের একটি উন্নত মাধ্যম।
৬) তৈল উত্পাদন ব্যবসা –
অনেক ধরণের উদ্ভিদ আছে, যেমন ক্যাস্টর, হলুদ সরষে, তিল, ইউক্যালিপ্ট্যাস, পুদিনা ইত্যাদি থেকে তৈল উত্পাদিত হয়। তৈল সকলের বাড়িতে খাবার তৈরীতে এবং অন্যান্য কাজেও ব্যবহৃত হয়। সুতরাং, তৈল উত্পাদন ব্যবসা কৃষকদের পক্ষে বেশ লাভজনক।
৭) চিনাবাদাম প্রক্রিয়াজাতকরণ ব্যবসা -
প্রান্তিক কৃষকদের জন্য, চিনাবাদাম উত্পাদন ব্যবসা আয়ের একটি উন্নত মাধ্যম। কৃষক প্রক্রিয়াজাতকরণ করে চিনাবাদামের প্যাকেট তৈরি ও বিক্রয় করতে পারেন। আমাদের বাজারে বাদামের ভাল চাহিদা আছে।
জনসংখ্যার সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে খাদ্যের চাহিদাও। তাই খাদ্য সম্পর্কিত এই ধরণের ব্যবসা করে কৃষকরা কৃষিকাজের পাশাপাশি নিজেদের আর্থিক অবস্থার উন্নতি ঘটাতে পারেন।
কম পুঁজিতে বাড়ি থেকেই শুরু করুন এই কয়েকটি কৃষি ব্যবসা (Agriculture Business)
গ্রামে এই ৫ ব্যবসাতেই (Business in Village) যুবকরা হয়ে উঠুন আত্মনির্ভর, উপার্জন করুন প্রচুর
(Solar car subsidy) সরকারের পরিকল্পনায় এবার সোলার কার তৈরিতে পাওয়া যাবে ভর্তুকি
Share your comments