গ্রামাঞ্চলে বসবাসরত কৃষকদের জন্য একদিকে যেখানে কৃষিকাজ একটি ভালো ব্যবসা হিসেবে বিবেচিত হয়, অন্যদিকে পশুপালন ব্যবসাকেও অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করা হয়।
তাই দেশের অধিকাংশ রাজ্যের গ্রামীণ এলাকার কৃষক ভাইদের মধ্যেও পশুপালন ব্যবসার প্রতি আগ্রহ বাড়ছে । এই প্রেক্ষাপটে আজ আমরা এমন একজন সফল কৃষকের গল্প বলতে যাচ্ছি যিনি পশুপালন ব্যবসায় নিজ জেলায় আলাদা পরিচিতি তৈরি করেছেন। তাহলে চলুন বিস্তারিত জেনে নেই এই সফল কৃষকদের সাফল্যের গল্প।
আরও পড়ুনঃ লাল সিন্ধি: বিশাল দুধ উৎপাদনের জন্য একটি জনপ্রিয় দুগ্ধজাত গবাদি পশু
উত্তরপ্রদেশের ইটাওয়া জেলার বিহরি গ্রামের বাসিন্দা কৃষক আশুতোষ দীক্ষিত এই দিন পুরো ইটাওয়া জেলার জন্য একজন সফল কৃষক হিসেবে আবির্ভূত হচ্ছেন। তিনি তার সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং চাকরি ছেড়ে পশুপালন ব্যবসায় তার আগ্রহ বাড়ান এবং আজ তিনি পুরো জেলার জন্য অনুপ্রেরণা হয়ে উঠছেন।
আরও পড়ুনঃ বিশ্বের সবথেকে দামি মুরগির চাষ পদ্ধতি দেখে নিন
কৃষক আশুতোষ দীক্ষিত বলেছেন যে তিনি কানপুর শহরের একটি নামী কলেজ থেকে 2017 সালে ইঞ্জিনিয়ারিং পড়েছিলেন। এরপর তার স্বপ্ন ছিল যে সে ভালো চাকরি পাবে এবং তার ঘরের দেখভাল করবে, কিন্তু ভাগ্য তাকে ভালো চাকরি পেতে সাহায্য করেনি। চাষী আশুতোষ জানান, চাকরির জন্য তিনি বহুবার চেষ্টা করেছিলেন, কিন্তু সময় তাকে বাধা ছাড়া কিছুই দেয়নি। তিনি পশুপালনের ব্যবসা শুরু করার কথা ভেবেছিলেন।
কৃষক আশুতোষ জানালেন, প্রাথমিকভাবে তিনি ছোট পরিসর থেকে ব্যবসা শুরু করার প্রস্তুতি নিয়েছিলেন। প্রথমে রাজস্থান থেকে চারটি শাহিওয়াল গরু কিনে ব্যবসা শুরু করেন কৃষক। পরে ব্যবসা সফল করতে প্রশিক্ষণও নেন। এরপর তিন বছরের মধ্যে কৃষক আশুতোষ প্রায় ৭০টি গোয়ালঘরের মালিক হন।
তিনি বলেন শাহিওয়াল গরুর দুধের বিশেষত্ব ইটাওয়া জেলার কোথাও অন্য গরুর দুধে পাওয়া যায় না। এ কারণে এর দুধের চাহিদা বেশি। এর দুধের বিশেষত্বের কারণে দামও ভালো। এ ছাড়া গোবর থেকে সার তৈরি করে বাজারে ভালো দামে বিক্রিও করছেন তারা। যার কারণে তারা মাসে ১৫ লাখ টাকা পর্যন্ত আয় করে।
Share your comments