কিছুদিন পূর্বেই ঘূর্ণিঝড় ‘ইয়াশ’-এ প্রভূত ক্ষতি হয়েছে কৃষকদের। অপূরণীয় সে ক্ষতি। দেশে একদিকে করোনা মহামারীর কারণে কৃষকদের অর্থনৈতিক অবস্থা সঙ্গিন, অপরদিকে ঘূর্ণিঝড়ের কারণে ক্ষতির চিত্রটি আরও মারাত্মক। তবে প্রাকৃতিক দুর্যোগে ফসলের ক্ষতি হলেও কৃষকের যাতে সম্পূর্ণ ধ্বংসের মুখে না দাঁড়াতে হয়, তার জন্য রয়েছে রাজ্য সরকারের ‘ বাংলা শস্য বীমা প্রকল্প’।
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য যে, পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছেন, ‘ইয়াশ’ ঘূর্ণিঝড়ে রাজ্যের কৃষকদের বেশ ক্ষতি হয়েছে। তারা যাতে আর্থিক সংকট কাটিয়ে উঠতে পারে, সেজন্য তিনি তাঁদের পাশে রয়েছেন।
পশ্চিমবঙ্গে ইতিমধ্যে প্রায় ৪৭ লক্ষেরও বেশী কৃষক ফসল বীমা প্রকল্প (বাংলা শস্য বিমা)- প্রকল্পের আওতায় রয়েছে। এই প্রকল্পটি সুচারুভাবে পরিচালনার জন্য সরকারের আনুমানিক ব্যয়ের পরিমাণ ৪৫০ কোটি টাকা। রাজ্য কৃষি বিভাগের কর্মকর্তাদের মতে, প্রায় ২১ লক্ষ হেক্টর আবাদযোগ্য জমি ইতিমধ্যে ফসল বীমা প্রকল্পের আওতায় অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। বীমাকৃত প্রধান শস্য হল আমন ধান, আউশ ধান, পাট এবং ভুট্টা।
মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশ অনুসরণ করে ২০১৮ সালের জুনে এই প্রকল্পটি চালু করা হয়েছিল। এটি রাজ্যের কৃষকদের জন্য অত্যন্ত উপকারী বলে প্রমাণিত হয়েছে। সরকার সম্পূর্ণ প্রিমিয়াম প্রদান করায় এই প্রকল্পটি কৃষকদের জন্য বিনামূল্যে এবছর করা হচ্ছে। কৃষকদের প্রাকৃতিক দুর্যোগ থেকে রক্ষা করতে এবং বাজারে অস্থিতিশীল দামের ক্ষেত্রে অবিচ্ছিন্ন আয় নিশ্চিত করার লক্ষ্যে ভারতের কৃষি বীমা সংস্থা (AIC) এর সহযোগিতায় ‘শস্য বীমা’ বীমা প্রকল্প প্রচলন করা হয়েছিল।
কোন প্রাকৃতিক বিপর্যয় এবং অন্যান্য কারণে কৃষকের ফসল নষ্ট হয়ে গেলে তার ক্ষতিপূরণের উদ্দেশ্যে এই বীমার প্রচলন করেছে সরকার। এই প্রকল্পটি রোপণ, চাষাবাদ এবং ফসল সংগ্রহ পরবর্তী সময়ে ফসলের ক্ষেতে পড়ে থাকা এবং প্রতিকূল আবহাওয়ার পরিস্থিতিতে ক্ষতিগ্রস্থদের অন্তর্ভুক্ত করে।
অনেক কৃষকই তাদের ফসলের বীমা করিয়েছেন, কিন্তু দরকার পড়লে এই বীমার অর্থ কীভাবে আবেদন করবেন জানেন কী?
দেখে নিন কৃষকবন্ধুরা প্রয়োজন পড়লে কীভাবে আপনাদের এই বীমার অর্থের জন্য আবেদন করতে হবে।
পশ্চিমবঙ্গের কৃষকরা ফসল বীমার জন্য ক্লিক করুন -
বীমার অর্থ দাবির আবেদন (Insurance claiming process) –
ফসলের ক্ষতি হলে আবেদনকারীকে/কৃষককে ৭২ ঘন্টার মধ্যে বীমাকৃত শস্যের তথ্য সরবরাহ করতে হবে। জরিপ নম্বর অনুসারে বীমাকৃত শস্য এবং আবাদ প্রভাবিত ক্ষেত্রের বিশদ থাকতে হবে। কৃষকের সকল তথ্য যাচাইয়ের পরে বীমার অর্থ প্রদান করা হবে।
অধিক জানতে লগ ইন করুন https://banglashasyabima.net/
আরওপড়ুন - Sufal Bangla West Bengal: সুফল বাংলা, কৃষকদের জন্য নিতান্তই এক সফল প্রকল্পের নাম
বিশদ তথ্যের জন্য, আবেদনকারী অ্যাসিস্টেন্ট ডিরেক্টর অফ এগ্রিকালচার অফিসে (ADA) অফিসে যোগাযোগ করতে পারেন বা টোল ফ্রি নাম্বার ১৮০০-১০৩-১১০০ –এ কল করতে পারেন।
আরওপড়ুন - SBI Loan – বাড়িতে বসেই কীভাবে ব্যবসার জন্য সরকার থেকে লোণ পাবেন?
Share your comments