Ridge Gourd Farming – ঝিঙ্গা চাষ থেকে বেশী অর্থ উপার্জন করতে চান? এই পদ্ধতিতে চাষ করুন আর আপনিও পান মুনাফা

আমাদের দেশে প্রায় সব এলাকাতেই ঝিঙ্গা চাষ করা হয়। একটি জনপ্রিয় গ্রীষ্মকালীন সবজি। সঠিক পদ্ধতিতে ঝিঙ্গা চাষ করলে এই চাষ থেকে কৃষকদের ভালোই অর্থ উপার্জন হয়ে থাকে। দেশী জাতের ঝিঙ্গা আকারে ছোট, দ্রুত আশ হয়ে যায়, স্বাদে কিছুটা তিক্ত এবং ফলন কম।

KJ Staff
KJ Staff
Ridge Gourd Cultivation
Ridge Gourd (Image Credit - Google)

আমাদের দেশে প্রায় সব এলাকাতেই ঝিঙ্গা চাষ করা হয়। একটি জনপ্রিয় গ্রীষ্মকালীন সবজি। সঠিক পদ্ধতিতে ঝিঙ্গা চাষ করলে এই চাষ থেকে কৃষকদের ভালোই অর্থ উপার্জন হয়ে থাকে।

জলবায়ু ও মাটি (Climate & Soil) :

দীর্ঘ সময়ব্যাপী উষ্ণ ও আর্দ্র আবহাওয়া এবং প্রচুর সূর্যালোক থাকে এমন এলাকা ঝিঙ্গা চাষের জন্য উত্তম। সুনিষ্কাশিত উচ্চ জৈব পদার্থ সমৃদ্ধ দোঁআশ মাটি ঝিঙ্গার সফল চাষের জন্য উত্তম।

জাত (Variety) :

আমাদের দেশে বর্তমানে দুই ধরণের ঝিঙ্গা চাষ করা হয়। ১। দেশি ঝিঙা, ২। হাইব্রিড জাত। দেশী জাতের ঝিঙ্গা আকারে ছোট, দ্রুত আশ হয়ে যায়, স্বাদে কিছুটা তিক্ত এবং ফলন কম। অপর দিকে হাইব্রিড জাতের ঝিঙ্গা আকারে বড় লম্বা, সুস্বাদু এবং বীজ নরম ও রসালো।

বর্তমানে আমাদের দেশের চাষিরা হাইব্রিড জাতের ঝিঙ্গা চাষ করার প্রতি বেশি আগ্রহী। বাজারে এখন হাইব্রিড জাতের অনেক ঝিঙ্গা পাওয়া যায়, তাঁর মধ্যে রয়েছে- গ্রিন স্টার, বসন্তী, সামিহা, ডায়েট, অনামিকা, মাওতি, লুফা ৩৫, রিজ লং, দোদুল, হিরো, হারকুলাস, টেস্টি, সাথী, ঈসা খাঁ, মূসা খাঁ, বলেশ্বর ইত্যাদি অন্যতম।

বীজ বপনের সময়: ফেব্রুয়ারি থেকে মার্চ মাস পর্যন্ত বীজ বপনের উপযুক্ত সময়।

বীজ হার : হেক্টর প্রতি ৩-৪ কেজি বা শতাংশ প্রতি ১২-১৫ গ্রাম বীজের প্রয়োজন হয়।

জমি নির্বাচন এবং তৈরি:

ঝিঙ্গা চাষে সেচ ও নিকাশের উত্তম সুবিধাযুক্ত এবং পর্যাপ্ত সূর্যালোক প্রায় এমন জমি নির্বাচন করতে হবে। একই গাছের শিকড় বৃদ্ধির জন্য জমি এবং গর্ত উত্তমরুপে তৈরি করতে হয়। এ জন্য জমিকে প্রথমে ভাল ভাবে চাষ ও মই দিয়ে এমনভাবে তৈরি করতে হবে যেন জমিতে কোন বড় ঢিলা এবং আগাছা না থাকে।

বেড তৈরি (Bed Preparation) :

বেডের উচ্চতা হবে ১৫-২০ সেমি। বেডের প্রস্থ হবে ১.২ মিটার এবং লম্বা জমির দৈঘ্য অনুসারে সুবিধামত নিতে হবে। এভাবে পরপর বেড তৈরি করতে হবে। এরূপ পাশাপাশি দুইটি বেডের মাঝখানে ৬০ সেমি ব্যাসের সেচ ও নিকাশ নালা থাকবে এবং ফসল পরিচর্যার সুবিধার্থে প্রতি দুবেড পর পর ৩০ সেমি প্রশস্ত নালা থাকবে।

মাদা তৈরি ও চারা রোপণ:

মাদার আকার হবে ব্যাস ৫০ সেমি, গভীর ৫০ সেমি এবং তলদেশ ৫০ সেমি। ৬০ সেমি প্রশস্ত সেচ ও নিকাশ নালা সংলগ্ন উভয় বেডের কিনারা হইতে ৬০ সেমি বাদ দিয়ে মাদার কেন্দ্র ধরে ২ মিটার অন্তর অন্তর এক সারিতে মাদা তৈরি করতে হবে। প্রতি বেডে এক সারিতে ১৬-১৭ দিন বয়সের চারা লাগাতে হবে।

সার প্রয়োগ (Fertilizer Application) :

প্রতি মাদায় গোবর সার- ৫ থেকে ১০ কেজি, ইউরিয়া- ৫০০ গ্রাম, টিএসপি- ৪০০ গ্রাম, এমওপি- ৩০০ গ্রাম, বোরণ- ২ গ্রাম প্রয়োগ করতে হবে।

রোগ-বালাই (Disease Management) :

ঝিঙ্গা গাছের প্রধান শত্রু হচ্ছে বিটল পোকা। এছাড়াও গান্ধি পোকা পাতার রস চুষে খায় এবং পাতাকে রস শূণ্য করে। মাছিতে ফল নষ্ট করতে থাকে। তাই এসব ক্ষতিকারক পোকা-মাকড় হতে রক্ষা পেতে হলে নিয়মিত কীটনাশক স্প্রে করতে হবে।

আরও পড়ুন Saffron Farming: জেনে নিন "লাল সোনা বা জাফরান" চাষের দুর্দান্ত পদ্ধতি

ফল সংগ্রহ: গাছ লাগানোর দেড় থেকে দুই মাসের মধ্যে ঝিঙ্গা সংগ্রহ করা যায়। ঝিঙ্গা চাষ করে যেমন পরিবারের চাহিদা মেটানো যায় তেমনি বাজারে বিক্রয় করে অর্থ উপার্জন করা যায়।ভালো জাত উর্বর মাটিতে উত্তমরুপে চাষ করতে পারলে হেক্টর প্রতি ১০-১৫ টন (শতাংশ প্রতি ৪০-৬০ কেজি ) ফলন পাওয়া সম্ভব।

আরও পড়ুন Paddy Crop Protection: দ্বিগুন ধান পেতে ধানের কীটশত্রুকে দমন করার পদ্ধতি শিখে নিন

Published On: 24 June 2021, 07:28 PM English Summary: Want to earn more money from Ridge Gourd Farming? Cultivate in this way and you also get profit

Like this article?

Hey! I am KJ Staff. Did you liked this article and have suggestions to improve this article? Mail me your suggestions and feedback.

Share your comments

আমাদের নিউজলেটার অপশনটি সাবস্ক্রাইব করুন আর আপনার আগ্রহের বিষয়গুলি বেছে নিন। আমরা আপনার পছন্দ অনুসারে খবর এবং সর্বশেষ আপডেটগুলি প্রেরণ করব।

Subscribe Newsletters