করোনার মহামারীর কারণে ভিন রাজ্য থেকে চলে আসা মানুষদের অর্থাৎ নির্মাণ কার্যে নিযুক্ত দিনমজুর, শ্রমিকদের জন্য একটি সুসংবাদ প্রকাশিত হয়েছে। এই মহামারীর সময়ে তাদের সহায়তার কথা চিন্তা করে হরিয়ানা সরকার অভিবাসী শ্রমিকদের নিজের রাজ্যে ফিরে আসার জন্য ১৫০০ টাকা পর্যন্ত ভাড়া বাবদ দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এই সুবিধাটি পরিযায়ী শ্রমিকদের জন্য দুই মাস পর্যন্ত উপলব্ধ থাকবে।
শ্রমিক, দিনমজুর, দরিদ্রদের সহায়তা (Financial support from Gov.)-
প্রায় সব রাজ্যই নিজেদের রাজ্যের শ্রমিকদের জন্য সহায়তা বাবদ কিছু টাকা দিচ্ছে। কেন্দ্রও সহায়তা করে চলেছে। ইতিমধ্যে পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য সরকার প্রচেষ্টা প্রকল্পের মাধ্যমে রাজ্যের প্রবাসী শ্রমিক, দিনমজুরদের ১০০০ টাকা করে দিয়েছে। এবার হরিয়ানা সরকারের উদ্যোগে স্থানীয় শ্রমিকদের সহায়তা করা হছে। সেখান পঞ্চকুলা-র পিডব্লিউডি রেস্ট হাউসে শ্রমকল্যাণ বোর্ডের বৈঠক শেষে চন্ডীগড়ের তার বাসভবনে গণমাধ্যমের সাথে কথা বলার সময়, উপ-মুখ্যমন্ত্রী দুষ্যন্ত চৌথলা বলেন যে, ১৫০০ টাকা ছাড়াও অন্য শহর থেকে অভিবাসী শ্রমিকদের হরিয়ানায় আনতে সরকারী বাসের ব্যবস্থা করা উচিত সরকারের। এই উদ্দেশ্যে সিদ্ধান্তও গৃহীত হয়েছে। এখন পর্যন্ত এই করোনার মহামারীর কারণে ৩ লক্ষ ১০ হাজার কর্মীকে ১৫৪ কোটি টাকা প্রদান করা হয়েছে।
আর্থিক সহায়তা ছাড়াও কর্ম সংস্থানের প্রচেষ্টা –
রাজ্য ও কেন্দ্র সরকার অভিবাসী শ্রমিকদের ভাড়া প্রদান ছাড়াও তাদের কল্যাণ সম্পর্কিত অনেক প্রকল্প প্রচলন করেছে। চৌথলা আরও জানিয়েছেন যে, বাড়ি এবং অন্যান্য পরিকাঠামোগত নির্মাণ কাজের সাথে যুক্ত নিবন্ধিত সংস্থাগুলি অন্য রাজ্য থেকে আসা পরিযায়ী শ্রমিকদের নিজেদের সাথে কাজ করতে আমন্ত্রণ জানিয়েছে। সুতরাং, রাজ্যের হাল কিছুটা ফিরতে চলেছে। একদিকে শ্রমিকদের আর্থিক সহায়তা করছে সরকার, অন্যদিকে সংস্থাগুলিও তাদের কর্ম সংস্থানের জন্য সাহায্য করে চলেছে। এর সাথে সরকার শ্রমিকদের বাস পাস দেওয়ার বিষয়টিও বিবেচনা করে দেখছে।
পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় রাজ্যের শ্রমিকদের আশ্বস্ত করেছেন। তিনি প্রবাসী শ্রমিক এবং রাজ্যের দিনমজুরদের উদ্দেশ্যে বলেছেন, লকডাউনের পরেও যাতে তাদের আর বাইরে কাজে যেতে না হয়, সেই বিষয়টি তিনি দেখবেন। কেন্দ্রের কাছেও তিনি প্রস্তাব রেখেছেন, প্রত্যেক শ্রমিকের জন্য ১০ হাজার করে আর্থিক সহায়তা করার জন্য। তিনি আরও জানিয়েছেন যে, রাজ্যেই আরও শিল্প গড়ে তোলার প্রচেষ্টা করবেন তিনি, যাতে আর কোন শ্রমিককে পরিযায়ীর তকমা পেয়ে বিপদের দিনে রাজ্যে ফেরার জন্য হা-পিত্যেশ করে বসে না থাকতে হয়, তাদের কর্মস্থানের চেষ্টায় রয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী।
Related Links - গরিব কল্যাণ রোজগার অভিযান যোজনা (PMGKY): আপনি ঘরে বসেই এই প্রকল্পের সহায়তায় পাবেন কর্মসংস্থান
নভেল করোনা ভাইরাসের কৃষিতে (Impact of Covid-19 on agriculture) প্রভাব
সর্বাধিক লাভজনক পশুপালন (animal husbandry business) ব্যবসা, স্বল্প বিনিয়োগ অধিক মুনাফা
Share your comments