শারীরিক প্রতিবন্ধী হয়েও কঠোর পরিশ্রম করে আক্কাস আলী খান পেয়েছেন সাফল্য। চলতি বছরে কালো জিরা চাষ করে রীতিমত সাড়া ফেলেছেন তিনি। অন্য মানুষের মতো স্বাভাবিক চলাফেলা করতে পারেন না আক্কাস। পায়ে ভর করে হাঁটতে না পারলেও হয়েছেন সফল চাষি। মাঠজুড়ে কালিজিরা চাষ করে তাক লাগিয়ে দিয়েছেন বাংলাদেশের এই কৃষক ।
বাংলাদেশের এক সংবাদপত্রে প্রকাশিত খবর অনুযায়ী, এ বছর কালিজিরার চাষ করেছেন আক্কাস । শুরু থেকেই কালিজিরা চাষে বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ নিয়েছেন তিন । এরপর মনে অনেক সাহস নিয়েই কালিজিরার চাষ শুরু করেছেনতিনি। তাঁর কালিজিরা এখন খেতে বাতাসে দোল খাচ্ছে। তা দেখে আশপাশের কৃষকেরা ছুটে আসছেন এই ব্যতিক্রমধর্মী চাষ সম্পর্কে জানতে।
আরও পড়ুনঃ মাকে ভালোবেসে দৃষ্টান্ত সৃষ্টি কৃষকের! শস্যচিত্রে ফুটিয়ে তুললেন ‘মা’
এ বছর ৫০ শতক জমিতে মসলাজাতীয় ফসল কালিজিরা চাষ করেছেন প্রতিবন্ধী আক্কাস আলী খান। প্রকাশিত সংবাদ অনুযায়ী, কালিজিরা চাষ করতে তার খরচ হয় প্রতি বিঘায় ৪ হাজার টাকা। ফলন ভালো হলে প্রতি বিঘা ৪ মণের বেশি ফসল ঘরে তুলতে পারবেন বলে আসা আক্কাস । এর বাজারে চাহিদাও বেশি। প্রতি মণ কালিজিরা এখন প্রায় ৮ হাজার টাকা দরে বিক্রি হয়।
আরও পড়ুনঃ থাই পেয়ারা চাষ করে তরুণদের পথ দেখাচ্ছেন বাংলাদেশের তরুণরা
মিডিয়া রিপোর্ট অনুযায়ী, চলতি মৌসুমে কালিজিরার চাষ হয়েছে ৫০ একরের বেশি জমিতে। আক্কাসের পাশাপাশি যে সব কৃষক এটি চাষ করেছেন, তাঁদের সবার ফলনও ভালো হয়েছে। আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে ভালো দামে বিক্রি করতে পারবেন বলে তাঁরা আশা করছেন।এদিকে বাজারে মূল্য ভালো থাকায় দিন দিন কালিজিরার চাষ বাড়ছে বলে জানিয়েছেন এ অঞ্চলের কৃষকেরা।
মাগুরায় কালিজিরা একসময় দিনাজপুর, সিরাজগঞ্জ, বগুড়াসহ নানা জেলা থেকে আসত। এখন মাগুরায় যে চাষ শুরু হয়েছে এত কৃষকেরা বলছেন অনেকটাই মাগুরা থেকে বাজারে ঘাটতি পূরণ হয়। অর্থাৎ বাইরে থেকে কালিজিরা কম আনতে হয়।
আরও পড়ুনঃ দম্পতি কৃষক মিশ্র চাষ করে তাক লাগালেন! ঘরে বসেই আয় করলেন লাখ লাখ টাকা
কালিজিরা একটি ঔষধিগুণ-সম্পন্ন মসলাজাতীয় ফসল। একে তেলজাতীয় ফসল ও বলা যায়। এতে রয়েছে অসংখ্য ঔষধি গুণাবলি; যা মানবদেহে অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট হয়েছে কাজ করে।
Share your comments