পশ্চিমবঙ্গের দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলার জয়নগর ব্লকের কৃষি অধুষ্যিত গ্রাম চুপড়িঝাড়া। মূলতঃ, ধান ও বাণিজ্যিক ভাবে সবজি চাষই এই গ্রামের বাসিন্দাদের মূল জীবিকা। কিন্তু অনেক সময়ই প্রাকৃতিক দুর্যোগ এবং সঠিক তথ্যের অভাবে কৃষকরা ক্ষতির সম্মুখীন হয়। এই গ্রামেরই ক্ষুদ্র কৃষক বিশ্বজিৎ ঘরামী।
কৃষক পরিবারের সন্তান হওয়ার দরুন ছোট বেলা থেকেই চাষের কাজে যুক্ত, কিন্তু মূলত প্রথাগত পদ্ধতিতেই বিশ্বজিৎ সবজি চাষ করে চলছিল।
রিলায়েন্স ফাউন্ডেশন এর কৃষি সম্পর্কিত তথ্য-
সম্প্রতি লকডাউন এর প্রাক্কালে এই গ্রামে রিলায়েন্স ফাউন্ডেশন (Reliance Foundation) এর পক্ষ থেকে একটি ভার্চুয়াল ট্রেনিং এর আয়োজন করা হয় এবং বিশ্বজিতের এই ট্রেনিং এ অংশগ্রহণ করার সুযোগ হয়েছিল। এখন থেকেই সে রিলায়েন্স ফাউন্ডেশন এর নিঃশুল্ক টোল ফ্রী নম্বর ১৮০০ ৪১৯ ৮৮০০ নম্বর সম্পর্কে জানতে পারে। লকডাউন এর সময় যখন গোটা জেলার অর্থনৈতিক কাজকর্ম স্তব্ধ হয়ে গিয়েছিলো, কৃষকরা কোনো জায়গা থেকেই কোনো টেকনিক্যাল পরিষেবা পাচ্ছিলো না, তখন বিশ্বজিৎ এর পাশে দাঁড়ায় রিলায়েন্স ফাউন্ডেশন এর টোল ফ্রী নম্বর। নিয়মিত ফোনালাপ এর মাধ্যমে ফাউন্ডেশন এর কৃষি বিশেষজ্ঞ দের কাছ থেকে বিশ্বজিৎ তথ্য আদান প্রদান করতে থাকে।
ফলস্বরূপ, বর্তমানে ১০ কাঠা জমিতে বিশ্বজিৎ বরবটি চাষ করছে। আগে যেখানে ১০-কাঠা জমিতে চাষের খরচ হতো আনুমানিক ৬,০০০/- টাকা, ফাউন্ডেশন এর কাছ থেকে পরিষেবা পাওয়ার পর গত মরশুমে খরচ হয়েছে মাত্র ৩,৫০০/- টাকার মতো - পাশাপাশি ফসলের উৎপাদনও বেড়েছে আগের থেকে অনেক বেশি।
আজ বিশ্বজিৎ শুধু রিলায়েন্স ফাউন্ডেশন এর একজন নিয়মিত টেলি কলার নন, চুপড়িঝাড়া গ্রামের অন্যান্য কৃষকদের কাছে ফাউন্ডেশন এর জীবন জীবিকার বিভিন্ন কর্মসূচি গুলির সাথেও পরিচয় করিয়ে দিচ্ছে।
রিলায়েন্স ফাউন্ডেশন পরিবার বিশ্বজিৎ এর মতো গ্রাম বাংলার লক্ষ লক্ষ কৃষককে কৃষি সম্পর্কিত তথ্য সঠিক সময় পৌঁছে দেওয়ার জন্য দৃঢ়প্রতিজ্ঞ।
Share your comments