স্বাভাবিক সময়ে রাজ্যে বর্ষার আগমন, পর্যাপ্ত বৃষ্টিপাত কৃষকদের কাছে ইশ্বরের আশীর্বাদ স্বরূপ। কারণ এই সময়ের বৃষ্টিপাত কৃষকদের উন্নত গুনমানের ফসল উৎপাদনের জন্য গুরত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। বিগত কয়েকদিনের বৃষ্টিপাতে রাজ্যের কৃষকদের মুখে স্পষ্টতই খুশির ছোঁয়া। শুধু এ রাজ্যেই নয়, দেশের বিভিন্ন রাজ্যেই বর্ষার প্রবেশে এ সময়ে কৃষকরা খরিফ ফসল বপনের প্রস্তুতি শুরু করেছেন। কৃষকরা বিশ্বাস করেন যে বর্ষার বৃষ্টিতে খরিফ ফসলের ফলন বাড়ে।
বর্ষা ধান বপনে সহায়তা করবে (Plantation) -
যদিও, বর্ষার বৃষ্টির কারণে সবজি ফসলের ব্যাপক ক্ষতি হবে, তবে এই বৃষ্টি ধান চাষে কৃষকদের জন্য প্রভূত সহায়ক। দেশের বেশীরভাগ কৃষক জমি প্রস্তুত করে, ধানের বীজতলা তৈরী করে চাষের প্রস্তুতি শুরু করছেন। এই সময়ে অপেক্ষাকৃত শীতল আবহাওয়া চাষের জন্য এবং গুনমানের ফসল উৎপাদনের জন্য আদর্শ। বর্ষার বৃষ্টি এবং তীব্র বাতাস উভয়ই পরিবেশ শীতল রাখে। ফলে কৃষকরা খারিফ মরসুমে ফসলের বপন থেকে বেশী ফলন পান।
বর্ষা লাউ ফসলের জন্য ক্ষতিকারক -
কৃষি বিজ্ঞানীরা বলছেন যে একদিকে বর্ষার বৃষ্টিপাত কৃষকদের জন্য খুব উপকারী, কারণ এই সময়ে কৃষকরা ধান, অড়হর (ডাল) সহ অনেক ফসল চাষ করতে পারবেন। তবে বর্ষার অতিরিক্ত বৃষ্টির কারণে লাউ, করলা, পটল, ভেন্ডি ইত্যাদি ফসলের ব্যাপক ক্ষতি হতে পারে। আসলে, বর্ষার বৃষ্টিপাতের কারণে যদি এই ফসলের জমিতে জলের সৃষ্টি হয় তবে গোড়া পচে ফসলের ক্ষতি হতে পারে। ফসল সুরক্ষার জন্য কৃষকদের সতর্ক দৃষ্টি রাখতে হবে, জমিতে যেন কোনভাবেই জল না জমে থাকে। এছাড়া বর্ষায় রোগ – পোকার আক্রমণও বেশী হয়। তাই রোগ-পোকার আক্রমণ হলেই কৃষকের উচিৎ বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নেওয়া।
বর্ষার আগমন -
পশ্চিমবঙ্গ, কেরল, মহারাষ্ট্র, ওড়িশা- এ সকল স্থানে দক্ষিণ পশ্চিম বর্ষা স্বাভাবিক সময়ে প্রবেশ করলেও অনেক রাজ্যে এই বছর বর্ষার আগমন দেরীতে হবে বলে জানা গিয়েছে। বর্ষার আগমন ঘটে সাধারণত জুনের প্রথম সপ্তাহে, তবে স্কাইমেট ওয়েদার অনুসারে, এবার বর্ষা জুনের দ্বিতীয় সপ্তাহের শেষে অর্থাৎ এই সপ্তাহেই অনেক জায়গায় প্রবেশ করতে চলেছে।
Related Link - #বর্ষা:২০২০, পলি মালচিং সহযোগে রজনীগন্ধার (tuberose) বাণিজ্যিক চাষ
কৃষকরা পাবেন ফার্ম যন্ত্রপাতি ও সরঞ্জাম (farm equipment) ক্রয়ে সরকারের থেকে 80% পর্যন্ত ভর্তুকি
বর্ষায় বাজরা চাষে (Millet in Monsoon) প্রচুর লাভ, তার আগে তৈরি করুন জৈব সার
Share your comments