সারাদেশে ব্যাপক উত্পাদন হওয়ায়, নীতি আয়োগ সুপারিশ করেছে যে দেশে আখ চাষের পরিমাণ হ্রাস করতে হবে এবং অন্য ফসলের উৎপাদন বাড়াতে হবে।
NITI AAYOG জানিয়েছে যে, আখের পরিবর্তে অন্যান্য ফসল চাষ করলে হেক্টর প্রতি কৃষকদের ৬০০০ টাকার পারিশ্রমিক দেওয়া হবে। এতে আখের আবাদকৃত অঞ্চল তিন লাখ হেক্টর হ্রাস পাবে।
টাস্কফোর্সের সুপারিশ অনুযায়ী, চিনি কারখানাগুলির উচিৎ কৃষকদের থেকে উৎপন্ন আখের ৮৫% ক্রয় করা। সম্পূর্ণ উৎপাদিত পণ্য ক্রয় না করলে কৃষকরা এই ফসল উৎপাদনে নিরুৎসাহিত হবেন এবং ব্যাপক হারে উৎপাদন নিয়ন্ত্রণ করা যাবে।
থিঙ্ক ট্যাঙ্ক –এর যুক্তি অনুযায়ী, অতিরিক্ত উত্পাদন হলে ফসলের দাম হ্রাস পাবে। আর ফসলের দাম হ্রাস পেলে তা এই বাজারে কৃষকদের জন্য ক্ষতিকারক। ‘Doubling farmers income’ আয় শীর্ষক ২০১৭ সালে প্রকাশিত প্রতিবেদনে থিংক ট্যাঙ্ক জানিয়েছে যে, কৃষকদের এই আয় দ্বিগুণ করতে হলে কৃষকদের বৈচিত্র্যময় ফসলের চাষ করতে হবে। কোন এক প্রকার নির্দিষ্ট ফসলের অতিরিক্ত উৎপাদন ছেড়ে ক্রপ রোটেশনের দিকে নজর দেওয়া উচিৎ কৃষকদের।
২০১৮ সালে অতিরিক্ত উৎপাদনের কারণে চিনির দাম যে হ্রাস পেয়েছিল তা স্থিতিশীল করতে সরকার শুরু করেছিল বাফার স্টক। থিংক ট্যাঙ্ক আরও জানিয়েছে যে, এই বাফার স্টক বন্ধ করে দেওয়া উচিত।
সরকারের এই পদক্ষেপে বিরোধী পক্ষ এবং কৃষক ইউনিয়ন পক্ষ থেকে তীব্র প্রতিক্রিয়া আসতে চলেছে নিশ্চিত, কারণ আখ ফসলের কৃষকদের জন্য সবচেয়ে ঝুঁকি-বিহীন ফসল হিসাবে বিবেচিত হয় এবং এর মূল্যও বাজারে ভালো হওয়ায় কৃষকরা আখ চাষে অধিক মনোনিবেশ করে থাকেন।
সরকারের মতে, চিনির উৎপাদন হ্রাস করার একটি কার্যকরী উপায় হল, চিনির কারখানাগুলিকে আখের বিকল্প ব্যবস্থার দিকে ইথানল উৎপাদনের দিকে নজর দিতে হবে।
Image source - Google
Related Link - (Crop protection) আরও চারটি প্রধান ফসল এখন পিএমএফবিওয়াই-এর আওতায়, ফসল বীমার মাধ্যমে এই মরসুমে শস্যের সুরক্ষা নিশ্চিত করুন
Share your comments