
বর্তমান পরিস্থিতিতে অর্থনৈতিক টানাপোড়েনের শিকার হয়েছেন অনেকেই৷ কিন্তু এর মধ্যেও পরিশ্রমের জোরে ঘুরে দাঁড়ানো সম্ভব৷ বিশেষ করে কম সময়ে লাভের মুখ দেখতে চাইলে ব্যবসা শুরু করতে পারেন নিজের৷ আর এই ব্যবসার মধ্যে বেশি উপার্জনের এবং লাভের মুখ দেখাতে পারে (Profitable Business) রসুনের গ্রেডিং এবং প্যাকেজিং ব্যবসা৷
রসুন, আমাদের জীবনের সঙ্গে ওতোপ্রোতভাবে জড়িয়ে রয়েছে এটি৷ খাবার হোক বা ব্যবসা, সবক্ষেত্রেই রসুন কখনোই যেন আমাদের নিরাশ করে না৷ আর এ প্রসঙ্গে রাজস্থানের কথা উল্লেখ করতেই হয়, যা বিভিন্ন কৃষককে আরও উদ্বুদ্ধ করবে৷ রাজস্থানে ক্রমশই ব্যবসার ক্ষেত্রে নিজের শক্তপোক্ত জায়গা করে নিচ্ছে রসুন৷ রসুনের গ্রেডিং বা প্যাকেজিং (Garlic Packing Business) থেকে কৃষকেরা চাইলে অনায়াসেই অতিরিক্ত অর্থ উপার্জন করতে পারবেন৷ রাজস্থান থেকে রসুন দেশের অন্যান্য রাজ্যে বিশেষ করে তামিলনাড়ুতে পাঠানো হয়৷ এক কিলো প্রায় ৩০টাকার মতো লাভ থাকে৷

অনেকসময়ই রসুনের চাষ ভালো হওয়া সত্ত্বেও কৃষকেরা এর সঠিক দাম পান না৷ কিন্তু গ্রেডিং বা প্যাকিং-এর (Garlic Grading And Packing) পর সেই রসুনের বাজার মূল্য অনেকটাই বেড়ে যায়৷ এক কৃষকের বক্তব্য অনুযায়ী, ২০ বিঘা জমিতে তিনি স্থানীয় রসুন চাষ করতেন৷ কিন্তু বাজারে এর দাম জানার পর তিনি নিজেই এর গ্রেডিং করার (Garlic Packing Business) সিদ্ধান্ত নেন৷
গ্রেডিং-এর সময়, উন্নত মানের রসুন, মধ্যমানের রসুন সব পৃথক পৃথক ভাবে ৮-১০ কিলো করে প্যাকিং করেন তিনি৷ আর এই রসুন ট্রাকে করে তামিলনাড়ু নিয়ে যাওয়া হয়৷ গ্রেডিং বা প্যাকেজিং-এর খরচ বাদ দিয়েও প্রতি কিলো ১০-২০ টাকা বেশি উপার্জনের সুযোগ রয়েছে বলে জানা যাচ্ছে৷

গ্রেডিং এবং প্যাকিং করা রসুন বিক্রি তাই লাভজনক একটি ব্যবসায় (Profitable Business) পরিণত হয়েছে৷ উন্নতমানের রসুনের চাহিদা স্বাভাবিকভাবেই বেশি৷ গ্রেডিং-এর পরে ৬হাজার থেকে ১২ হাজার টাকা হিসেবে প্রতি ক্যুইন্টাল রসুন খুব সহজেই বিক্রি করা যেতে পারে৷ অথচ স্থানীয় সবজি মান্ডিতে এর দাম হয়তো পড়ে ৪০৮ হাজার টাকা প্রতি ক্যুইন্টাল৷
কৃষকদের মতে, রসুনের এই মান অনেক কিছুর ওপর নির্ভর করে৷ এর বীজের মান, জমির উর্বরশক্তি, পরিচর্যা প্রভৃতি৷ তাই সঠিক পদ্ধতিতে রসুন চাষের পাশাপাশি এই ব্যবসা করতে পারলে কৃষকেরা বর্তমানের কঠিন পরিস্থিতিতেও অতিরিক্ত উপার্জন করতে পারবেন৷
বর্ষা চ্যাটার্জি
আরও পড়ুন- চিপস্ তৈরির ব্যবসায় (Chips Making Business) প্রচুর উপার্জনের সুযোগ, আজই শুরু করুন
Share your comments