বর্তমানে ক্ষুদ্র-পর্যায়ের কৃষকরাও প্রাথমিকভাবে কৃষিকাজের পাশাপাশি অতিরিক্ত আয়ের লক্ষ্যে অন্য ব্যবসার দিকে ঝুঁকছেন। কৃষিতে ভবিষ্যতে লাভজনক চাষের জন্যে স্থানীয় চাহিদা সহ কৃষি খাত এবং বেশ কয়েকটি অন্যান্য ব্যবসা শুরু করা যেতে পারে। আপনার কৌশল, বুদ্ধি আর সুযোগ সুবিধা কাজে লাগিয়ে আপনি এই ব্যবসাগুলি শুরু করে দ্রুত আয় করতে পারেন। এজন্য খুব বেশি বিনিয়োগের দরকার নেই। তবে পরিশ্রম ছাড়া সাফল্য আসে না। তাই উন্নতি করতে হলে আপনাকে আগে পরিশ্রম করতে হবে। চলুন দেখে নেওয়া এমন কয়েকটি ব্যবসায়িক পরিকল্পনা যা আপনি যে কোন সময়ে কম পুঁজিতে শুরু করতে পারেন।
কৃষিকাজ (Organic products) -
জৈব কৃষিকাজ এবং ফার্ম টু ফর্ক উদ্যোগগুলিতে ক্রমবর্ধমান আগ্রহের সাথে সাথে পরিষেবা এবং খুচরা বিক্রেতার চাহিদা বাড়ছে যা ফল, শাকসব্জী এবং অন্যান্য কৃষি পণ্যের বিক্রয় আরও বাড়িয়ে তুলেছে। জৈব পণ্যের দামও বেশী, আপনি এই ব্যবসা করে অনায়াসে অতিরিক্ত অর্থ উপার্জন করতে পারেন।
কফিশপ (Coffee shop business ) –
ক্যাফে বা কফিশপের চাহিদা ক্রমশই বাড়ছে শহরতলীতে আর মফস্বলে। বর্তমানে সবচেয়ে লাভজনক ব্যবসা এটি। কফি শপে বসে মানুষদের পড়ার জন্য রাখতে পারেন কিছু গল্পের বই ও ম্যাগাজিন। মনে রাখবেন, ক্যাফের আভ্যন্তরীণ পরিবেশ মানুষকে আকর্ষণ করার অন্যতম মূল চাবিকাঠি। সাথে রাখুন সাধারণের আয়ত্তের মধ্যে খাবার মূল্য। খাবারের মেনুর তালিকায় রাখতে পারেন দেশী বিদেশি রেসিপি। ‘পকেট ফ্রেন্ডলি’ দামে অভিনব আইটেম হলে ভিড় বাড়বে বৈকি। পাশাপাশি রাখতে পারেন খুচরো গিফ্ট আইটেম বিক্রির ব্যবস্থা। অল্প টাকায় এই ব্যবসা শুরু সম্ভব।
ব্যবহৃত পণ্য বিক্রয়/ রিসেলিং -
পুরানো বই, আসবাব পত্র এবং অন্যান্য সামগ্রী কিনতে চান এমন অনেক মানুষ রয়েছেন। এটিও একটি লাভজনক উদ্যোগ হতে পারে। উদাহরণস্বরূপ, পুরানো সিডিগুলি বাজারে উচ্চ মূল্যে উপলব্ধ। আপনি এই পুরানো জিনিস বিক্রয় করে ভালো অর্থ উপার্জন করতে পারবেন।
ফাস্টফুড তৈরি (Fast-food making business) -
বিভিন্ন ধরনের ফাস্ট ফুড আছে, যা আপনি সামান্য প্রশিক্ষণ নিলেই তৈরি করতে পারবেন। ফাস্টফুডের চাহিদা সবসময়ই আছে। আর আপনার খাবার যদি সুস্বাদু হয় তাহলে আপনার দোকানে কাস্টমারের অভাব হবে না। সাথে খাবারের কোয়ালিটি অবশ্যই থাকতে হবে। তাই আপনার যদি খাবার তৈরিতে আগ্রহ থাকে, তাহলে আপনি অল্প টাকায় এই ব্যবসা শুরু করতে পারেন। ব্যবসা শুরু করার জন্য প্রথমে আপনাকে কোন জনবহুল জায়গা বেছে নিতে হবে। এরপরে সুস্বাদু ও স্বাস্থ্যকর খাবার তৈরি করে তা সুন্দরভাবে প্রদর্শন করতে হবে।
অনলাইনে শাড়ি বিক্রি (Online saree sale) -
তথ্য প্রযুক্তিকে কাজে লাগিয়ে সোশ্যাল মিডিয়াকে মার্কেট হিসাবে ব্যবহার করেই কম খরচে লাভজনক ব্যবসা করছেন অনেকে। বিভিন্ন জায়গা থেকে শাড়ি আনিয়ে অনলাইনে বিক্রি করে আজকাল অনেকেই ব্যবসা করেন। ক্রেতার পছন্দ অনুযায়ী শাড়ি আনিয়ে দিলে তার বাড়িতে তা পৌঁছে যাবে অনলাইনের মাধ্যমেই। আর পেমেন্ট ক্রেতা যখন অনলাইনে করেন তখনই আপনি সেখান থেকে আপনার কমিশন পেয়ে যাবেন। সুতরাং, খুব সহজেই অল্প টাকায় এই ব্যবসা করতে পারবেন।
Image source - Google
Related link - পোস্ট অফিসে এই প্রকল্পে বিনিয়োগ করুন আপনার অর্থ আর রিটার্ন পান দ্বিগুণ (Kisan Vikas Patra)
(Ration card) কীভাবে বুঝবেন আপনার জন্য কোন রেশন কার্ডটি সঠিক? জেনে নিন আবেদন পদ্ধতি সহ সমস্ত বিশদ
Share your comments