ওয়েদার রিপোর্ট অনুযায়ী সাইক্লোন ‘ইয়াশ’-এর (Cyclone yaas) যে ল্যান্ডফলে মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত সমগ্র পশ্চিমবঙ্গ। পূর্ব ভারতে ১৩০ কিলোমিটার বেগে বয়ে যাওয়া বাতাসের সাথে শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড়টির প্রভাবে ভূমিধ্বস শুরু হয়েছে, উপকূলীয় অঞ্চলে জলোচ্ছ্বাসের সতর্কতা দিয়ে পূর্বেই রেড অ্যালার্ট জারি করেছিল আবহাওয়া দফতর (IMD)।
১৩০ কিমি বেগে আসা এই সাইক্লোনের প্রভাবে কলকাতায় এখনও তেমন ক্ষয়ক্ষতি না হলেও উত্তর ২৪ পরগণা, হাওড়া, দীঘা এবং উপকূলবর্তী অঞ্চল সমুদ্রের প্রবল জলোচ্ছ্বাসে প্লাবিত। ১২৬ টি বাঁধ ভেঙ্গে রূপনারায়নের জল ঢুকে ভাসছে স্থানীয় অঞ্চলগুলি। উত্তরবঙ্গেও পড়েছে এই ঝড়ের প্রভাব। প্রবল বৃষ্টিতে ধ্বস নেমে পথ রুদ্ধ হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে পাহাড়ে।
ঘূর্ণিঝড় টাউকটে পশ্চিম উপকূল অতিক্রম করার এক সপ্তাহের মধ্যে ভারতে আঘাত হানল দ্বিতীয় ঘূর্ণিঝড় ইয়াস। একদিকে করোনা ভাইরাস সংক্রমণে লকডাউন, অপরদিকে মারাত্মক ঘূর্ণিঝড় ইয়াশে জলমগ্ন দীঘা, পূর্ব মেদিনীপুর এবং দক্ষিণবঙ্গের সহ বেশ কিছু জেলা।
পূর্ব ওড়িশা ও দীঘায় ঘূর্ণিঝড়ের প্রবল বাতাস এবং সমুদ্রের প্রচণ্ড জলোচ্ছ্বাসে উপকূলবর্তী দোকান এবং স্থানীয় মানুষদের বাড়িঘর সমস্ত কিছুই ভেসে গেছে জলের তলায়।
আবহাওয়া দফতরের পূর্বাভাস অনুযায়ী, ওড়িশার দিকে কিছুটা সরে গিয়েছিল এই ঘূর্ণিঝড় এবং ক্রমশ তা পূর্বে সরছিল। তা সত্ত্বেও সকালে ল্যান্ডফলের সময় ওড়িশা এবং পার্শ্ববর্তী পশ্চিমবঙ্গের রাজ্যগুলিতে বিধ্বংসী লীলা দেখিয়েছে এই ঝড়।
আরও পড়ুন - যশের প্রভাবে আগামীকাল সকাল থেকেই রাজ্যে ঝোড়ো হাওয়ার সাথে চলবে বৃষ্টিপাত
কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, মঙ্গলবার ওড়িশার জগৎসিংহপুর জেলার উপকূলবর্তী অঞ্চল থেকে ১০ জনকে উদ্ধার করেছে। ভারতীয় নৌবাহিনী জানিয়েছে যে ডিসাস্টার ম্যানেজমেন্ট টিম বালেশ্বর, চিলকা এবং অন্যান্য অঞ্চলে তদারকি করছে ও উদ্ধার কার্যক্রম চালানোর জন্য প্রস্তুত রয়েছে।
আরও পড়ুন - IMD Issued Alert - ২৭ থেকে ৩০ শে মে এর মধ্যে তীব্র বজ্রপাত সহ ব্যাপক বৃষ্টিপাত রাজ্যে
Share your comments