বিগত শনিবার স্বাধীনতা দিবসের দিন, লালকেল্লা থেকে প্রধামন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী বলেন, ‘করোনার প্রতিষেধক রূপে তিনটি ভ্যাকসিন পরীক্ষার তিনটি স্তরে রয়েছে’। COVID-19-এর ন্যাশনাল টাস্কফোর্সের প্রধান ডাঃ ভি কে পল, সাপ্তাহিক প্রেস ব্রিফিংয়ের সময় জানিয়েছেন যে, এই তিনটি ভ্যাকসিনের একটি বুধবার বা বৃহস্পতিবার থেকেই মানবদেহে পরীক্ষার তৃতীয় পর্যায় শুরু করতে চলেছে। একটি রিপোর্ট অনুযায়ী জানা গেছে, অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃক আবিষ্কৃত করোনাভাইরাসের ভ্যাকসিন এই বছরের শেষের দিকে ভারতীয়দের জন্য প্রথম শট হিসাবে উপলব্ধ হতে পারে।
সিরাম ইনস্টিটিউট অফ ইন্ডিয়া (SII) এই সপ্তাহে মুম্বাইয়ের KEM এবং Nair হাসপাতাল - এই দুটি ইনস্টিটিউটে কোভিশিল্ড নামে অভিহিত ভ্যাকসিন ChAdOx1- এর দ্বিতীয় পর্যায়ের ক্লিনিকাল ট্রায়াল শুরু করছে।
সূত্র অনুযায়ী, চলতি সপ্তাহে সম্ভবত অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের তৈরি করোনা প্রতিষেধক ‘কোভিশিল্ড’-এর তৃতীয় পর্যায়ের পরীক্ষামূলক প্রয়োগ শুরু হতে চলেছে ভারতে। গত মাসেই এদেশে মানবদেহে ‘কোভিশিল্ড’ প্রতিষেধকটি পরীক্ষার অনুমতি পেয়েছিল পুনের সিরাম ইনস্টিটিউট। করোনা ভ্যাকসিনের ট্রায়ালের জন্য আইসিএমআরের অনুমতি নেওয়া হয়েছে। আইসিএমআরের সঙ্গে যৌথ উদ্যোগে হবে এই করোনা ভ্যাকসিনের ট্রায়াল। সূত্র অনুযায়ী, সিরাম ইনস্টিটিউট ১৮ বছরের বেশি বয়সী দেশের ১৬০০ জন মানুষের উপর এই পরীক্ষামূলক প্রয়োগ করবে। পুনে ভিত্তিক সংস্থাটি এই ভ্যাকসিনটি তৈরি ও বিতরণ করার জন্য ব্রিটিশ মেডিসিন জায়ান্ট অ্যাস্ট্রাজেনেকার সাথে চুক্তিবদ্ধ হয়েছে।
ভারতে করোনার প্রতিষেধক রূপে পরীক্ষামূলক অবস্থায় থাকা বাকি দুটি ভ্যাকসিনের মধ্যে ভারত বায়োটেকের ‘কোভ্যাক্সিন’ ও জাইডাস ক্যাডিলার ‘জাইকোভ-ডি’ টিকা মানবদেহে প্রয়োগের পরীক্ষায় প্রথম পর্যায় পেরিয়েছে। সুতরাং, সব কিছু ঠিক থাকলে পরীক্ষায় সফলতা এলে অক্সফোর্ডের করোনা ভ্যাকসিন ভারতের বাজারে আসার কয়েক সপ্তাহের মধ্যেই ভারতে তৈরি করোনার ভ্যাকসিনও বাজারে আসতে পারে বলে অনুমান করা হচ্ছে।
Image source - Google
Related Link - (Cylinder book through WhatsApp) হোয়াটস অ্যাপের মাধ্যমে এক ক্লিকেই হবে এখন সিলিন্ডার বুক, জেনে নিন বুকিং পদ্ধতি
Share your comments